ETV Bharat / international

দক্ষিণ চিন সাগরে পারমাণবিক শক্তিচালিত রণতরী মোতায়েন অ্যামেরিকার

চিনা নৌসেনা দক্ষিণ চিন সাগরে সামরিক মহড়া শুরু করেছে ৷ এর মাঝে দু'টি রণতরী মোতায়েন করল অ্যামেরিকা ৷ চিনের উপর চাপ বাড়াতেই এই পদক্ষেপ বলে অ্যামেরিকা নৌসেনার তরফে জানানো হয়েছে ৷

author img

By

Published : Jul 4, 2020, 6:51 PM IST

রণতরী মোতায়েন অ্যামেরিকার
রণতরী মোতায়েন অ্যামেরিকার

দিল্লি, 4 জুলাই : দক্ষিণ চিন সাগরে দু'টি পারমাণবিক শক্তিচালিত রণতরী মোতায়েন করেছে অ্যামেরিকা ৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় আগ্রাসী মনোভাব দেখাচ্ছে চিন ৷ তাই বেজিংয়ের উপর চাপ বাড়াতেই ইউএসএস নিমিৎজ় ও ইউএসএস রোনাল্ড রিগান নামে দু'টি রণতরী (এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার) মোতায়েন করে অ্যামেরিকা ৷ অ্যামেরিকার এই রণতরী দু'টি লুজ়োন স্ট্রেইট অতিক্রম করছে বলে জানা গিয়েছে ৷ এই স্ট্রেইটটি তাইওয়ান ও ফিলিপিন্সের লুজ়োন দ্বীপের মাঝে অবস্থিত, যা ফিলিপিন সাগর ও দক্ষিণ চিন সাগরের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে ৷

দক্ষিণ চিন সাগরের দখল কে নেবে তা নিয়ে বহুদিন ধরেই চলছে টানাপোড়েন ৷ এর মাঝে চিনের নৌসেনা এই সাগরে সামরিক মহড়া শুরু করে ৷ তারপরই অ্যামেরিকার তরফেও রণতরী মোতায়েন করা হয় ৷ "ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে মুক্ত ও স্বাধীন করার জন্যই" দক্ষিণ চিন সাগরে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে অ্যামেরিকার নৌসেনার তরফে জানানো হয় ৷

ইউএসএস রোনাল্ড রিগানের স্ট্রাইক গ্রুপের কমান্ডার জর্জ এম উইকঅফ বলেন, "এর উদ্দেশ্য হল, আমাদের অংশীদার এবং মিত্রের কাছে একটি স্পষ্ট সংকেত প্রদর্শন করা যে, আমরা আঞ্চলিক সুরক্ষা এবং স্থিতিশীলতার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ৷"

দক্ষিণ চিন সাগরের 90 শতাংশের দাবি জানিয়েছে চিন ৷ যেখান দিয়ে প্রতি বছর প্রায় তিন ট্রিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য চলে ৷ 10 বছর আগে থেকে বেজিং কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করেছে এবং বিভিন্ন জায়গায় সামরিক বিমানবন্দর-সহ সেনা মোতায়েন করেছে ৷ অন্যদিকে, ব্রুনেই, মালয়শিয়া, ফিলিপিন্স, তাইওয়ান ও ভিয়েতনামও দক্ষিণ চিন সাগরে নিজেদের অংশের দাবি জানিয়েছে ৷

বর্তমানে সবচেয়ে বেশি খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ভারত-চিন সীমান্তে ৷ লাদাখের কাছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বিভিন্ন পয়েন্টে মুখোমুখি নিজেদের শক্তি প্রদর্শনও করেছে দুই দেশ ৷ যে কোনও রকম পরিস্থিতির জন্য তৈরি রয়েছে ভারত ৷ পূর্ব লাদাখের সীমান্ত বরাবর 1,597 কিলোমিটার ধরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনা মোতায়েন করেছে ভারত ৷ কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধুমাত্র প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবরই নয়, আরও অনেক জায়গাকে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছে চিন ৷

দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের সামরিক মহড়ার বিষয়ে সমালোচনা করেছে প্রতিবেশী দেশগুলি ৷ ফিলিপিন্স ও ভিয়েতনাম গত সপ্তাহে একটি অনুষ্ঠানে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল ৷ তাদের মতে, চিন কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণের সময় এই দক্ষিণ চিন সাগরে নিজেদের অস্তিত্বকে বৃদ্ধি করছে ৷ চিনের নৌসেনা 1 জুলাই থেকে পাঁচদিনের সামরিক মহড়া শুরু করেছে ৷ ভিয়েতনাম ও ফিলিপিন্সের দাবি, চিনের এই মহড়া প্যারাসেল দ্বীপের কাছে চলছে ৷

দিল্লি, 4 জুলাই : দক্ষিণ চিন সাগরে দু'টি পারমাণবিক শক্তিচালিত রণতরী মোতায়েন করেছে অ্যামেরিকা ৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় আগ্রাসী মনোভাব দেখাচ্ছে চিন ৷ তাই বেজিংয়ের উপর চাপ বাড়াতেই ইউএসএস নিমিৎজ় ও ইউএসএস রোনাল্ড রিগান নামে দু'টি রণতরী (এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার) মোতায়েন করে অ্যামেরিকা ৷ অ্যামেরিকার এই রণতরী দু'টি লুজ়োন স্ট্রেইট অতিক্রম করছে বলে জানা গিয়েছে ৷ এই স্ট্রেইটটি তাইওয়ান ও ফিলিপিন্সের লুজ়োন দ্বীপের মাঝে অবস্থিত, যা ফিলিপিন সাগর ও দক্ষিণ চিন সাগরের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে ৷

দক্ষিণ চিন সাগরের দখল কে নেবে তা নিয়ে বহুদিন ধরেই চলছে টানাপোড়েন ৷ এর মাঝে চিনের নৌসেনা এই সাগরে সামরিক মহড়া শুরু করে ৷ তারপরই অ্যামেরিকার তরফেও রণতরী মোতায়েন করা হয় ৷ "ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে মুক্ত ও স্বাধীন করার জন্যই" দক্ষিণ চিন সাগরে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে অ্যামেরিকার নৌসেনার তরফে জানানো হয় ৷

ইউএসএস রোনাল্ড রিগানের স্ট্রাইক গ্রুপের কমান্ডার জর্জ এম উইকঅফ বলেন, "এর উদ্দেশ্য হল, আমাদের অংশীদার এবং মিত্রের কাছে একটি স্পষ্ট সংকেত প্রদর্শন করা যে, আমরা আঞ্চলিক সুরক্ষা এবং স্থিতিশীলতার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ৷"

দক্ষিণ চিন সাগরের 90 শতাংশের দাবি জানিয়েছে চিন ৷ যেখান দিয়ে প্রতি বছর প্রায় তিন ট্রিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য চলে ৷ 10 বছর আগে থেকে বেজিং কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করেছে এবং বিভিন্ন জায়গায় সামরিক বিমানবন্দর-সহ সেনা মোতায়েন করেছে ৷ অন্যদিকে, ব্রুনেই, মালয়শিয়া, ফিলিপিন্স, তাইওয়ান ও ভিয়েতনামও দক্ষিণ চিন সাগরে নিজেদের অংশের দাবি জানিয়েছে ৷

বর্তমানে সবচেয়ে বেশি খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ভারত-চিন সীমান্তে ৷ লাদাখের কাছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বিভিন্ন পয়েন্টে মুখোমুখি নিজেদের শক্তি প্রদর্শনও করেছে দুই দেশ ৷ যে কোনও রকম পরিস্থিতির জন্য তৈরি রয়েছে ভারত ৷ পূর্ব লাদাখের সীমান্ত বরাবর 1,597 কিলোমিটার ধরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনা মোতায়েন করেছে ভারত ৷ কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধুমাত্র প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবরই নয়, আরও অনেক জায়গাকে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছে চিন ৷

দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের সামরিক মহড়ার বিষয়ে সমালোচনা করেছে প্রতিবেশী দেশগুলি ৷ ফিলিপিন্স ও ভিয়েতনাম গত সপ্তাহে একটি অনুষ্ঠানে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল ৷ তাদের মতে, চিন কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণের সময় এই দক্ষিণ চিন সাগরে নিজেদের অস্তিত্বকে বৃদ্ধি করছে ৷ চিনের নৌসেনা 1 জুলাই থেকে পাঁচদিনের সামরিক মহড়া শুরু করেছে ৷ ভিয়েতনাম ও ফিলিপিন্সের দাবি, চিনের এই মহড়া প্যারাসেল দ্বীপের কাছে চলছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.