হামবুর্গ, 9 এপ্রিল: ছুটে চলেছে একটি ট্রেন ৷ আর ট্রেন যত এগোচ্ছে, ততই কানে ভেসে আসছে মিষ্টি গানের সুর ৷ জলতরঙ্গের মন মাতানো ঝংকারে অনুরণিত হচ্ছে চারপাশ ৷ সুরের মুর্ছনা তুলে ট্রেন এগোচ্ছে তো এগোচ্ছেই ৷ যদি ভাবেন, এই ট্রেনে চড়বেন, তার অবশ্য উপায় নেই ৷ এটা হামবুর্গের মিনিয়েচার ওয়ান্ডারল্যান্ড মিউজ়িয়ামের একটি মডেল ট্রেন ৷ হাজারেরও বেশি জল ভর্তি ওয়াইন গ্লাসে সুর তুলে এই ট্রেন গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা করে নিয়েছে ৷
করোনাভাইরাসের কারণে জার্মানিতে যখন লকডাউন চলছিল, তখন বন্ধ করে দিতে হয়েছিল মিনিয়েচার ওয়ান্ডারল্যান্ড মিউজ়িয়াম ৷ তবে সেই সময়টাকে কাজে লাগিয়েছেন এই মডেল ট্রেনের প্রতিষ্ঠাতা ফ্রেডারিক ব্রাউন ও তাঁর দলবল ৷ প্রায় 3000-এরও বেশি কাচের গ্লাসে জল ঢেলে সারি বেঁধে সাজানো হয়েছে ৷ এক একটা গ্লাসকে দেওয়া হয়েছে এক-একটা সুর ৷ এ ছাড়াও চারপাশে একে একে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে ছোট্ট ছোট্ট হামবুর্গ, লাস ভেগাসের মতো শহর ৷ এগুলিকে পাশে রেখেই জলতরঙ্গের রিনিঝিনি সুর তুলে এগিয়ে চলেছে মডেল ট্রেন ৷
আরও পড়ুন: আমেরিকার নৌসেনার কণ্ঠে ‘ইয়ে যে দেশ তেরা’, ভিডিয়ো শেয়ার করলেন ভারতের রাষ্ট্রদূত
ব্রাউনের কথায়, "এটা একেবারে পারফেক্ট হয়নি ৷ শুধু ওয়াইন গ্লাসগুলি বাজানোর চেষ্টা করেছি ৷ এই বিশ্ব রেকর্ডটা দারুণ একটা রেকর্ড ৷ এটা শিগগিরই কেউ ভাঙতে পারবে না ৷ এটা আমি নিশ্চিত ৷"
এই প্রথমবারই এই মিউজ়িয়াম গিনেম বুকে নাম তুলল তা নয় ৷ বিশ্বের দীর্ঘতম মডেল ট্রেন তৈরি করা হয়েছিল এখানেই ৷ যার ট্র্যাকের দৈর্ঘ্য ছিল 15,715 মিটার ৷