দিঘা, 16 নভেম্বর : দিঘায় যুবতি খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হল মৃতের স্বামী ও হোটেল কর্মী ৷ আজ তাদের কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয় ৷ দুইজনকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷
বুধবার দিঘার একটি হোটেলের ঘর থেকে হাত বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হয় পিয়ালি দেড়ের (20) ঝুলন্ত দেহ ৷ মঙ্গলবার বিকেলের দিকে তিনি চার বছরের শিশুকে সঙ্গে নিয়ে হোটেলে উঠেছিলেন । পরিচয়পত্র হিসেবে জমা দিয়েছিলেন নিজের আধার কার্ডের ফটোকপি । পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অতিরিক্ত গ্রামীণ পুলিশ সুপার অরবিন্দ আনন্দ বলেন, "মঙ্গলবার বিকেলের দিকে হুগলি থেকে এক বিবাহিত যুবতি তাঁর শিশুকে সঙ্গে নিয়ে একটি হোটেলে উঠেছিলেন । গতকাল সকালে ওই হোটেল থেকে খবর আসে সেই যুবতি হাত বাঁধা অবস্থায় হোটেলের সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে । পুলিশ ঘটনাস্থানে গিয়ে ওই মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে । পরে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । "
এই ঘটনায় হোটেল কর্মী কার্তিক জানা ও মৃত মহিলার স্বামী প্রসেনজিৎ দাসকে গ্রেপ্তার করে আজ কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে । তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় সংবিধানের 302/120বি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে ৷ যদিও প্রসেনজিৎ দাসকে প্রশ্ন করা হলে সে বলে , "আমি খুন করিনি ৷ আমার স্ত্রীর পরিবারের অভিযোগ মিথ্যে ৷ "