মুম্বই : 14 জুন সকালে বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয় সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত দেহ । ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে পুলিশ জানিয়েছিল, আত্মহত্যা করেছেন অভিনেতা । যদিও পরিবারের পাশাপাশি তাঁর মৃত্যুতে আত্মহত্যার তত্ত্ব মানতে রাজি হননি অনেকেই । বরং সুশান্তকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি জানান তাঁরা । তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত এমন কোনও প্রমাণ পায়নি CBI যা দেখে মনে হতে পারে অভিনেতাকে খুন করা হয়েছে । তবে তদন্ত ও তথ্য সংগ্রহের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা ।
সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে CBI-এর তদন্তকারী দলের তিন আধিকারিক জানান, এখনও পর্যন্ত যে তথ্য তাঁদের হাতে এসেছে তা থেকে বলা যাচ্ছে না যে সুশান্তকে খুন করা হয়েছে । তবে তাঁরা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন । অভিনেতাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে কি না সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন ।
25 জুলাই বিহারের রাজীব নগর থানায় রিয়া সহ ছ'জনের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেন সুশান্তের বাবা কে কে সিং । আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া থেকে শুরু করে ছেলের টাকা হাতিয়ে নেওয়া সহ রিয়া ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনেন তিনি । তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে বিহার পুলিশ । এরপর এই মামলা বিহার থেকে মুম্বইয়ে স্থানান্তরিত করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানা রিয়া ।
19 অগাস্ট সুশান্ত মামলার তদন্তভার মহারাষ্ট্র পুলিশের থেকে CBI-র হাতে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট । সেই মতো তদন্তভার গ্রহণ করে 20 অগাস্টই মুম্বই পৌঁছয় CBI-এর বিশেষ তদন্তকারী দল । এখনও পর্যন্ত সুশান্তের ফ্ল্যাটমেট সিদ্ধার্থ পিঠানি, রাঁধুনি নীরজ সিং, পরিচারক দীপেশ সাওয়ান্ত ও চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট সন্দীপ শ্রীধরকে, প্রাক্তন ম্যানেজার শ্রুতি মোদি, রিয়া, তাঁর ভাই সৌভিক ও বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা । জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কুপার হাসপাতালের পাঁচ চিকিৎসককেও, যাঁরা সুশান্তের ময়নাতদন্ত করেছিলেন । এছাড়া সুশান্তের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণও করেন তদন্তকারীরা । কিন্তু, এখনও পর্যন্ত এমন কোনও তথ্য তাঁদের হাতে আসেনি যা দেখে সুশান্তের খুনের ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে ।
এদিকে সুশান্তের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল । সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখছে AIIMS-এর চার সদস্যের একটি টিম । কয়েকদিনের মধ্যেই CBI আধিকারিকদের হাতে চলে আসবে সেই রিপোর্ট । সেই রিপোর্টে খুনের ইঙ্গিত পাওয়া যায় কি না এখন সেটাই দেখার ।