ETV Bharat / international

Joe Biden in Kyiv: জো বাইডেন কিভ যাচ্ছেন, কাকপক্ষী না-জানলেও মস্কোকে নোটিস দিয়েছিল আমেরিকা

রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে বিপর্যস্ত ইউক্রেন তথা কিভ ৷ এর আগে থাকতে প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির পাশে রয়েছেন জো বাইডেন ৷ এবার যুদ্ধের এক বছর হওয়ার আগেই তিনি গোপনে পৌঁছলেন ইউক্রেনে ৷ কেমন ছিল তাঁর যাত্রাপথ (President Jod Biden secret trip to Kyiv Ukriane) ?

Joe Biden in Kyiv
জো বাইডেন ও ভোলোদিমির জেলেনস্কি
author img

By

Published : Feb 21, 2023, 1:24 PM IST

কিভ, (ইউক্রেন), 21 ফেব্রুয়ারি: যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের কেউ জানতেন না ৷ দুনিয়ার তাবড় গোয়েন্দা সংস্থার কাছেও খবর ছিল কি ? জান যায়নি ৷ কিন্তু পুতিন জানতেন ৷ মস্কোকে নোটিস পাঠিয়ে মার্কিন প্রশাসনের উচ্চাধিকারিকরা প্রেসিডেন্টের কিভ-সফর নিয়ে জানিয়েছিল ক্রেমলিনকে ৷ রবিবার স্থানীয় সময় ভোররাত 3.30 মিনিট নাগাদ হোয়াইট হাউজ থেকে বের হন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৷ কোনও যুদ্ধবিমান নয়, মার্কিন বায়ু সেনার সি-32 (Air Force C-32) সাধারণ বিমান রওনা দিল ৷ ছোটখাটো ঘরোয়া বিমানবন্দরে ওঠা-নামা করে এই আধুনিক বোয়িং 757 (US President sneaked to warzone outside US military aegis) ৷

মাঝে বিমানটি জার্মানিতে নেমে জ্বালানি ভরে ৷ তারপর প্রেসিডেন্টের সি-32 বিমানটি সেখানেই রেখে জো বাইডেন আরেকটি বিমানে পোল্যান্ডের ঝেসুভ বিমানবন্দরে (Rzeszow, Poland) নামেন ৷ বিলিয়ন ডলারের পশ্চিমি দামি দামি অস্ত্র, ভিআইপিরা এই পথ দিয়ে তো ইউক্রেনে যান ৷ সেখান থেকে একটি ট্রেন ধরলেন প্রেসিডেন্ট ৷ রাতভর কম-বেশি 10 ঘণ্টার সফর ৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিমানে ওঠার 20 ঘণ্টা কেটে গিয়েছে ৷ সোমবার সকাল 8টা নাগাদ কিভে পৌঁছলেন বিশ্বের শক্তিশালী দেশের রাষ্ট্রনায়ককে ৷ তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে হাজির রাষ্ট্রদূত ব্রিগেট ব্রিঙ্ক (Ambassador Bridget Brink) ৷ সংক্ষিপ্ত কনভয়টিকে মারিনিক্সি প্যালেসের (Mariinsky Palace) দিকে যেতে দেখা গেল ৷

প্রায় এক বছর ধরে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে বিপর্যস্ত দেশের রাস্তাঘাটে যানবাহন চলাচল এখন নিয়ন্ত্রিত ৷ তার মধ্যে আবার কোনও কারণ না দর্শিয়ে জেলেনস্কি সরকার বেশ কয়েকটি রাস্তায় যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে ৷ তখনও দুনিয়ার কাকপক্ষীরা টের পায়নি ৷ কোনও প্রেসিডেন্টের লিমুজিন নয়, একটা সাদা রঙের এসইউভি আর তার পিছনে কনভয় ইউক্রেনের রাজধানীর বন্ধ রাস্তাগুলি দিয়ে চলাচল করছে ৷ এবার হাওয়ায় ভাসল দেশে পা রেখেছেন স্বয়ং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৷ কিভে নেমে পরবর্তী 5 ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন শহরে থামল তাঁর গাড়ি ৷ আসলে তাঁর পোল্যান্ডে যাওয়ার কথা ছিল ৷ হোয়াইট হাউজের তরফে দাবি, তাঁর এই ধূমকেতু সফরের কথা জানা ছিল না ৷

আরও পড়ুন: যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে আচমকাই কিভে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

অন্যদিকে হোয়াইট হাউজের উচ্চাধিকারিক এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার একটি ছোট্ট দল জো বাইডেনের গোপন কিভ-সফর নিয়ে তলে তলে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ৷ প্রেসিডেন্ট শুক্রবার সম্মতি জানান, ব্যস ৷ সোমবার এমনটা জানিয়েছেন খোদ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান (national security adviser Jake Sullivan) ৷ রাস্তায় এই বিশেষ কনভয়ের ভিডিয়ো দ্রুত সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ৷

13 জন সাংবাদিকের জায়গায় মাত্র দু'জন ছিলেন বাইডেনের সঙ্গে ৷ ইউক্রেন যাওয়ার সময়ে তাঁদের ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতিগুলি বন্ধ রাখা হয় ৷ হোয়াইট হাউজ কড়া নজর রাখছিল ৷ ইউক্রেনের বাছাই করা এবং কয়েকজন মাত্র সাংবাদিককে হোটেলে ডেকে পাঠানো হয়েছিল ৷ তাঁরাও জানতেন না জো বাইডেন আসছেন ৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও প্রেসিডেন্ট যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে হঠাৎ হাজির হলেন এবং তারপর 23 ঘণ্টা সেখানে কাটালেন ৷ তাও এমন দেশ, যেখানে আমেরিকা বা তার মিত্র শক্তির কোনও সেনা নেই ৷ আকাশপথেও কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই আমেরিকার ৷ আর যে দেশের প্রতিপক্ষ ভ্লাদিমির পুতিন ৷ যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ ছিল প্রেসিডেন্ট বাইডেনের এই কিভে আসা ৷ তাও এলেন, দেখলেন, জয় করলেন ৷ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছর হবে শুক্রবার ৷ তার আগে বাইডেনের এই হঠাৎ আগমন, জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক ৷ 24 ফেব্রুয়ারি জন্য বিশেষ কোনও ইঙ্গিত ?

আরও পড়ুন: ইউক্রেনে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠিত করেছে রাশিয়া, দাবি হ্যারিসের

কিভ, (ইউক্রেন), 21 ফেব্রুয়ারি: যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের কেউ জানতেন না ৷ দুনিয়ার তাবড় গোয়েন্দা সংস্থার কাছেও খবর ছিল কি ? জান যায়নি ৷ কিন্তু পুতিন জানতেন ৷ মস্কোকে নোটিস পাঠিয়ে মার্কিন প্রশাসনের উচ্চাধিকারিকরা প্রেসিডেন্টের কিভ-সফর নিয়ে জানিয়েছিল ক্রেমলিনকে ৷ রবিবার স্থানীয় সময় ভোররাত 3.30 মিনিট নাগাদ হোয়াইট হাউজ থেকে বের হন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৷ কোনও যুদ্ধবিমান নয়, মার্কিন বায়ু সেনার সি-32 (Air Force C-32) সাধারণ বিমান রওনা দিল ৷ ছোটখাটো ঘরোয়া বিমানবন্দরে ওঠা-নামা করে এই আধুনিক বোয়িং 757 (US President sneaked to warzone outside US military aegis) ৷

মাঝে বিমানটি জার্মানিতে নেমে জ্বালানি ভরে ৷ তারপর প্রেসিডেন্টের সি-32 বিমানটি সেখানেই রেখে জো বাইডেন আরেকটি বিমানে পোল্যান্ডের ঝেসুভ বিমানবন্দরে (Rzeszow, Poland) নামেন ৷ বিলিয়ন ডলারের পশ্চিমি দামি দামি অস্ত্র, ভিআইপিরা এই পথ দিয়ে তো ইউক্রেনে যান ৷ সেখান থেকে একটি ট্রেন ধরলেন প্রেসিডেন্ট ৷ রাতভর কম-বেশি 10 ঘণ্টার সফর ৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিমানে ওঠার 20 ঘণ্টা কেটে গিয়েছে ৷ সোমবার সকাল 8টা নাগাদ কিভে পৌঁছলেন বিশ্বের শক্তিশালী দেশের রাষ্ট্রনায়ককে ৷ তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে হাজির রাষ্ট্রদূত ব্রিগেট ব্রিঙ্ক (Ambassador Bridget Brink) ৷ সংক্ষিপ্ত কনভয়টিকে মারিনিক্সি প্যালেসের (Mariinsky Palace) দিকে যেতে দেখা গেল ৷

প্রায় এক বছর ধরে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে বিপর্যস্ত দেশের রাস্তাঘাটে যানবাহন চলাচল এখন নিয়ন্ত্রিত ৷ তার মধ্যে আবার কোনও কারণ না দর্শিয়ে জেলেনস্কি সরকার বেশ কয়েকটি রাস্তায় যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে ৷ তখনও দুনিয়ার কাকপক্ষীরা টের পায়নি ৷ কোনও প্রেসিডেন্টের লিমুজিন নয়, একটা সাদা রঙের এসইউভি আর তার পিছনে কনভয় ইউক্রেনের রাজধানীর বন্ধ রাস্তাগুলি দিয়ে চলাচল করছে ৷ এবার হাওয়ায় ভাসল দেশে পা রেখেছেন স্বয়ং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৷ কিভে নেমে পরবর্তী 5 ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন শহরে থামল তাঁর গাড়ি ৷ আসলে তাঁর পোল্যান্ডে যাওয়ার কথা ছিল ৷ হোয়াইট হাউজের তরফে দাবি, তাঁর এই ধূমকেতু সফরের কথা জানা ছিল না ৷

আরও পড়ুন: যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে আচমকাই কিভে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

অন্যদিকে হোয়াইট হাউজের উচ্চাধিকারিক এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার একটি ছোট্ট দল জো বাইডেনের গোপন কিভ-সফর নিয়ে তলে তলে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ৷ প্রেসিডেন্ট শুক্রবার সম্মতি জানান, ব্যস ৷ সোমবার এমনটা জানিয়েছেন খোদ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান (national security adviser Jake Sullivan) ৷ রাস্তায় এই বিশেষ কনভয়ের ভিডিয়ো দ্রুত সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ৷

13 জন সাংবাদিকের জায়গায় মাত্র দু'জন ছিলেন বাইডেনের সঙ্গে ৷ ইউক্রেন যাওয়ার সময়ে তাঁদের ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতিগুলি বন্ধ রাখা হয় ৷ হোয়াইট হাউজ কড়া নজর রাখছিল ৷ ইউক্রেনের বাছাই করা এবং কয়েকজন মাত্র সাংবাদিককে হোটেলে ডেকে পাঠানো হয়েছিল ৷ তাঁরাও জানতেন না জো বাইডেন আসছেন ৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও প্রেসিডেন্ট যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে হঠাৎ হাজির হলেন এবং তারপর 23 ঘণ্টা সেখানে কাটালেন ৷ তাও এমন দেশ, যেখানে আমেরিকা বা তার মিত্র শক্তির কোনও সেনা নেই ৷ আকাশপথেও কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই আমেরিকার ৷ আর যে দেশের প্রতিপক্ষ ভ্লাদিমির পুতিন ৷ যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ ছিল প্রেসিডেন্ট বাইডেনের এই কিভে আসা ৷ তাও এলেন, দেখলেন, জয় করলেন ৷ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছর হবে শুক্রবার ৷ তার আগে বাইডেনের এই হঠাৎ আগমন, জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক ৷ 24 ফেব্রুয়ারি জন্য বিশেষ কোনও ইঙ্গিত ?

আরও পড়ুন: ইউক্রেনে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠিত করেছে রাশিয়া, দাবি হ্যারিসের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.