নাগপুর, 21 জুন : পরিবারের পাঁচজনকে খুন করে আত্মঘাতী হল এক ব্যক্তি ৷ নাগপুরের টিমকিতে হাড় হিম করা এই ঘটনার কথা জানাজানি হয়েছে সোমবারই ৷ কী কারণে এই খুন তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে ৷ তবে মনে করা হচ্ছে, শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে বচসার জেরেই ওই ব্যক্তি এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে ৷
জানা গিয়েছে, বছর পঞ্চাশের অলোক মাসুলকর নামে ওই ব্যক্তি স্ত্রী বিজয়া, মেয়ে বিনতি, ছেলে সাহিলকে খুন করে ৷ শাশুড়ি লক্ষ্মী বোবদে এবং শালি আমিশা বোবদেকেও খুন করে সে ৷ অনুমান করা হচ্ছে, প্রথমে শ্বশুরবাড়িতে শাশুড়ি এবং শালিকে খুন করে বাড়িতে এসে স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়েকে খুন করে সে ৷ এদিন সকালে ঘটনার কথা জানাজানি হয় ৷ খবর পেয়ে নাগপুরের পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার ঘটনাস্থলে যান ৷
সোমবার সকাল 11টা নাগাদ গোটা ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে ৷ প্রতিবেশীরা জানান, মাসুলকর পরিবার সাধারণত সকাল সকাল উঠে পড়ে ৷ তবে এদিন দুপুর পর্যন্ত কাউকে ঘুম থেকে উঠতে দেখা যায়নি ৷ বাড়ির মধ্যে কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা জানালা দিয়ে দেখার চেষ্টা করে ৷ তাঁরা দেখতে পান, ছেলে সাহিল মাটিতে পড়ে রয়েছে ৷ ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে তাঁরা থানায় খবর দেন ৷ পুলিশ এসে বাড়ির দরজা ভেঙে ঢুকে বাড়ির চার সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধার করে ৷
মুহূর্তের মধ্যে এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়ে ৷ ইতিমধ্যেই পুলিশ অলোকের শাশুড়ি এবং শালির মৃত্যুর খবর পায় ৷ পুলিশের অনুমান, অলোক শ্বশুরবাড়িতে শাশুড়ি এবং শালিকে খুন করে বাড়িতে এসে স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়েকেও খুন করে ৷ শেষ নিজে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয় ৷
জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগেই শালি আমিশার সঙ্গে বচসা হয় অলোকের ৷ তার জেরে অলোকের বিরুদ্ধে তার শালি থানায় অভিযোগও দায়ের করেন ৷ সেই বচসার জেরেই আত্মঘাতী অভিযুক্ত এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে ৷
আরও পড়ুন : দিল্লিতে জুতো কারখানায় আগুন, খোঁজ নেই 6 জনের
