- "এটা তো কাঙ্খিত", বললেন বেড়াচাপা উত্তর 24 পরগনার বাণীরূপা সিনেমা হলের মালিক সুভাষ সেন । তিনি বললেন, "আমরা তো শেষ হয়ে যাচ্ছিলাম । আমাদের নিশ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল আস্তে আস্তে । এরপরেও যদি না খুলত, খুব মুশকিলে পড়তাম । সমস্ত ব্যবসা খুলে গেছে । লোকাল ট্রেন চালু হয়ে গিয়েছে । বাসে অসম্ভব ভিড় । দোকানপাট, শপিং মল, মেট্রো, রেস্তোরাঁ সবই খুলেছে । খুলছিল না কেবল সিনেমা হল । আমরাই বঞ্চিত হয়ে যাচ্ছিলাম আস্তে আস্তে ।"
এমনিতেই সিনেমা হলের অবস্থা খুবই খারাপ । বিশেষ করে সিঙ্গল স্ক্রিনগুলো তো ধুঁকছে । সুতরাং সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে, দীর্ঘদিন সিনেমা হল বন্ধ রাখা মানে ধীরে ধীরে বন্ধের মুথে ঠেলে দেওয়া হলগুলোকে । এই সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সুভাষবাবু ।
রাজ্য সরকার এই পদক্ষেপ নিল, কেন্দ্র এখনও চুপ, তাই কেন্দ্রের প্রতি ক্ষোভও জমেছে হল মালিকদের । অসম্ভব অসন্তোষ নিয়ে এই বিষয়ে সুভাষবাবু আমাদের বলেন, "আমরা কেন্দ্রকে অনেকবার চিঠি দিয়েছিলাম । কোনওরকম সাড়া পাইনি । ভার্চুয়াল মিটিং হয়েছিল । সেখানেও কোনও ফলাফল মেলেনি । কোনও অনুদান, কোনও সাহায্য, ইলেকট্রিসিটির ডিউটি মুকুব, কোনও ব্যবস্থাই করেনি কেন্দ্র । এতগুলো মাস যে ব্যবসা বন্ধ, কেন্দ্রের কোনও হেলদোল নেই তাতে ।"
- অন্যদিকে দক্ষিণ কলকাতার প্রিয়া সিনেমা হলের মালিক অরিজিৎ দত্ত আমাদের কাছে স্পষ্টভাবে অন্য একটি বিষয়ে আলোকপাত করেন । বললেন, "আগে কেন্দ্র থেকে অনুমতি আসুক । কেন না কেন্দ্র আগে অনুমতি দেবে, তারপর দেবে রাজ্য সরকার । আনলক 1-2-তেই রাজ্য সরকার কয়েকটা কথা বলে দিয়েছিল । তার সঙ্গে আরও কয়েকটি বিষয় যুক্ত করল । এখনও অফিশিয়ালভাবে কোন কিছুই সম্ভব না যতক্ষণ না কেন্দ্র থেকে নোটিফিকেশন আসে । তবে মনে হচ্ছে, 1 তারিখ থেকেই খোলার অনুমতি মিলবে । আর ওটা 50 জন পার্টিসিপ্যান্টস নন, 50% পার্টিসিপ্যান্টস ।"
- অশোক হলের মালিক প্রবীরবাবু এমনিতে খুশি হলেও, প্রস্তুতির সময় চেয়েছেন । মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আরও কিছু আর্জি জানিয়েছে আমাদের মারফত । বলেছেন, "মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাই । তবে 1 তারিখ থেকে হল খুলতে পারব না । আমাদের আরও দিন সাতেক সময় লাগবে, সব পরিষ্কার করতে হবে, স্যানিটাইজ় করতে হবে । এমনিতে পরিষ্কার করা হয়েছিল এই ক'মাসে । তবে সেভাবে মানুষ ঢোকেনি । চেষ্টা করব 7-8 তারিখে হল খুলতে । যেটা খুব সমস্যার, সেটা হল 50 জনের দর্শকের জায়গায় আরও বেশি সংখ্যক দর্শক হলে ভালো হত । কেন না এই ক'জন নিয়ে ব্যবসা হবে না । কেউ ছবি দিতে চাইবে না । বুঝতেই তো পারছেন, আমরাই বা কী পাব, প্রযোজকই বা কী পাবেন । তবে আমরা টিকিটের দাম একেবারেই বাড়াচ্ছি না । আমাদের শুধু একটাই অনুরোধ, 50 জন থেকে একটু যদি বাড়ানো যায় ।"
সিনেমা হল খোলার অনুমতিতে খুশি মালিকরা, তবে রয়েছে কিছু আক্ষেপও - cinema hall owner
দীর্ঘ সাত মাস বন্ধ থাকার পর, অবশেষে পয়লা অক্টোবর থেকে খুলতে চলেছে পশ্চিম বাংলার সমস্ত সিনেমা হল । অনুমতি মিলেছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে । মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল সন্ধেবেলায় টুইট করে জানিয়েছেন পয়লা অক্টোবর থেকে যাত্রা, নাটক, মুক্তমঞ্চ, সংগীত-আবৃত্তি-নৃত্যানুষ্ঠান, ম্যাজিক শো এবং সিনেমা হল খোলা যাবে । আপ্লুত সিনেমা হল মালিকরা কথা বললেন ETV ভারত সিতারার সঙ্গে
cinema hall reopen hall owners
- "এটা তো কাঙ্খিত", বললেন বেড়াচাপা উত্তর 24 পরগনার বাণীরূপা সিনেমা হলের মালিক সুভাষ সেন । তিনি বললেন, "আমরা তো শেষ হয়ে যাচ্ছিলাম । আমাদের নিশ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল আস্তে আস্তে । এরপরেও যদি না খুলত, খুব মুশকিলে পড়তাম । সমস্ত ব্যবসা খুলে গেছে । লোকাল ট্রেন চালু হয়ে গিয়েছে । বাসে অসম্ভব ভিড় । দোকানপাট, শপিং মল, মেট্রো, রেস্তোরাঁ সবই খুলেছে । খুলছিল না কেবল সিনেমা হল । আমরাই বঞ্চিত হয়ে যাচ্ছিলাম আস্তে আস্তে ।"
এমনিতেই সিনেমা হলের অবস্থা খুবই খারাপ । বিশেষ করে সিঙ্গল স্ক্রিনগুলো তো ধুঁকছে । সুতরাং সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে, দীর্ঘদিন সিনেমা হল বন্ধ রাখা মানে ধীরে ধীরে বন্ধের মুথে ঠেলে দেওয়া হলগুলোকে । এই সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সুভাষবাবু ।
রাজ্য সরকার এই পদক্ষেপ নিল, কেন্দ্র এখনও চুপ, তাই কেন্দ্রের প্রতি ক্ষোভও জমেছে হল মালিকদের । অসম্ভব অসন্তোষ নিয়ে এই বিষয়ে সুভাষবাবু আমাদের বলেন, "আমরা কেন্দ্রকে অনেকবার চিঠি দিয়েছিলাম । কোনওরকম সাড়া পাইনি । ভার্চুয়াল মিটিং হয়েছিল । সেখানেও কোনও ফলাফল মেলেনি । কোনও অনুদান, কোনও সাহায্য, ইলেকট্রিসিটির ডিউটি মুকুব, কোনও ব্যবস্থাই করেনি কেন্দ্র । এতগুলো মাস যে ব্যবসা বন্ধ, কেন্দ্রের কোনও হেলদোল নেই তাতে ।"
- অন্যদিকে দক্ষিণ কলকাতার প্রিয়া সিনেমা হলের মালিক অরিজিৎ দত্ত আমাদের কাছে স্পষ্টভাবে অন্য একটি বিষয়ে আলোকপাত করেন । বললেন, "আগে কেন্দ্র থেকে অনুমতি আসুক । কেন না কেন্দ্র আগে অনুমতি দেবে, তারপর দেবে রাজ্য সরকার । আনলক 1-2-তেই রাজ্য সরকার কয়েকটা কথা বলে দিয়েছিল । তার সঙ্গে আরও কয়েকটি বিষয় যুক্ত করল । এখনও অফিশিয়ালভাবে কোন কিছুই সম্ভব না যতক্ষণ না কেন্দ্র থেকে নোটিফিকেশন আসে । তবে মনে হচ্ছে, 1 তারিখ থেকেই খোলার অনুমতি মিলবে । আর ওটা 50 জন পার্টিসিপ্যান্টস নন, 50% পার্টিসিপ্যান্টস ।"
- অশোক হলের মালিক প্রবীরবাবু এমনিতে খুশি হলেও, প্রস্তুতির সময় চেয়েছেন । মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আরও কিছু আর্জি জানিয়েছে আমাদের মারফত । বলেছেন, "মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাই । তবে 1 তারিখ থেকে হল খুলতে পারব না । আমাদের আরও দিন সাতেক সময় লাগবে, সব পরিষ্কার করতে হবে, স্যানিটাইজ় করতে হবে । এমনিতে পরিষ্কার করা হয়েছিল এই ক'মাসে । তবে সেভাবে মানুষ ঢোকেনি । চেষ্টা করব 7-8 তারিখে হল খুলতে । যেটা খুব সমস্যার, সেটা হল 50 জনের দর্শকের জায়গায় আরও বেশি সংখ্যক দর্শক হলে ভালো হত । কেন না এই ক'জন নিয়ে ব্যবসা হবে না । কেউ ছবি দিতে চাইবে না । বুঝতেই তো পারছেন, আমরাই বা কী পাব, প্রযোজকই বা কী পাবেন । তবে আমরা টিকিটের দাম একেবারেই বাড়াচ্ছি না । আমাদের শুধু একটাই অনুরোধ, 50 জন থেকে একটু যদি বাড়ানো যায় ।"