মুম্বই : সমাজের ভারসাম্যহীনতায় ক্ষুব্ধ শ্রুতি হাসান । ফিল্মের সেটগুলিও পিতৃতান্ত্রিক সমাজের এই লিঙ্গবৈষম্য থেকে ছাড় পায় না, জানালেন অভিনেত্রী । যেখানে হিরোদের সঙ্গে অনেক পক্ষপাতিত্ব চোখে পড়লেও চুপ থাকতে বাধ্য হন হিরোইনরা ।
এতগুলো বছর তামিল, তেলুগু ও হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনয় করে, এই বিষয়গুলো নিয়ে মুখ খুলতে আর ভয় পান না শ্রুতি ।
PTI-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, "আমার পদবী ও আমার এই মুখটা দেখে অনেক মানুষই আমায় সমঝে চলেন । এতগুলো বছর ধরে এখানে কাজ করার পর, কোনও বিষয়ে প্রতিবাদ করতে ভয় পাই না আমি ।"
তবে শুরুটা এমন ছিল না । শ্রুতির ছোটোখাটো ব্যাপারকে অভদ্রতার উদাহরণ হিসেবে দেখা হয়েছিল এক সময়ে ।
তিনি বলেন, "সেটে বসে বই পড়লেও সেটাকে অভদ্রতা হিসেবে দেখা হত । তাই আমি ভ্যানিটি ভ্যানে চলে যেতাম । বুঝতে পারতাম না কার সঙ্গে কথা বলব । পুরো বিষয়টাকে রপ্ত করতে আমার অনেকটা সময় লেগেছিল ।"
ফিল্মের সেটে নারী-পুরুষের বিভেদ প্রসঙ্গে শ্রুতি বলেন, "প্রথম চেয়ারটা সবসময় হিরোর জন্য় রাখা থাকবে । প্রথম দিকে আমায় তো চেয়ার অফারই করা হত না । ওরা বলত 'ও বাবা ! হিরো এসে গেছে, ওঁকে এক্ষুণি চেয়ার এনে দাও ।"
তবে হিরো ভালো হলে তিনি নিজে থেকে হিরোইনকে চেয়ার অফার করে থাকেন, জানালেন শ্রুতি । কবে এই বৈষম্য ঘুচবে ? জানা নেই অভিনেত্রীর ।