মুম্বই : টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নলিনী নেগি। প্রীতি রানা নামে একজনের সঙ্গে তিনি একটি ফ্ল্যাট শেয়ার করে থাকতেন কিছু বছর। তবে সম্প্রতি তিনি ওশিওয়ারায় একটি ফ্ল্যাটে একা শিফ্ট করে যান। আর সেখান থেকেই সমস্যার উৎপত্তি।
প্রীতিও নিজের জন্য একটি বাসস্থান খোঁজার চেষ্টা শুরু করেন। তবে খুঁজে না পেয়ে তিনি নলিনীকে অনুরোধ করেন তাঁর অ্যাপার্টমেন্টে কয়েকটা দিন থাকতে দেওয়ার জন্য। নলিনী মেনেও নেন সেই অনুরোধ, একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন দু'জন।
নলিনী আরও বলেন, "এর মধ্যে আমার বাবা-মা আমার কাছে আসতে চায়। সেই জন্য আমি প্রীতিকে বাড়ি খালি করতে বলি। এর কিছুদিনের মধ্যে প্রীতির মা স্নেহলতা রানা এসে হাজির হন। আমি ভেবেছিলাম যে, উনি বোধহয় প্রীতিকে গোছগাছ করতে সাহায্য করতে এসেছেন।"
তবে ব্যাপারটা অন্যদিকে ঘুরে যায়। নলিনী বলেন, "একদিন আমি জিমে বেরোনোর সময়ে প্রীতির মা হঠাৎ করেই আমার সঙ্গে ঝগড়া করতে শুরু করেন। আমি শান্ত করার চেষ্টা করি। তবে শান্ত হওয়ার বদলে উনি উলটে প্রীতিকে ডাকেন, ওর কাছে অভিযোগ করেন যে আমি নাকি অশ্রদ্ধা করেছি স্নেহলতাকে। প্রীতিও চিৎকার করতে শুরু করে আমার উপর।"
নলিনী আরও বলেন, "আমি ওদের বোঝানোর চেষ্টা করি, তবে ওরা একটা গ্লাস ছুঁড়ে আমায় আক্রমণ করে। আমি কন্ট্রোল হারাই, আর দু'জন মিলে আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমায় নৃশংস ভাবে আঘাত করতে থাকে। ওরা আমায় প্রায় মেরেই ফেলেছিল।"
অভিনেত্রীর আসল সম্পদ তাঁর মুখ। প্রীতি ও তার মা নলিনীর মুখটাই ক্ষতবিক্ষত করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বলে মনে করেন অভিনেত্রী। তবে এখন নলিনী অনেকটা সুস্থ, কারণ ওঁর বাবা-মা এসে পৌঁছেছে শহরে।
নলিনী তাঁর পুরো বক্তব্যই এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। সেই সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেল পুরো ব্যাপারটা। ওশিওয়ারা পুলিশ এই অভিযোগ কোর্টে তুলবে শিগগিরই।