কলকাতা 29 জুলাই: বড়পর্দায় মুক্তি পেল নতুন ছবি 'ফতেমা'। ধর্ম না মনুষ্যত্ব, এই দু'য়ের মধ্যে কে বড়? এমনই এক পরিচিত প্রশ্নের উত্তর খুঁজে নিতে বড়পর্দায় হাজির আতিউল ইসলাম পরিচালিত 'ফতেমা'। পিএম মুভিজ-এর ব্যানারে মুক্তি পেয়েছে এই ছবি । ছবির প্রিমিয়ারে দেখা মিলল বাংলার মহারাজ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। ছিলেন ছবির অন্য কলাকুশলীরাও ৷ পরিচালক আলিউল ইসলামকে শুভেচ্ছা জানালেন তিনি।
সৌরভ এদিন বলেন, "আতিউল তোমার ছবির আজ প্রিমিয়ার ৷ ভালো হোক, আশা করছি ছবিটা মানুষের ভালো লাগবে ।" ছবির গল্প কিছুটা এমন, হঠাৎ প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হওয়ায় রিক্সা চালানো বন্ধ হয়ে যায় এক ব্যক্তির । সংসারের একমাত্র উপার্জনের পথ বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায় মেয়ে ফতেমার পড়াশোনাও । বন্ধ হয় স্বপ্ন দেখাও। ফতেমার স্বপ্ন ছিল, লেখাপড়া করে সরকারি চাকরি পেয়ে বাবার সমস্ত কষ্ট দূর করে দেবে । কিন্তু সংসার চালানোই কঠিন হয়ে যায় এই পরিস্থিতিতে ।
এই সময় এলাকার পুরোহিত, সাধন ঠাকুরের সান্নিধ্য পেল ফতেমা । তার বাড়িতে ঘর মোছা, বাসন মাজা, রান্না করা, এমনকি পুজোর ভোগ তৈরি করা সমস্ত কাজ ফতেমাই করতে শুরু করে । ইতিমধ্যে বাবা মারা যায় তার ৷ মা'কে সে হারিয়েছে অনেক আগেই । ফলে পুরোপুরিভাবে পুরোহিতের বাড়িতে জায়গা হল তার ।
পুরোহিত, ফতেমাকে বোনের মতই ভালোবাসে। ফতেমাও সাধন ঠাকুরকে দাদার মতো শ্রদ্ধা করে, ভালোবাসে, ঘরের সমস্ত কাজ করে দেয় । একরকম ঠিকঠাকই চলছিল । কিন্তু সমস্যা বাঁধল অন্য দিকে । দু'টি ভিন্ন ধর্মের মানুষের একটি ছাদের তলায় বসবাস ভালো চোখে নিল না সমাজ । মুসলমানরা ফতেমাকে ঘৃণা করতে শুরু করে ৷ ফতেমাকে একঘরে করে দেওয়া হয় । অন্যদিকে মুসলিম মেয়েকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য একের পর এক কাজ হারাতে লাগলেন পুরোহিতও । অত্যন্ত অভাবে কাটতে থাকে তাদের জীবন । সেই কাহিনিই তুলে ধরবে এই ছবি ৷
আরও পড়ুন: 'কেজিএফ 2' এর পর ফের দক্ষিণে পাড়ি, জন্মদিনে নতুন ছবির খবর দিলেন সঞ্জুবাবা
পরিচালক আতিউল ইসলাম বলেন, "এই ছবিতে দর্শক সমাজের এক ভিন্ন রূপ দেখতে পাবে । মানুষ সবার উপরে, সেই কথাটাই এই ছবির প্রাণ ভোমরা। যেখানে দুই ভিন্ন ধর্মের ভাই বোনের পবিত্র সম্পর্ক দেখানো হয়েছে । ছবির প্রতিটি মোড়ে রয়েছে অন্য টুইস্ট । আশা করছি বাঙালি সিনেমাপ্রেমীদের ভালো লাগবে এই ছবি ।"
অন্যদিকে অভিনেতা রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এই ছবিটি আমার অভিনীত ছবিগুলির থেকে কিছুটা আলাদা। এর আগে আমাকে যেমন চরিত্রে সবাই দেখেছে, তার থেকে পুরোপুরি ভিন্ন একটি চরিত্র । একজন ব্রাহ্মণের চরিত্রে দেখা গিয়েছে আমাকে । পৌরহিত্য ছাড়াও সে একটি অজানা অচেনা ভিন্ন ধর্মের মেয়েকে বাড়িতে আশ্রয় দেয়, তার দায়িত্ব নেয় । চরিত্রটা সকলের ভালোলাগার মতো বলে মনে হয় আমার।"