নয়াদিল্লি, 10 নভেম্বর: খালিস্থানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যার ঘটনায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সরাসরি ভারতকে কাঠগড়ায় তুলেছেন ৷ গত সেপ্টেম্বরে তাঁর এই মন্তব্যের পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়েছে ৷ তবে কানাডার বিদেশমন্ত্রী মেলানি জোলি মনে করেন যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের এই খারাপ সময় ভারত ও কানাডা কাটিয়ে উঠবে ৷
একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে এই পরিস্থিতির মধ্যে তিনি তাঁর যোগাযোগ রয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে ৷ এর মধ্যে তাঁরা দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছেন ৷ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে মেলানি জোলি দাবি করেছেন ৷
টোকিয়োতে জি7 গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক হয় শুক্রবার ৷ সেখানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন কানাডার বিদেশমন্ত্রী মেলানি জোলি ৷ সেখানেই নিজের বক্তব্য পেশ করার সময় ভারত ও কানাডার মধ্যে সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা নিয়ে তিনি কথা বলেন ৷
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "যখন ভারতের কথা আসে, আমি এটা অনেকবার উল্লেখ করেছি... আমি এস জয়শংকরের (ভারতের বিদেশমন্ত্রী) সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগে আছি এবং আমরা জানি যে কয়েক দশক ধরে চলা সম্পর্কের একটি কঠিন মুহূর্ত চলছে এখন ৷ তাই, আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমরা এই কঠিন সময় পেরিয়ে যেতে সক্ষম হব ৷ কারণ আমরা জানি যে আমাদের একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ রয়েছে ৷"
উল্লেখ্য, হরদীপ সিং নিজ্জরকে ভারত 2020 সালে খালিস্তানি জঙ্গি হিসেবে ঘোষণা করেন ৷ চলতি বছরের জুলাই মাসে কানাডায় খুন হন নিজ্জর ৷ গত সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে কানাডার সংসদে দাঁড়িয়ে সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দাবি করেন যে ভারতীয় এজেন্টরা ওই খুনে জড়িত ৷ তার পর থেকেই দুই সম্পর্কের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয় ৷ যা এখনও বিদ্যমান ৷ ভারত কানাডার দাবি উড়িয়ে দিয়েছে ৷ কানাডার বিরুদ্ধে কড়া অবস্থানও নিয়েছে ৷ সেই প্রেক্ষিতে ওই দেশের বিদেশমন্ত্রীর এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল ৷
জয়শঙ্কর এর আগে দিল্লিতে বলেছিলেন যে কূটনীতির জন্য সর্বদা জায়গা রয়েছে এবং উভয় দেশই ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা সমাধানের জন্য যোগাযোগ রাখছে ।
এদিকে গত 8 নভেম্বর শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটির (এসজিপিসি) জেনারেল হাউস ভারত ও কানাডা উভয়কেই বিদ্যমান সম্পর্ক সমাধানের আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাশ করে । সেই প্রস্তাবে বলা হয়েছে যে শিখ ও পঞ্জাবীরা এই পরিস্থিতির কারণে ঘৃণামূলক পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে ।
আরও পড়ুন: