নিউদিল্লি, 26 অক্টোবর : বৈঠকের জন্য় সোমবার দিল্লিতে পৌঁছালেন অ্যামেরিকার সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইকেল পম্পেও ৷ টু প্লাস টু এই বৈঠকে পম্পেও-র সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিতে এসেছেন আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এস্পার ৷ মঙ্গলবার রাইসিনা হিলসে দু’তরফের এই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক বসতে চলেছে ৷ সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, বৈঠকে ভারত ও চিন সীমান্তে যে উত্তেজনা এবং সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে ৷ এমনকী ভারত মহাসাগরের পশ্চিমে চিনা নৌবাহিনী যেভাবে দাপট দেখাচ্ছে তা প্রশমিত করার বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসবে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর ৷
2018 সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্য়ে বৈঠকের পর থেকে প্রতিবছর দু’দেশের মন্ত্রী পর্যায়ে এই আলোচনা হয়ে আসছে ৷ এনিয়ে তৃতীয়বার ৷ ভারতের তরফে এই বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ৷ থাকবেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের সচিব ও অন্য়ান্য় আধিকারিকরা ৷ সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, বৈঠকে ভারত ও আমেরিকার তরফে লাদাখ পরিস্থিতি এবং সেখানে চিনা সেনার আগ্রাসন নিয়ে বিস্তর আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ পাশাপাশি পশ্চিম ভারত মহাসাগরে চিনের আগ্রাসন আমেরিকার জন্য় চিন্তার বিষয় হয়ে উঠেছে ৷ এর জেরে ভারত, বাংলাদেশ, জাপান ও শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলির সঙ্গে মার্কিন বাণিজ্য় বন্ধ হতে বসেছে ৷ ফলে চিনকে ঠেকাতে ভারতের সাহায্য়ের জন্য় বৈঠকে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ তবে, শুধু আমেরিকা বা ভারত নয়, এই মুহূর্তে এশিয়ার বেশিরভাগ দেশের কাছে ভারত মহাসাগরের মুক্ত পথ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য়ের জন্য় খুবই জরুরি ৷ এই অবস্থায় ভারত মহাসাগরে চিনের আগ্রাসন বন্ধের দাবি তুলেছে শ্রীলঙ্কা, মলদ্বীপ, ইন্দোনেশিয়ার মত দেশগুলি ৷ 2017 সালে ভারত,অ্যামেরিকা, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্য়ে ভারত মহাসাগরকে মুক্ত বাণিজ্য়ের জন্য় ব্য়বহার করতে একটি নীতি তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল ৷ যেখানে কোনও নজরদারি থাকবে না ৷ কিন্তু চিনের আগ্রাসি নীতির কারণে তা বারবার ব্য়র্থ হয় ৷ এ নিয়ে 6 অক্টোবর টোকিওতে সব দেশের বিদেশ মন্ত্রীদের মধ্য়ে আলোচনাও হয় ৷ সেখানে সবাই নিজের নিজের মত পোষণ করেন ৷ মঙ্গলবারের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভারতমহাসাগরকে মুক্ত পথ তৈরির করা নিয়েও আলোচনা হবে দু’পক্ষের ৷ এমনকী অ্যামেরিকার তরফে ভারত মহাসাগরে একটি নিরাপত্তাবলয় তৈরির প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যে ৷
বৈঠকের আগে অ্যামেরিকার তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে ৷