মুম্বই : বিহারের রাজীব নগর থানায় রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেন সুশান্ত সিং রাজপুতের বাবা কৃষ্ণ কুমার সিং । আর তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানান রিয়া । এবার সেই মামলায় তাদের বক্তব্য শোনার জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করল কেন্দ্রীয় সরকার ।
শীর্ষ আদালতের কাছে কেন্দ্রীয় সরকারের আবেদন, নিরপেক্ষ বিচারের স্বার্থে তাদের বক্তব্যও শোনা হোক । তবে এর ফলে এই মামলা প্রভাবিত হবে না বলে জানিয়েছে তারা ।
14 জুন সকালে বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয় সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ । ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে পুলিশের বক্তব্য ছিল, আত্মহত্যা করেছেন তিনি । সেই সময় তদন্তে উঠে আসে হতাশা ও ইন্ডাস্ট্রিতে কোণঠাসা হয়ে পড়ার মতো একাধিক তত্ত্ব । যদিও সুশান্তের আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে এখনও কিছুই জানা যায়নি ।
এদিকে মহারাষ্ট্র পুলিশের তদন্তের উপর ভরসা রাখতে পারছিলেন না সুশান্তের বাবা । 25 জুলাই বিহারের রাজীব নগর থানায় রিয়া চক্রবর্তী সহ ছ'জনের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেন তিনি । সেই অনুযায়ী 27 জুলাই তদন্তের জন্য মুম্বই পাড়ি দেয় বিহার পুলিশের চার সদস্যের একটি দল । কিন্তু, মহারাষ্ট্র পুলিশ তদন্তে সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ তোলেন বিহারের DGP গুপ্তেশ্বর পান্ডে । এমনকী, এই ঘটনার তদন্ত করার এক্তিয়ার বিহার পুলিশের রয়েছে কি না সে বিষয়ও প্রশ্ন তোলে মহারাষ্ট্র পুলিশ ।
তবে FIR দায়েরের সঙ্গে সঙ্গেই সুপ্রিম কোর্টে এই মামলাটিকে বিহার থেকে মুম্বইতে স্থানান্তরিত করার আবেদন জানান রিয়া । তারই মাঝে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের কাছে CBI তদন্তের দাবি জানান কে কে সিং । পরিবারের তরফে সম্মতি পেয়ে CBI তদন্তের সুপারিশ করেন নীতীশ কুমার । সেই সুপারিশে সায় দেন বিহারের রাজ্যপাল ফাগু চৌহান । তারপর বুধবার বিহার সরকারের সেই আবেদনে সম্মতি দেয় কেন্দ্রীয় সরকারও ।
কেন্দ্রীয় সরকারের সম্মতি পাওয়ার পরই মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া শুরু করে CBI । বিহার পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করে তারা । এরপর গতকাল সন্ধেয় রিয়া চক্রবর্তী, ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী, সান্ধ্য চক্রবর্তী, সৌভিক চক্রবর্তী, স্যামুয়েল মিরান্ডা, শ্রুতি মোদির বিরুদ্ধে FIR দায়ের করা হয় ।
এদিকে বিচারপতি হৃষিকেষ রায়ের বেঞ্চে আজ এই মামলার শুনানি চলাকালীন বিহার পুলিশের আইনজীবী জানান, "বিহার পুলিশ রিয়ার সঙ্গে কোনও পক্ষপাতিত্ব করেনি । এমন কোনও প্রমাণও দেখাতে পারবেন না রিয়া ।" দীর্ঘ সওয়াল জবাবের পর আজকের মতো এই মামলা স্থগিত করে দেন বিচারপতি । পরবর্তী শুনানি আগামী সপ্তাহে ।