মুম্বই : 2008 সালে 'কাই পো চে' দিয়ে বড় পরদার যাত্রা শুরু করেছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত । কিন্তু, 7 বছরের এই ক্যারিয়ারে একাধিক বাধার মুখোমুখি হন তিনি । কখনও শুটিংয়ের মাঝে তাঁর ছবি বন্ধ হয়ে গিয়েছে, আবার কখনও ছবি থেকে বাদ পড়েছেন । এছাড়া মিটু বিতর্কেও নাম জড়িয়ে পড়েছিল তাঁর । 'দিল বেচারা'-র শুটিং চলাকালীন নাকি তাঁর বিরুদ্ধে সেটের মধ্যে অশালীন ব্যবহার করার অভিযোগ এনেছিলেন সঞ্জনা সাঙ্ঘি । পরে অবশ্য ওই অভিযোগ সঠিক নয় বলে জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী । যা অনেকটা অক্সিজেন জোগায় সুশান্তকে । তারপর এই বিষয়ে আর কোনও মন্তব্য করতে দেখা যায়নি সঞ্জনাকে । তবে সম্প্রতি সুশান্তের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা জানিয়ে একাধিকবার সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তিনি । যা নিয়ে এবার কঙ্গনা রানাওয়াতের কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে ।
সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে সবথেকে বেশি সরব হতে দেখা গিয়েছে কঙ্গনাকে । ইন্ডাস্ট্রির চাপেই সুশান্ত এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিলেন বলে দাবি তোলেন তিনি । আর সেই কারণে ইন্ডাস্ট্রির বেশ কয়েকজন প্রথম সারির তারকা, পরিচালক ও প্রযোজককে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন অভিনেত্রীকে । বাদ দেননি সঞ্জনা সাঙ্ঘিকেও ।
আগামীকাল ডিজ়নি প্লাস হটস্টারে মুক্তি পাবে 'দিল বেচারা'। সোশাল মিডিয়ায় ছবির বিভিন্ন বিষয় প্রচার করতে দেখা যায় সঞ্জনাকে । এমনকী, সুশান্তের না থাকা যে তাঁকে কতটা নাড়া দিয়ে গিয়েছে সেকথাও উল্লেখ করেন তিনি । পাশাপাশি তুলে ধরেন সুশান্তের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথাও । এর জন্যই কঙ্গনার কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় তাঁকে ।
আগে 'দিল বেচারা'-র নাম ছিল 'কিজ়ি অউর ম্যানি'। ছবির শুটিং চলাকালীনই রটে যায় যে, সুশান্তের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের অভিযোগ এনেছেন সঞ্জনা । সুশান্তের মাত্রাতিরিক্ত বন্ধুত্বপূর্ণ স্বভাব নাকি পছন্দ নয় তাঁর । যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করে সঞ্জনার সঙ্গে নিজের কথোপকথনের স্ক্রিনশট সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেন সুশান্ত । এই ধরনের কোনও অভিযোগ করেননি বলে পরে অবশ্য বিবৃতি জারি করে জানান সঞ্জনা । তাতে কিছুটা হলেও শান্তি পান সুশান্ত । যদিও তাঁদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা তখনও প্রকাশ্যে আনেননি সঞ্জনা । সুশান্তের মৃত্যুর পর সেগুলি শেয়ার করেন তিনি ।
তার প্রেক্ষিতে কঙ্গনার টিমের তরফে একটি টুইট করা হয় । লেখা হয়, "অনেক জায়গা থেকেই দাবি করা হয়েছিল যে সঞ্জনাকে ধর্ষণ করেছেন সুশান্ত, এই ধরনের খবর সে সময় খুবই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছিল, কেন সেগুলির বিরুদ্ধে সঞ্জনা তখন কিছু বললেন না ? সুশান্ত বেঁচে থাকাকালীন কেন তাঁদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে কোনও মন্তব্য করলেন না তিনি ?এনিয়ে তদন্ত করুক মুম্বই পুলিশ ।"
এদিকে সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই সঞ্জনাকে টানা সাত ঘণ্টা জেরা করেছে মুম্বই পুলিশ । সূত্রের খবর, বিতর্ক নিয়ে জেরায় প্রশ্ন করা হয়েছিল তাঁকে । সুশান্তকে চাপে থাকতে দেখেও কেন তিনি দেরি করে বিবৃতি দিয়েছিলেন তা নিয়েও প্রশ্ন করা হয় ।