ETV Bharat / entertainment

Street Songs in Kolkata: তিলোত্তমার ইটের পাজরে 'গানওয়ালা'দের শহুরে মাধুকরী

বিনোদনের মঞ্চ হিসাবে পথকেই বেছে নিয়েছেন কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়, সৌরজ্যোতি চট্টোপাধ্যায়রা ৷ তাঁদের হাত ধরেই কলকাতা হয়ে উঠছে 'বাস্কিং'-এর আঁতুর ঘর(Busking Is The New Platform For Bengali Musicians ) ৷

Street Songs in Kolkata
গানওয়ালাদের শহুরে মাধুকরী
author img

By

Published : Dec 22, 2022, 10:21 PM IST

Updated : Dec 23, 2022, 10:20 AM IST

তিলোত্তমার ইটের পাজরে 'গানওয়ালা'দের শহুরে মাধুকরী

কলকাতা, 22 ডিসেম্বর: 'পথে এবার নামো সাথী পথেই হবে এ পথ চেনা...' কিংবদন্তি সলিল চৌধুরীর এই গান আজও ফেরে অনুরাগীদের মুখে মুখে ৷ কিংবা 'শোনো বন্ধু শোনো প্রাণহীন এই শহরের ইতিকথা...' সত্যিই যদি কলকাতা শহরকে চিনতে হয় তা হলে এমন গানের কোনও বিকল্প নেই ৷ আর গানকেই সম্বল করে কখনও কখনও শহরের পথে নেমে পড়ে মানুষ ৷ টালিগঞ্জ মেট্রো স্টেশনের ফুটপাথ। কাজ সেরে ফেরার পথে মেট্রোর গেট দিয়ে বেরোনোর তাড়া। ব্যস্ততার ছবি রাস্তা ও ফুটপাথে। গাড়ির বিরামহীন যাওয়া-আসা, ফুটপাথের দোকানির বেচাকেনার আহ্বানের মধ্যে থেকে ভেসে আসছিল আধুনিক গানের সুর, সঙ্গে তাল মিলিয়ে গিটারের ধ্বনি । কখনও বা গিটার ও বেহালার যুগলবন্দী। সন্ধানী চোখ এবং কান খুঁজে বেড়ায় উৎসস্থল ।

ভিড় ঠাসা ব্যস্ত রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে সন্দেহ হয় এতো তিলোত্তমাই! কে এমন মিষ্টি সুরে গান গাইছে রাস্তার মাঝে? নজর পড়ে এক ছিপছিপে তরুণ যুবকের উপর। পরনে শ্যাওলা রঙের ফুল স্লিভ হুডি, নেভি ব্লু রঙের ট্রাক প্যান্ট । পায়ে কালো স্পোর্টস শু আর হাতে গিটার। তার পাশে জ্বলজ্বল করছে একটি প্ল্যকার্ড । তাতে লেখা 'থার্ড স্টেজ' (Busking Lovers in Kolkata)।

একের পর এক অনর্গল গান গেয়েই চলেছেন তিনি । তার পাশ কাটিয়ে তখন অজস্র মানুষ বাড়ির পথ ধরেছেন। কেউ থমকে দাঁড়িয়ে পড়ছেন, কেউ ছেলেটির পাশে পড়ে থাকা টুপিতে গুঁজে দিচ্ছেন 10 টাকা বা 20 টাকা অনুদান । প্রত্যেক গানের শেষে শ্রোতাদের হাততালিও কুড়াচ্ছে যুবক। মাঝে মাঝে আরও উৎসাহী কিছু কিশোর কলেজ পড়ুয়া স্বেচ্ছায় গলা মেলাচ্ছে ওই গিটারওয়ালা গায়কের সঙ্গে । ঠিক যেন হঠাৎ মনে পড়ে যায় কবীর সুমনের 'গানওয়ালা'-র কথা ৷ যাঁকে হঠাৎই কোনও পথিক এসে বলবেন, 'ও গানওয়ালা আরেকটা গান গাও আমার আর কোথাও যাবার নেই...' ৷ থমকে যাবে অনেকের ব্যস্ত পথ চলা (Busking in Kolkata ) ৷

আখড়া থেকে বেরিয়ে দিনের খাওয়ার জোগাড় করতে পথে পথে ফেরে বাউল । মুখে গান, হাতের একতারায় সুরের মূর্ছনা । দুয়ারে দুয়ারে মুষ্টি ভিক্ষা করে দিন যাপনের চেষ্টা । বাউল আঙ্গিকের এই চেষ্টায় ধর্ম এবং সেবা পা মেলায় একসুরে । আভিধানিক ভাষায় এর নাম 'মাধুকরী' ৷ কিন্তু এই যুগে এ শহরে কেউ কি মাধুকরী করে?

অবশ্য় বিদেশে পা দিলে এমন ঘটনার পরিচয় মেলে ৷ 'বাস্কিং' এই শব্দটার সঙ্গে সব বাঙালির এখনও তেমন পরিচয় হয়নি। যাঁরা নিয়মিত গানের চর্চা করেন বা গান ভালোবাসেন তাঁদের কাছে অবশ্য এই শব্দের মানে অজনা নয়। কারণ, এর প্রচলন মধ্য প্রাচ্য দেশগুলিতে হলেও বাংলায় এখনও তেমন একটা দেখা যায় না । যদিও পথ নাটিকার প্রচলন এরাজ্যে বহু পুরোনো ।

তবে সম্প্রতি দিল্লির রাস্তায় এই সমস্ত 'বাস্কিং' শিল্পীরা বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন । যাঁদের মধ্যে অন্যতম বরুণ দাগার । তিনি তাঁর অনন্য নৃত্যশৈলীর জন্যে জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন । আরেক 'বাস্কার' শিল্পী আনশুল রিয়াজি । পেশায় কারখানার শ্রমিক । কিন্তু তিনিও ইন্টারনেটে ঝড় তুলেছেন । তাঁকে প্রায়ই দিল্লির জনবহুল রাস্তায় পারফর্ম করতে দেখা যায় । তাঁর কণ্ঠ তাৎক্ষণিকভাবে পাশ দিয়ে যাওয়া মানুষকে আকর্ষিত করছে । নেটিজেনরা তাঁর বাদ্যযন্ত্র প্রতিভায় বিস্মিত । এমনকী, তাঁর কণ্ঠের প্রশংসায় নেট দুনিয়ায় ঝড় তুলেছে (Busking Is a New Platform in Kolkata For Musicians)।

অর্থাৎ 'বাস্কিং'-এর অর্থ হল স্বেচ্ছায় অনুদানের জন্য রাস্তায় বা যে কোনও সার্বজনিক স্থানে সংগীত পরিবেশন করা । টালিগঞ্জের মহানায়ক উত্তমকুমার মেট্রো স্টেশনের বাইরের ফুটপাথে তরুণ শিক্ষিত যুবক কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়ের গিটার হাতে গান এবং সৌরজ্যোতি চট্টোপাধ্যায়ের বেহালা বাদন তিলোত্তমার সঙ্গীত চর্চায় অভিনব উদ্যোগ । চ্যাম্পস-এলিসিস অ্যাভিনিউ ফ্রান্সের একটি বিখ্যাত রাস্তা । যেখানে বাস্কিং করতে জোড়ো হন গিটারবাদক গাইয়ে,বেহালাবাদক,স্যাক্সোফোন,মাউথঅর্গান শিল্পীরা । পাশে টুপি রেখে গান শোনান মনের আনন্দে ৷ কলকাতার পার্কস্ট্রীট,টালিগঞ্জের মেট্রো চত্ত্বর কিংবা গড়িয়াহাট রাসবিহারী বা বালিগঞ্জ এখন 'বাস্কিং'-এর আঁতুর ঘর হয়ে উঠেছে । ভিক্ষার থালা নয়,অনুকম্পা নয় সুর এবং স্বরের মাদকতায় অনুরাগীদের মোহিত করে নতুন ধরনের এক পেশার সন্ধান কৃষ্ণেন্দুদের (Busking Is The New Platform For Bengali Musicians )।

সাতের দশকের নাট্যকার বাদল সরকারের হাত ধরে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল থার্ড থিয়েটার ৷ যেখানে তথাকথিত প্রসেনিয়াম থিয়েটারের স্টেজ বা ইথার মাধ্যম নয় রাস্তাকেই শিল্পীরা মঞ্চ হিসেবে বেছে নেন । এই নাট্যচিন্তারই প্রতিফলন রয়েছে কৃষ্ণেন্দুর মঞ্চায়নে । তাঁদের প্ল্যাকার্ডে তাই লেখা 'থার্ড স্টেজ' ৷ মহিনের ঘোড়াগুলি-র গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের গান শোনাতে তাই মঞ্চ হিসাবে কৃষেন্দুরা বেছে নিয়েছেন পথকেই ।

পাঁচ পেরিয়ে ছয়ে পা । কৃষ্ণেন্দুর বাস্কিং এগিয়ে চলেছে। রসায়ন নিয়ে পড়া শুরু করলেও গানের টানে রবীন্দ্রভারতী থেকে এম মিউজও করেছেন তিনি । সৌরজ্যোতি একজন ব্যস্ত বেহালা শিক্ষক । বাড়ির সমালোচনা নয়,উৎসাহ কৃষ্ণেন্দুর অনুপ্রেরণা। বছর পঁচিশের যুবক তাই স্বপ্ন দেখেন সঙ্গীতকে ঘিরে।

আরও পড়ুন: লাট সাহেবের রোস্ট খেতে খেতে সুদীপ্তার রান্নাঘরে গপ্পো করবেন জোজো

সংস্কৃতির শহর কলকাতা । কালচারাল ক্যাপিট্যালে অখ্যাত বিখ্যাত হয় আর বিখ্যাত হন কিংবদন্তি। নতুনের পথ চলা পুরানোকে সঙ্গে নিয়ে । বহুবার বিদেশের নতুন নতুন সাংস্কৃতিক আন্দোলনকে আপন করে নিয়েছে কলকাতা ৷ তা সে বিট রিভলিউশন হোক বা পোস্ট মর্ডানিজম ৷ আবার এই কলকাতাতেই ধীরে ধীরে তৈরি হচ্ছে 'বাস্কিং'-এর নতুন মঞ্চ ।

তিলোত্তমার ইটের পাজরে 'গানওয়ালা'দের শহুরে মাধুকরী

কলকাতা, 22 ডিসেম্বর: 'পথে এবার নামো সাথী পথেই হবে এ পথ চেনা...' কিংবদন্তি সলিল চৌধুরীর এই গান আজও ফেরে অনুরাগীদের মুখে মুখে ৷ কিংবা 'শোনো বন্ধু শোনো প্রাণহীন এই শহরের ইতিকথা...' সত্যিই যদি কলকাতা শহরকে চিনতে হয় তা হলে এমন গানের কোনও বিকল্প নেই ৷ আর গানকেই সম্বল করে কখনও কখনও শহরের পথে নেমে পড়ে মানুষ ৷ টালিগঞ্জ মেট্রো স্টেশনের ফুটপাথ। কাজ সেরে ফেরার পথে মেট্রোর গেট দিয়ে বেরোনোর তাড়া। ব্যস্ততার ছবি রাস্তা ও ফুটপাথে। গাড়ির বিরামহীন যাওয়া-আসা, ফুটপাথের দোকানির বেচাকেনার আহ্বানের মধ্যে থেকে ভেসে আসছিল আধুনিক গানের সুর, সঙ্গে তাল মিলিয়ে গিটারের ধ্বনি । কখনও বা গিটার ও বেহালার যুগলবন্দী। সন্ধানী চোখ এবং কান খুঁজে বেড়ায় উৎসস্থল ।

ভিড় ঠাসা ব্যস্ত রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে সন্দেহ হয় এতো তিলোত্তমাই! কে এমন মিষ্টি সুরে গান গাইছে রাস্তার মাঝে? নজর পড়ে এক ছিপছিপে তরুণ যুবকের উপর। পরনে শ্যাওলা রঙের ফুল স্লিভ হুডি, নেভি ব্লু রঙের ট্রাক প্যান্ট । পায়ে কালো স্পোর্টস শু আর হাতে গিটার। তার পাশে জ্বলজ্বল করছে একটি প্ল্যকার্ড । তাতে লেখা 'থার্ড স্টেজ' (Busking Lovers in Kolkata)।

একের পর এক অনর্গল গান গেয়েই চলেছেন তিনি । তার পাশ কাটিয়ে তখন অজস্র মানুষ বাড়ির পথ ধরেছেন। কেউ থমকে দাঁড়িয়ে পড়ছেন, কেউ ছেলেটির পাশে পড়ে থাকা টুপিতে গুঁজে দিচ্ছেন 10 টাকা বা 20 টাকা অনুদান । প্রত্যেক গানের শেষে শ্রোতাদের হাততালিও কুড়াচ্ছে যুবক। মাঝে মাঝে আরও উৎসাহী কিছু কিশোর কলেজ পড়ুয়া স্বেচ্ছায় গলা মেলাচ্ছে ওই গিটারওয়ালা গায়কের সঙ্গে । ঠিক যেন হঠাৎ মনে পড়ে যায় কবীর সুমনের 'গানওয়ালা'-র কথা ৷ যাঁকে হঠাৎই কোনও পথিক এসে বলবেন, 'ও গানওয়ালা আরেকটা গান গাও আমার আর কোথাও যাবার নেই...' ৷ থমকে যাবে অনেকের ব্যস্ত পথ চলা (Busking in Kolkata ) ৷

আখড়া থেকে বেরিয়ে দিনের খাওয়ার জোগাড় করতে পথে পথে ফেরে বাউল । মুখে গান, হাতের একতারায় সুরের মূর্ছনা । দুয়ারে দুয়ারে মুষ্টি ভিক্ষা করে দিন যাপনের চেষ্টা । বাউল আঙ্গিকের এই চেষ্টায় ধর্ম এবং সেবা পা মেলায় একসুরে । আভিধানিক ভাষায় এর নাম 'মাধুকরী' ৷ কিন্তু এই যুগে এ শহরে কেউ কি মাধুকরী করে?

অবশ্য় বিদেশে পা দিলে এমন ঘটনার পরিচয় মেলে ৷ 'বাস্কিং' এই শব্দটার সঙ্গে সব বাঙালির এখনও তেমন পরিচয় হয়নি। যাঁরা নিয়মিত গানের চর্চা করেন বা গান ভালোবাসেন তাঁদের কাছে অবশ্য এই শব্দের মানে অজনা নয়। কারণ, এর প্রচলন মধ্য প্রাচ্য দেশগুলিতে হলেও বাংলায় এখনও তেমন একটা দেখা যায় না । যদিও পথ নাটিকার প্রচলন এরাজ্যে বহু পুরোনো ।

তবে সম্প্রতি দিল্লির রাস্তায় এই সমস্ত 'বাস্কিং' শিল্পীরা বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন । যাঁদের মধ্যে অন্যতম বরুণ দাগার । তিনি তাঁর অনন্য নৃত্যশৈলীর জন্যে জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন । আরেক 'বাস্কার' শিল্পী আনশুল রিয়াজি । পেশায় কারখানার শ্রমিক । কিন্তু তিনিও ইন্টারনেটে ঝড় তুলেছেন । তাঁকে প্রায়ই দিল্লির জনবহুল রাস্তায় পারফর্ম করতে দেখা যায় । তাঁর কণ্ঠ তাৎক্ষণিকভাবে পাশ দিয়ে যাওয়া মানুষকে আকর্ষিত করছে । নেটিজেনরা তাঁর বাদ্যযন্ত্র প্রতিভায় বিস্মিত । এমনকী, তাঁর কণ্ঠের প্রশংসায় নেট দুনিয়ায় ঝড় তুলেছে (Busking Is a New Platform in Kolkata For Musicians)।

অর্থাৎ 'বাস্কিং'-এর অর্থ হল স্বেচ্ছায় অনুদানের জন্য রাস্তায় বা যে কোনও সার্বজনিক স্থানে সংগীত পরিবেশন করা । টালিগঞ্জের মহানায়ক উত্তমকুমার মেট্রো স্টেশনের বাইরের ফুটপাথে তরুণ শিক্ষিত যুবক কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়ের গিটার হাতে গান এবং সৌরজ্যোতি চট্টোপাধ্যায়ের বেহালা বাদন তিলোত্তমার সঙ্গীত চর্চায় অভিনব উদ্যোগ । চ্যাম্পস-এলিসিস অ্যাভিনিউ ফ্রান্সের একটি বিখ্যাত রাস্তা । যেখানে বাস্কিং করতে জোড়ো হন গিটারবাদক গাইয়ে,বেহালাবাদক,স্যাক্সোফোন,মাউথঅর্গান শিল্পীরা । পাশে টুপি রেখে গান শোনান মনের আনন্দে ৷ কলকাতার পার্কস্ট্রীট,টালিগঞ্জের মেট্রো চত্ত্বর কিংবা গড়িয়াহাট রাসবিহারী বা বালিগঞ্জ এখন 'বাস্কিং'-এর আঁতুর ঘর হয়ে উঠেছে । ভিক্ষার থালা নয়,অনুকম্পা নয় সুর এবং স্বরের মাদকতায় অনুরাগীদের মোহিত করে নতুন ধরনের এক পেশার সন্ধান কৃষ্ণেন্দুদের (Busking Is The New Platform For Bengali Musicians )।

সাতের দশকের নাট্যকার বাদল সরকারের হাত ধরে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল থার্ড থিয়েটার ৷ যেখানে তথাকথিত প্রসেনিয়াম থিয়েটারের স্টেজ বা ইথার মাধ্যম নয় রাস্তাকেই শিল্পীরা মঞ্চ হিসেবে বেছে নেন । এই নাট্যচিন্তারই প্রতিফলন রয়েছে কৃষ্ণেন্দুর মঞ্চায়নে । তাঁদের প্ল্যাকার্ডে তাই লেখা 'থার্ড স্টেজ' ৷ মহিনের ঘোড়াগুলি-র গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের গান শোনাতে তাই মঞ্চ হিসাবে কৃষেন্দুরা বেছে নিয়েছেন পথকেই ।

পাঁচ পেরিয়ে ছয়ে পা । কৃষ্ণেন্দুর বাস্কিং এগিয়ে চলেছে। রসায়ন নিয়ে পড়া শুরু করলেও গানের টানে রবীন্দ্রভারতী থেকে এম মিউজও করেছেন তিনি । সৌরজ্যোতি একজন ব্যস্ত বেহালা শিক্ষক । বাড়ির সমালোচনা নয়,উৎসাহ কৃষ্ণেন্দুর অনুপ্রেরণা। বছর পঁচিশের যুবক তাই স্বপ্ন দেখেন সঙ্গীতকে ঘিরে।

আরও পড়ুন: লাট সাহেবের রোস্ট খেতে খেতে সুদীপ্তার রান্নাঘরে গপ্পো করবেন জোজো

সংস্কৃতির শহর কলকাতা । কালচারাল ক্যাপিট্যালে অখ্যাত বিখ্যাত হয় আর বিখ্যাত হন কিংবদন্তি। নতুনের পথ চলা পুরানোকে সঙ্গে নিয়ে । বহুবার বিদেশের নতুন নতুন সাংস্কৃতিক আন্দোলনকে আপন করে নিয়েছে কলকাতা ৷ তা সে বিট রিভলিউশন হোক বা পোস্ট মর্ডানিজম ৷ আবার এই কলকাতাতেই ধীরে ধীরে তৈরি হচ্ছে 'বাস্কিং'-এর নতুন মঞ্চ ।

Last Updated : Dec 23, 2022, 10:20 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.