কলকাতা: আর কয়েকদিনের মধ্যেই মুক্তি পেতে চলেছে পরিচালক রাজর্ষি দের নতুন ছবি 'পূর্ব-পশ্চিম দক্ষিণ-উত্তর আসবেই'। অভিনেত্রী সুচন্দা ভানিয়া প্রযোজিত ও অভিনীত এই ছবিতে তিনটি আলাদা আলাদা গল্পকে একসঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে। তার সঙ্গে রয়েছে বিজ্ঞান ও ভৌতিক ঘটনার এক সংমিশ্রণ। যার সঙ্গে তন্ত্রসাধনা ও তন্ত্রবিদ্যার যোগ থাকবে। তিনটি ছোটো ছোটো গল্প নিয়ে এই ছবিটি তৈরি হয়েছে। অভিনয় করছেন কমলেশ্বর মুখার্জি, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অর্পিতা চ্যাটার্জি, রাজেশ শর্মা, গৌরব চক্রবর্তী, আরিয়ান ভৌমিক, সুচন্দা ভানিয়া, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, বিদীপ্তা চক্রবর্তী, পদ্মনাভ দাশগুপ্ত, সত্যজিৎ সরকার, কৌশিক কর, মানবী বন্দ্যোপাধ্যায়, মালবিকা সেন, দামিনী বসু ও রিচা শর্মা।
রাজর্ষি দে বলেন, "শুধুমাত্র শুটিং শেষ নয় পোস্ট প্রোডাকশন, এডিট, কালার সমস্ত কিছুর কাজ শেষ। আর ইতিমধ্যে যেটুকু দেখা গেছে তাতে মনে হয়েছে বাংলা ছবিতে এই ধরনের বিষয়কে কেন্দ্র করে কাজ এখনও পর্যন্ত হয়নি। এই বইটা নিয়ে যে কোনও ছবি হতে পারে সেটা আমার কোনওদিনও মাথায় আসেনি। সুচন্দ্রা সঙ্গে কথা হওয়ার পর আমি এই ছবির গল্প লেখার কাজ শুরু করি। এখনও ঠিক আছে ছবিটি মুক্তি পাবে অগাস্ট বা সেপ্টেম্বরে। কিন্তু পুজোর আগেই ছবিটি দর্শকের জন্য আসছে।"
আরিয়ান বলেন, "আজকে আমরা 'পূর্ব-পশ্চিম দক্ষিণ-উত্তর আসবেই' ছবিটা এক ঝলক দেখলাম। প্রথমবার আমি একজন ঐতিহাসিকের চরিত্রে অভিনয় করলাম। আমার চরিত্রের নাম উইলিয়াম হেনরি স্লিম্যান। সে ইংরেজদের অফিসার হয়েও ইংরেজদের অত্যাচারের হাত থেকে ভারতীয়দের বাঁচিয়েছিলেন।"
ছবির প্রযোজক-অভিনেত্রী সুচন্দা ভানিয়া বলেন, "ছবি শুটিং শেষ পোস্ট প্রোডাকশন, কালার কারেকশন এর কাজও শেষ। গল্পটা পড়ে খুবই ভালো লেগেছিল। কিন্তু তারপর সেটাকে সিনেমার পরদয় রূপান্তরিত করাটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। এই ছবির গল্পটা এমন ভাবেই দেখানো যেখানে প্রথমবার আমরা কৃষ্ণচন্দ্র আলম ভাগ্যিসকে পরদায় পাব এবং তার তন্ত্রসাধনার নানা বিষয় জানতে পারব।"