কলকাতা, 29 অক্টোবর : অন্যান্য সবকিছুর মতই কোরোনার জেরে তৈরি পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে বিভিন্ন ভাবনায় গড়া দুর্গোৎসবের মণ্ডপ ও দুর্গা প্রতিমার দ্বিতীয় জীবনেও। প্রতি বছরই রাজ্যের, বিশেষত কলকাতার দুর্গোৎসবে থিমপুজোর মণ্ডপগুলি কালীপুজো বা জগদ্ধাত্রী পুজোর মণ্ডপ হিসেবে বিভিন্ন জেলায় যায়। অথবা দুর্গা প্রতিমা সংরক্ষণ করা হত সংগ্রহশালায়। এবছরও কলকাতার বেশ কিছু মণ্ডপ কালীপুজো বা জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য অন্যত্র যাচ্ছে ৷ সংরক্ষিত হচ্ছে কয়েকটি দুর্গা মূর্তিও। কিন্তু, কলকাতার অধিকাংশ বড় পুজোগুলির প্যান্ডেল খুলে নেওয়া হচ্ছে। নিরঞ্জন করে দেওয়া হচ্ছে মায়ের প্রতিমা। কারণ, কালী পুজো বা জগদ্ধাত্রী পুজোগুলিতে তাঁদের মণ্ডপ ব্যবহারের জন্য কাউকে রাজি করাতে পারেননি শিল্পীরা।
বেহালার শখের বাজারের বড়িশা ক্লাবের পুজো এবছর শুধু দেশজোড়া নয়, বিশ্বজোড়া খ্যাতি পেয়েছে । এই ক্লাবের পুজোয় শিল্পী রিন্টু দাস কোরোনার জেরে তৈরি পরিস্থিতিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্বিষহ ও মর্মান্তিক অবস্থার কাহিনি মা দুর্গার মূর্তি ও তার কোলে থাকা ছেলে-মেয়েদের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছিলেন। এই ক্লাব তাঁদের মণ্ডপ বা প্রতিমা এবার নষ্ট করছে না । কারণ, রাজ্য সরকারের তরফে 'পরিযায়ী মা' রূপী মূর্তিকে সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবারের ভাবনা নিয়ে শিল্পী রিন্টু দাস বলেন, "যারা রাতের পর রাত, দিনের পর দিন হেঁটেছিলেন, খাবার বা জল পাননি, আমার মনে হয়েছিল এ বছর তাঁদেরই পুজো করব। মানুষের পুজো করব, যে মা রাতের পর রাত হেটেছে, একফোঁটা জল পাননি তাঁর পুজো করব। সেই আমার কাছে মা। অনেকে প্রশ্ন করেছিল, পরিযায়ী শ্রমিক এত সুন্দর কী করে হল ? আমি বললাম, গরিব মানে কি সুন্দর হতে পারে না ? মা মানেই সে বিশ্বের সবথেকে সুন্দর।" এই ভাবনাচিন্তা থেকেই কোলে বাচ্চা নিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে ত্রাণের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন বড়িশা ক্লাবের মা দুর্গা।
রাজ্য সরকারের পরিযায়ী মায়ের প্রতিমা সংরক্ষণ করার ভাবনা নিয়ে শিল্পী রিন্টু দাস বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার বড়িশার পুজোর উদ্বোধন করেছিলেন। উনি নিজে প্রথমে প্রতিমার ছবিটা তোলেন। তারপরে বেরোনোর সময় বলেন, এই কাজটা সরকার নেব এবং মিউজ়িয়ামে রাখবে। মুখ্যমন্ত্রী সপ্তমী, অষ্টমীতে যে শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছিলেন তার পিছনে ছিল বড়িশার প্রতিমা ৷ এমনকী নবান্নতে একটা পরিকল্পনা চলছে, মায়ের মূর্তিটাকে কোনও দ্বীপে রাখা হবে এবং তার একটা নামকরণ করা হবে। কেননা কোরোনা একদিন না একদিন চলে যাবে। ফলে, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন কোরোনার মধ্যে পুজোটা কেমন হয়েছিল তা দেখতে পায় তার জন্য একটা দ্বীপে প্রতিমাকে রাখার পরিকল্পনা চলছে।
মণ্ডপ ও প্রতিমা সংরক্ষণেও সংক্রমণের খাঁড়া
কলকাতার বেশ কিছু মণ্ডপ কালীপুজো বা জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য অন্যত্র যাচ্ছে ৷ সংরক্ষিত হচ্ছে কয়েকটি দুর্গা প্রতিমা। কিন্তু, কলকাতার অধিকাংশ বড় পুজোগুলির প্যান্ডেল খুলে নেওয়া হচ্ছে। নিরঞ্জন করে দেওয়া হচ্ছে মায়ের প্রতিমা।
কলকাতা, 29 অক্টোবর : অন্যান্য সবকিছুর মতই কোরোনার জেরে তৈরি পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে বিভিন্ন ভাবনায় গড়া দুর্গোৎসবের মণ্ডপ ও দুর্গা প্রতিমার দ্বিতীয় জীবনেও। প্রতি বছরই রাজ্যের, বিশেষত কলকাতার দুর্গোৎসবে থিমপুজোর মণ্ডপগুলি কালীপুজো বা জগদ্ধাত্রী পুজোর মণ্ডপ হিসেবে বিভিন্ন জেলায় যায়। অথবা দুর্গা প্রতিমা সংরক্ষণ করা হত সংগ্রহশালায়। এবছরও কলকাতার বেশ কিছু মণ্ডপ কালীপুজো বা জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য অন্যত্র যাচ্ছে ৷ সংরক্ষিত হচ্ছে কয়েকটি দুর্গা মূর্তিও। কিন্তু, কলকাতার অধিকাংশ বড় পুজোগুলির প্যান্ডেল খুলে নেওয়া হচ্ছে। নিরঞ্জন করে দেওয়া হচ্ছে মায়ের প্রতিমা। কারণ, কালী পুজো বা জগদ্ধাত্রী পুজোগুলিতে তাঁদের মণ্ডপ ব্যবহারের জন্য কাউকে রাজি করাতে পারেননি শিল্পীরা।
বেহালার শখের বাজারের বড়িশা ক্লাবের পুজো এবছর শুধু দেশজোড়া নয়, বিশ্বজোড়া খ্যাতি পেয়েছে । এই ক্লাবের পুজোয় শিল্পী রিন্টু দাস কোরোনার জেরে তৈরি পরিস্থিতিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্বিষহ ও মর্মান্তিক অবস্থার কাহিনি মা দুর্গার মূর্তি ও তার কোলে থাকা ছেলে-মেয়েদের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছিলেন। এই ক্লাব তাঁদের মণ্ডপ বা প্রতিমা এবার নষ্ট করছে না । কারণ, রাজ্য সরকারের তরফে 'পরিযায়ী মা' রূপী মূর্তিকে সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবারের ভাবনা নিয়ে শিল্পী রিন্টু দাস বলেন, "যারা রাতের পর রাত, দিনের পর দিন হেঁটেছিলেন, খাবার বা জল পাননি, আমার মনে হয়েছিল এ বছর তাঁদেরই পুজো করব। মানুষের পুজো করব, যে মা রাতের পর রাত হেটেছে, একফোঁটা জল পাননি তাঁর পুজো করব। সেই আমার কাছে মা। অনেকে প্রশ্ন করেছিল, পরিযায়ী শ্রমিক এত সুন্দর কী করে হল ? আমি বললাম, গরিব মানে কি সুন্দর হতে পারে না ? মা মানেই সে বিশ্বের সবথেকে সুন্দর।" এই ভাবনাচিন্তা থেকেই কোলে বাচ্চা নিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে ত্রাণের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন বড়িশা ক্লাবের মা দুর্গা।
রাজ্য সরকারের পরিযায়ী মায়ের প্রতিমা সংরক্ষণ করার ভাবনা নিয়ে শিল্পী রিন্টু দাস বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার বড়িশার পুজোর উদ্বোধন করেছিলেন। উনি নিজে প্রথমে প্রতিমার ছবিটা তোলেন। তারপরে বেরোনোর সময় বলেন, এই কাজটা সরকার নেব এবং মিউজ়িয়ামে রাখবে। মুখ্যমন্ত্রী সপ্তমী, অষ্টমীতে যে শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছিলেন তার পিছনে ছিল বড়িশার প্রতিমা ৷ এমনকী নবান্নতে একটা পরিকল্পনা চলছে, মায়ের মূর্তিটাকে কোনও দ্বীপে রাখা হবে এবং তার একটা নামকরণ করা হবে। কেননা কোরোনা একদিন না একদিন চলে যাবে। ফলে, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন কোরোনার মধ্যে পুজোটা কেমন হয়েছিল তা দেখতে পায় তার জন্য একটা দ্বীপে প্রতিমাকে রাখার পরিকল্পনা চলছে।