সরকার সম্ভবত দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলাকে পেনসিল জেলা হিসেবে ঘোষণা করতে চলেছে । কারণ, সেখানে প্রচুর পরিমাণে পেনসিল স্লেট তৈরি হয় । পুলওয়ামা জম্মু ও কাশ্মীরের একমাত্র জেলা যেখানে এই কাঠের তৈরি স্লেটগুলি তৈরির একাধিক কারখানা রয়েছে । যা গত কয়েক বছর ধরে কাজ করছে ।
90-র আগে ভারত পেনসিল শিল্পের জন্য কাঠ জার্মানি ও চিনের মতো দেশ থেকে আমদানি করত । কিন্তু এখন শুধুমাত্র পুলওয়ামা জেলা থেকেই মোট প্রয়োজনের 70 শতাংশ কাঠ পাওয়া যায় । পেনসিল তৈরি করার জন্য যথাযথ ভাবে পপলার কাঠের প্রয়োজন হয় । আর এই পপলার গাছ দক্ষিণ কাশ্মীরের ওই জেলায় প্রচুর পরিমাণে তৈরি হয় ।
Covid 19-র জন্য স্লেট তৈরির শিল্প ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । তা সত্ত্বেও সরকার পুলওয়ামাকে পেনসিল জেলা হিসেবে ঘোষণা করার পরিকল্পনা করছে । এই শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা জানিয়েছেন যে, এই বছরের শুরুতে কোভিডের জেরে লকডাউনের জন্য স্কুল বন্ধ হয়ে যায় ৷ তার জন্য তাঁরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন । পেনসিলের চাহিদা মারাত্মক ভাবে কমে গিয়েছে । এর জন্যই তাঁদের ব্যবসা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে । এই শিল্পে যে ধাক্কা এসেছে, তার জন্য অনেক কর্মীকে কাজ হারাতে হয়েছে । তাঁদের আরও অভিযোগ যে প্রশাসন এই সংকটের সময় তাঁদের সাহায্য করেনি ।
কিছু কারখানার মালিক কথা বলেছেন ETV ভারতের সঙ্গে :
- কারখানার মালিকরা জানিয়েছেন যে, এই স্লেট তৈরির শিল্পের সঙ্গে অনেক মানুষ জড়িত । তাঁদের জীবন যাপন এই শিল্পের উপর সম্পূর্ণ রূপে নির্ভরশীল ।
- একটি কারখানার মালিক ওয়ালি মুহাম্মদ দার ETV ভারতকে বললেন, ‘‘আমরা পেনসিলের জন্য কাঠের স্লেট তৈরি করি । তারপর সেটাকে জম্মুতে অবস্থিত পেনসিল শিল্পের কাছে পাঠিয়ে দিই । আমরা এখানে পেনসিল তৈরি করি না । কারণ, পরিবহণের খরচের জন্য উপত্যকায় পেনসিল তৈরি করা খুবই খরচ সাপেক্ষ বিষয় ।’’
- কারখানার মালিকরা মনে করেন পুলওয়ামাকে পেনসিল জেলা হিসেবে ঘোষণা করলে, তাতে যে শুধু আয় বৃদ্ধি পাবে, তা নয় । কাজের সুযোগও তৈরি হবে ।
- এই স্লেট উৎপাদন কারখানাগুলি কোভিডের জেরে লকডাউনের জন্য মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । সরকার কোন ধরনের পদেক্ষপ করলে এই স্লেট উৎপাদন কারখানাগুলির সুবিধা হবে, তা এখনও দেখা যায়নি ? পুলওয়ামাকে পেনসিল জেলা হিসেবে ঘোষণা করার মাধ্যমে সরকার এই শিল্পের জন্য ভালো কিছু পদক্ষেপ করবে বলেও আশা করছেন এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা ।
ড. জাহুর
জেনারেল ম্যানেজার, GIC