পোখরা (নেপাল), 16 জানুয়ারি: নেপালের পোখরায় বিমান দুর্ঘটনায় কাউকেই জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি (No One Rescued Alive Pokhara Plane Crash Site) ৷ সোমবার এমনটাই জানিয়েছে নেপালের সেনাবাহিনী ৷ রবিবার কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দর থেকে ইয়েতি এয়াললাইনের এআরটি-72 এয়ারক্রাফ্ট 68 জন যাত্রী ও পাইলট-সহ 4 বিমানকর্মীকে নিয়ে পোখরার উদ্দেশ্য রওনা দেয় ৷ পোখরা বিমানবন্দরের রানওয়েতে অবতরণের কয়েক মুহূর্ত আগেই ভেঙে পড়ে বিমানটি ৷ সেনার তরফে জানানো হয়েছে, নদীর খাদে এখনও তল্লাশি জারি রয়েছে ৷
এদিন নেপাল সেনা মুখপাত্র কৃষ্ণ প্রসাদ ভাণ্ডারি বলেন, "আমরা কাউকে বিমানটির দুর্ঘটনাস্থল থেকে জীবিত উদ্ধার করতে পারিনি ৷ ইয়েতি এয়ারলাইনের যাত্রীবাহী বিমানটি নেপালের পোখরায় নতুন তৈরি হওয়া এয়ারপোর্টে অবতরণের সময় সেতি নদী খাদে ভেঙে পড়ে ৷ বিমানটিতে সওয়ার 68 জন যাত্রীর মধ্যে 10 জন বিদেশী ছিলেন ৷ আর তাঁদের মধ্যে 5 জন ভারতীয় ছিলেন বলে জানিয়েছে নেপাল সরকার ৷ একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মৃতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত 68 ৷
শনিবার সকালের এই বিমান দুর্ঘটনার পর নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পা কমল দাহাল প্রচন্ড আজ মন্ত্রী পরিষদের একটি জরুরি বৈঠক ডেকেছেন বলে জানা গিয়েছে ৷ গতকাল তিনি নিজে ত্রিভুবন বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, নিরাপত্তা বাহিনী এবং অন্যান্য সরকারি সংস্থাগুলিকে উদ্ধারকাজ নিয়ে নির্দেশ ও নেতৃত্ব দেন ৷ পুরো ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া শোকপ্রকাশ করেছিলেন ৷
আরও পড়ুন: উদ্ধারকাজে তদারকিতে ত্রিভুবন বিমানবন্দরে পৌঁছলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী
টুইট প্রধানমন্ত্রী লেখেন, "নেপালের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার খবরে খুবই মর্মাহ ৷ এই দুর্ঘটনায় ভারতীয়-সহ বহু মানুষের মূল্যবান জীবন চলে গেল ৷ এই শোকের সময় নিহতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা জানাই ৷" বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্করও এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে টুইট করেন ৷