কলকাতা, 29 ফেব্রুয়ারি : ''রুক যা না নহি তু কোহি হারকে ৷'' CAB-এর গেটের বাইরে পানের দোকানের রেডিয়োতে গানের কলি শুনে ইডেন ফেরত এক দর্শক বললেন, গানের কথাগুলো একটু বদলে দিলে বাংলা দলের প্রথম দিনের পারফরমেন্সের ওয়ান-লাইনার হয়ে যাবে।
কথাটা ভুল নয়। ওড়িশার বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতানো 157 রানের পর ইডেনে 120 রান করলেন অনুষ্টুপ মজমুদার ৷ কর্নাটকের বিরুদ্ধে দলের শেষ ভরসা দিনের শেষে বাংলা 9 উইকেটে 275 রান । অনুষ্টুপের সঙ্গী ঈশান পোড়েল। মরশুমের শুরুতে প্রথম দুটো ম্যাচে জায়গা হয়নি । তারপর যখনই সুযোগ পেয়েছেন তখনই দু'হাত ভরে ফিরিয়ে দিয়েছেন অনুষ্টুপ।
শনিবার কর্নাটকের বিরুদ্ধে দলের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যান যখন সাজঘরে ৷ তখন শাহবাজ আহমেদকে নিয়ে ইনিংস গড়ার কাজ শুরু করেছিলেন চন্দননগরের রুকু। বাংলার জার্সিতে প্রথম শ্রেণীর কেরিয়ার শুরু করার পর রেলের চাকরি নিয়ে চলে গিয়েছিলেন। গত মরশুমে ফিরেছেন এবং তারপর থেকেই ধারাবাহিক সাফল্য। মিঠুনকে পুল করে সেঞ্চুরিতে পৌঁছালেন তিনি। 18টি বাউন্ডারি ও দুটি ওভার বাউন্ডারিতে সাজানো ইনিংসে অনুষ্টুপ মজুমদার বঙ্গ বিপর্যয়ে একা কুম্ভ।
ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন, ওড়িশার বিরুদ্ধে 157 রানের চেয়ে ইডেনের শতরানকে এগিয়ে রাখছেন । বলছেন, মোটের উপর লড়াইয়ের জায়গা তৈরি হয়েছে । এবার বোলারদের ফায়দা তুলতে হবে। দলের ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্যে প্রতিপক্ষ বোলারদের কৃতিত্ব দেওয়ার চেয়ে অভিমন্যু ঈশ্বরনের উইকেট ছুড়ে দেওয়ার প্রবণতাকে দায়ি করেছেন শনিবারের ইডেনের নায়ক।
অনুষ্টুপ প্রাথমিক কাজটা করেছেন। এবার লড়াইটা টেনে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব বাকিদের। তাহলে রণজি জয়ের সম্ভাবনা অক্ষুণ্ণ থাকবে ৷