কলকাতা, 7 জুন : সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত হিন্দি ছবি 'শেরদিল' প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে 24 জুন । নেপালের পিলিভিটের একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি এই ছবির ট্রেলার মুক্তি পেতে না-পেতেই শোরগোল ফেলেছে ৷ আরও একটি কারণে সিনেপ্রেমীদের কাছে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে এই ছবি ৷ কারণ এই ছবিতেই জীবনের শেষ প্লে-ব্যাকটি গেয়ে গিয়েছেন সদ্যপ্রয়াত কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ । কথামতো কেকে-র কণ্ঠে 'ধুপ পানি বহনে দে' গানটি রিলিজ পেল সোমবার (KK Last Movie Song Dhoop Paani Bahne De)।
কেকে'র মৃত্যু ভুলতে সময় লাগবে কলকাতাবাসীর । কেকে'র সঙ্গে কলকাতার কোথাও একটা যে আত্মিক টান আছে মেনে নিতেই হবে । শিল্পী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন কলকাতায় । আর কাকতালীয়ভাবে তাঁর কণ্ঠে শেষ প্লে-ব্যাকটিও এমন এক ছবির যার পরিচালক একজন বাঙালি ৷ গানটি লিখেছেন গুলজার, সুর দিয়েছেন শান্তনু মৈত্র । কেকে'কে নিয়ে বলতে গিয়ে আবেগ আর নস্ট্যালজিয়া গ্রাস করে কিংবদন্তি গুলজারকে ।
তিনি বলেন, "সৃজিত আমাকে ওঁর ছবিতে কাজ করার সুযোগ দিয়েছে । শুধু তাই নয়, আমাকে কেকে'র সঙ্গে ফের একবার কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে সৃজিত । কেকে'র সঙ্গে আমার প্রথম কাজ 'মাচিস' ছবিতে । "ছোড় আয়ে হাম ও গলিয়া..." গানটি গেয়েছিল কেকে । আর 'শেরদিল' ছবির এই গানটি পরিবেশ সচেতনতার বার্তা দেয় । জঙ্গল, নদী, মাটি, গাছ বাঁচানোর বার্তা দেয় । আমার ভাবতে এবং বলতে খারাপ লাগছে কেকে'র এটাই শেষ গান । আরও ক'টা দিন কেকে থেকে যেতে পারত । যদিও মৃত্যু আমাদের কারোরই হাতে নেই, তবে, 'শেরদিল' ছবির কথা হলেই আমার কেকে'র কথা মনে পড়বে ।"
শান্তনু মৈত্র জানান, "কেকে এই গানটা একেবারে লাইভ কনসার্টের মতো করে গেয়েছিলেন । এই গানে একটি বিশেষ বার্তা আছে । যেটা যুব সমাজের জানা দরকার । গানটা কেকে নিজের মতো করে প্রাণ ঢেলে গেয়েছিলেন ।" সৃজিত মুখোপাধ্যায় বলেন, "আমরা গুলজারের লেখা পড়ে বড় হয়েছি । কেকে'র গান আমাদের সব অনুভূতির জন্য । এই ছবির দৌলতে দু'জনের কাছাকাছি আসতে পেরেছি । এটা আমার কাছে জোড়া পাওনা ।" রবিবারই তাঁর ছবিতে গাওয়া কেকে-র শেষ গানমুক্তিক কথা জানিয়েছিলেন সৃজিত ।
- " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="">
আরও পড়ুন: দুশো কোটির ক্লাবে কার্তিক-কিয়ারার ভুল ভুলাইয়া 2, পিছিয়ে অক্ষয়ও
উল্লেখ্য, আজ কেকে'র মৃত্যুর এক সপ্তাহ অতিক্রান্ত হল । গত মঙ্গলবার এক কলেজ ফেস্ট-এ গাইতে এসেই কার্ডিয়াক অ্যাটাক-এর কারণে মৃত্যু হয় তাঁর । তাঁকে হারিয়ে এক প্রকার মরমে মরেছে কলকাতাবাসী । তাঁর এই মৃত্যুকে ঘিরে বিতর্কও এখন তুঙ্গে । কথায় আছে শিল্পীর মৃত্যু হয়, শিল্পের মৃত্যু হয় না । কেকে নেই । বেঁচে থাকবে তাঁর অগণিত গান ।