ইসলামাবাদ, 22 জুন : চিনের শিনচিয়াং প্রদেশে উইঘুরদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ দীর্ঘদিনের ৷ আন্তর্জাতিক মহলের সমালোচনার মুখে পড়েছে চিন ৷ কিন্তু, নীরব পাকিস্তান ৷ এবার উইঘুর ইস্যুতে চিনের হয়ে ব্যাট ধরতে কাশ্মীরকে ঢাল করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ৷ উইঘুর সমস্যার থেকে কাশ্মীর ইস্যু তাঁদের কাছে বড় বলে মন্তব্য করলেন ৷
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে এক সাক্ষাৎকারে চিনের পক্ষে সওয়াল করে ইমরান বলেন, "আমাদের অর্থনৈতিক সংকটের সময় পাশে দাঁড়িয়েছে চিন ৷ তারা আমাদের অন্যতম ঘনিষ্ঠ বন্ধু দেশ ৷"
চিনের শিনচিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের উপর বেজিংয়ের অত্যাচারের খবর চিন সীমানা পেরিয়ে দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষকে পুনর্বাসন ক্যাম্পে রেখে তাদের শিক্ষিত করার নামে জোর করে আটকে রেখেছে শি চিনপিং সরকার। তাদের স্টেরিলাইজ করে এই সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা কমিয়ে আনার চেষ্টা করেছে। প্রশ্ন উঠছে, ইমরান যখন ৯/১১-র পর ‘ইসলামোফোবিয়া’-র বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপুঞ্জ-সহ পশ্চিমি দেশগুলিতে সরব হয়েছিলেন, তিনি প্রতিবেশী চিনে ‘জেনোসাইড’-এর এই ঘটনায় চুপ কেন?
এই প্রশ্নের উত্তরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন , "চিন যেমন হোক, তাদের আমরা শ্রদ্ধা করি ৷ আর যেকোনও বিষয়ে আমাদের যা কথা হয় , তা বন্ধ দরজার ওপারে ৷"
আরও পড়ুন : কাশ্মীরে গুলির লড়াই, নিকেশ লস্কর-ই-তইবার শীর্ষ নেতা সহ 3 জঙ্গি
এরপরই তাঁর প্রশ্ন, "কিন্তু বারে বারে এই প্রসঙ্গ পশ্চিমি দেশগুলোর কাছে গুরুত্ব পাচ্ছে কেন? কাশ্মীরের মানুষদের দুর্দশা কি চোখে পড়ছে না কোনও দেশের? এই মুহূর্তে সারা দুনিয়ায় তুলনামূলক ভাবে কাশ্মীর অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক। ১০০ হাজার কাশ্মীরিকে খুন করা হয়েছে । ৮ লক্ষ ভারতীয় সৈন্য আক্ষরিক অর্থে ৯০ লক্ষ কাশ্মীরিকে বন্দি করে রেখেছে। এই ঘটনা ছেড়ে শুধু চিনকে নিয়েই পড়ে আছে কেন সবাই? এটা তো ভণ্ডামি ৷"
অন্যদিকে ইমরান খান জানিয়ে দেন, আফগানিস্তান নিয়ন্ত্রণে পাকিস্তানের মাটিতে আমেরিকাকে সিআইএ-র ঘাঁটি গাড়তে দেবেন না ৷