কাঠমান্ডু, 28 জুন : দিল্লি ও কাঠমান্ডুর মধ্যেসীমান্ত সমস্যার মাঝে ফের মুখ খুললেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী খড়্গপ্রসাদ শর্মা ওলি। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁঁরসরকারকে ফেলে দিতে ভারতে বৈঠক হয়েছে । কিন্তু এসব করে কোনও সুবিধা হবে না বলেতিনি জানান ।
প্রধানমন্ত্রীওলি আজ তাঁর বাড়িতে বলেন, নেপালেরসংসদে তাঁঁর সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে । বাইরের কোনও শক্তি তাঁঁর বিরুদ্ধেচক্রান্ত করে সফল হবে না । এপ্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমি জানতে পেরেছি দিল্লিতে বৈঠকহয়েছে । আমাদের সরকার নেপালের যে নতুন ম্যাপ প্রকাশ করেছে, তার বিরুদ্ধাচারণের জন্য ভারতপরিকল্পনা করছে ।” সূত্রেরখবর, প্রধানমন্ত্রীওলি ও NCP চেয়ারম্যানপুষ্পকমল দহলের মধ্যে নতুন করে দূরত্ব তৈরি হয়েছে ।
সম্প্রতিপ্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ভারত থেকে চিন সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত একটি সড়কেরউদ্বোধন করেন । কিন্তু কাঠমান্ডুর তরফে জানানো হয়, এই সড়ক এমন কিছু অঞ্চলের মধ্যে দিয়েবিস্তৃত হয়েছে যা নিয়ে এখনও নেপাল ও ভারতের মধ্যে বিতর্ক চলছে । এরপরেই নেপালেরপ্রধানমন্ত্রী কে পি ওলি সাংসদে ঘোষণা করেন, তাঁঁদের নতুন রাজনৈতিক মানচিত্রেসরকার লিপুলেখ, লিমপিয়াধুরাও কালাপানিকে সংযুক্ত করবে । লিপুলেক পাস কালাপানির কাছে অবস্থিত । এইসীমান্তবর্তী অঞ্চল নিয়ে নেপাল ও ভারতের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে । কারণ ভারত ও নেপালদুই দেশেরই দাবি, কালাপানিতাদের সীমানার অন্তর্গত । ভারতের মতে, কালাপানি উত্তরাখণ্ডের পিথোরগড় জেলারঅঞ্চল । আর নেপালের মতে, কালাপানিধরচুলা জেলার অন্তর্গত ।
নেপালআনুষ্ঠানিকভাবে 21 জুনতাদের নতুন রাজনৈতিক মানচিত্রের উদ্বোধন করে । সেই মানচিত্রে কালাপানি, লিপুলেখ ও লিমপিয়াধুরার সংযুক্তিরবিষয়টি ঘোষণা করেন নেপালের মন্ত্রী পদ্মাকুমারী আরিয়াল । 1816 সালে যে সুগৌলি চুক্তি স্বাক্ষরিতহয়েছিল, তার উপরভিত্তি করে এই নতুন মানচিত্র আঁকা হয়েছে ।