মুম্বই : প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা রতন চোপড়া । দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন । 12 জুন গভীর রাতে পঞ্জাবের মালেরকোটলায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি ।
জন্মের পর তাঁর নাম ছিল আবদুল জব্বর খান । পরে নাম পরিবর্তন করে রাখেন রতন চোপড়া । বিয়ে করেননি এই অভিনেতা । তবে একটি মেয়েকে দত্তক নিয়েছিলেন তিনি । বাবার মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেন দত্তক কন্যা অনিতা ।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ক্যানসার ধরা পড়েছিল রতনের । কিন্তু, পয়সা না থাকায় চিকিৎসা করাতে পারেননি তিনি । তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, 10 দিন আগে ধর্মেন্দ্র, অক্ষয় কুমার এবং সোনু সুদের কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়েছিলেন । কিন্তু, কোনও উত্তর পাননি তিনি ।
গত কয়েক বছর ধরে, হরিয়ানার পাঁচকুলায় একটি ভাড়া বাড়িতে ছিলেন । জীবনের শেষদিনগুলিকে চরম অর্থ কষ্টের মধ্যে দিয়ে কাটাচ্ছিলেন এই অভিনেতা । রান্না করে খাওয়ার মতো টাকাও ছিল না তাঁর কাছে । স্থানীয় গুরুদ্বার ও মন্দির থেকে যেটুকু খাবার পেতেন তা দিয়েই পেট ভরাচ্ছিলেন তিনি ।
পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় (চণ্ডীগড়) থেকে স্নাতক হন রতন । এরপর পাটিয়ালা থেকে স্নাতকোত্তর করেন তিনি । তারপর পা রাখেন বলিউডে । 1972 সালে মুক্তি পায় তাঁর 'মোম কি গুড়িয়া' ছবিটি । সেখানে তনুজার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে । তবে খুব বেশিদিন বলিউডে কাজ করেননি তিনি । কারণ তিনি অভিনয় করুন সেটা মোটেই পছন্দ ছিল না ঠাকুমার । আর সেই কারণেই অভিয়ন ছেড়ে শিক্ষকতা শুরু করেন রতন । পঞ্জাবের বেশ কিছু স্কুল ও অন্য প্রতিষ্ঠানে ইংরেজি পড়াতেন তিনি । একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, 'লোফার', 'আয়া সাওয়ান ঝুম কে' এবং 'জুগনু'-র মতো ছবির প্রস্তাব এসেছিল তাঁর কাছে । কিন্তু, ঠাকুমার জন্যই সেই ছবিগুলির প্রস্তাব গ্রহণ করেননি তিনি ।