ETV Bharat / city

Afghanistan Crisis : আফগানিস্তানে রফতানি বন্ধ, ইতিমধ্যেই 20 কোটি টাকার ক্ষতি উত্তরবঙ্গের চা শিল্পে

গত 15 অগস্ট থেকে বন্ধ রয়েছে রফতানি ৷ কারণ আফগানিস্তানের অশান্তি ৷ ইতিমধ্যেই প্রায় 20 কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গিয়েছে উত্তরবঙ্গের চা শিল্পে ৷ করোনার জন্য এমনিতেই সমস্যায় ছিলেন ব্যবসায়ীরা ৷ এবার পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানে বন্ধ হল রফতানি ৷ সমস্যা সমাধানে সরকারি পদক্ষেপের আশায় রয়েছেন উত্তরবঙ্গের চা ব্যবসায়ীরা ৷

20 কোটি টাকার ক্ষতি উত্তরবঙ্গের চা শিল্পে
20 কোটি টাকার ক্ষতি উত্তরবঙ্গের চা শিল্পে
author img

By

Published : Sep 11, 2021, 5:39 PM IST

Updated : Sep 11, 2021, 9:17 PM IST

দার্জিলিং, 11 সেপ্টেম্বর : আফগানিস্তান তালিবানের দখলে চলে যাওয়ার পর থেকেই ভারতের সঙ্গে সবরকম বাণিজ্য বন্ধ হয়েছে ৷ দেশের পাশাপাশি বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে এরাজ্যও ৷ উত্তরবঙ্গের চা শিল্পও রয়েছে সেই তালিকায় ৷ উত্তরবঙ্গের পাহাড়, তরাই, ডুয়ার্সের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মূল স্তম্ভই হল চা-শিল্প । এই অঞ্চলের চা সারা বিশ্বে রফতানি হয়ে থাকে, যার মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তানও । কিন্তু সেদেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে চা রফতানি এখন সম্পূর্ণ বন্ধ । তাতেই আশঙ্কা ছড়িয়েছে চা শিল্পপতি এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে । আফগানিস্তানে চা রফতানি বন্ধ হওয়ার ফলে তার প্রভাব ইতিমধ্যে পড়তে শুরু করেছে উত্তরের চা শিল্পে । সেজন্য দ্রুত রাজ্য এবং কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন চা শিল্পপতিরা ।

আফগানিস্তান-সহ আরব বিশ্বের উত্তরের চায়ের একটা বড় অংশ রফতানি হয়ে থাকে । দক্ষিণ ভারতের তুলনায় উত্তর ভারতের বিশেষ করে দার্জিলিংয়ের চায়ের ওই দেশগুলিতে আলাদা চাহিদা রয়েছে । পুরো ভারতে মোট উৎপাদিত চায়ের একটি বড় অংশ উত্তরবঙ্গ থেকে পাকিস্তান হয়ে আফগানিস্তানে রফতানি হয় । কিন্তু গত 15 অগস্ট থেকে সেখানে চা রফতানি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়েছে ৷ ফলে ক্ষতির মুখে পড়তে শুরু করেছেন চা ব্যবসায়ীরা । ইতিমধ্যেই প্রায় 20 কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে ৷ এমন যদি চলতেই থাকে তাহলে প্রতি বছরে ক্ষতি হবে প্রায় 27 কোটি টাকারও বেশি । সেজন্য টি বোর্ডের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছে বিভিন্ন চা সংগঠন । কারণ উত্তরবঙ্গের অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ হল ঐতিহ্যবাহী চা শিল্প । এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষের রুজিরুটি ।

আফগানিস্তানে রফতানি বন্ধ, ইতিমধ্যেই 20 কোটি টাকার ক্ষতি উত্তরবঙ্গের চা শিল্পে

টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার সমীক্ষা অনুযায়ী, 2019-20 সালে সিটিসি, গ্রিন টি ও বিভিন্ন ধরণের চা মিলিয়ে তরাই অঞ্চল থেকে প্রায় 217 লক্ষ কেজি বেশি চা রফতানি হত আফগানিস্তানে । এই মুহূর্তে তা সম্পূর্ণই বন্ধ হয়ে গিয়েছে । পরিস্থিতি এমনই থাকলে গোটা বছরের হিসাবে 25 থেকে 27 কোটি টাকারও বেশি ক্ষতির মুখে পড়তে হবে । অন্যদিকে, করোনা পরিস্থিতির জেরে দীর্ঘদিন বাগান প্রায় বন্ধ থাকায় এমনিতেই দুর্ভোগের শিকার হতে হয়েছে চা শিল্পকে ৷ তার ওপর আবার এই পরিস্থিতিতে রফতানি বন্ধ হওয়ায় চিন্তায় পড়েছেন চা ব্যবসায়ীরা ৷

টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার সম্পাদক সুমিত ঘোষ বলেন, "পাহাড়, তরাই ও ডুয়ার্সের লক্ষ লক্ষ মানুষ চা শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন । তাঁদের সংসার চলছে চা রফতানির ওপর নির্ভর করেই । এমনিতেই করোনা পরিস্থিতিতে অনেকটাই মুখ থুবড়ে পড়েছে শিল্প । আফগানিস্তানে চা রফতানি বন্ধ হওয়ায় ব্যাপক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ব্যবসায় । দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে পরবর্তীতে আরও সমস্যা হবে ।"

তরাই ইন্ডিয়ান প্ল্যান্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মহেন্দ্রপ্রসাদ বনসল বলেন, "চলতি বছরে করোনার জেরে মার্চ, এপ্রিল, মে, জুন- এই চার মাস চা বাগান পুরো বন্ধ ছিল । এবার এভাবে আফগানিস্তানে রফতানি বন্ধ থাকলে প্রতি বছর বড় অঙ্কের টাকার ক্ষতি হবে ।"

আরও পড়ুন : Durga Puja : বাগুইআটির বন্ধুমহলে এবার থিম সং গাইছেন আফগানিরা, থাকছে বেলি ডান্সও

দার্জিলিং, 11 সেপ্টেম্বর : আফগানিস্তান তালিবানের দখলে চলে যাওয়ার পর থেকেই ভারতের সঙ্গে সবরকম বাণিজ্য বন্ধ হয়েছে ৷ দেশের পাশাপাশি বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে এরাজ্যও ৷ উত্তরবঙ্গের চা শিল্পও রয়েছে সেই তালিকায় ৷ উত্তরবঙ্গের পাহাড়, তরাই, ডুয়ার্সের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মূল স্তম্ভই হল চা-শিল্প । এই অঞ্চলের চা সারা বিশ্বে রফতানি হয়ে থাকে, যার মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তানও । কিন্তু সেদেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে চা রফতানি এখন সম্পূর্ণ বন্ধ । তাতেই আশঙ্কা ছড়িয়েছে চা শিল্পপতি এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে । আফগানিস্তানে চা রফতানি বন্ধ হওয়ার ফলে তার প্রভাব ইতিমধ্যে পড়তে শুরু করেছে উত্তরের চা শিল্পে । সেজন্য দ্রুত রাজ্য এবং কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন চা শিল্পপতিরা ।

আফগানিস্তান-সহ আরব বিশ্বের উত্তরের চায়ের একটা বড় অংশ রফতানি হয়ে থাকে । দক্ষিণ ভারতের তুলনায় উত্তর ভারতের বিশেষ করে দার্জিলিংয়ের চায়ের ওই দেশগুলিতে আলাদা চাহিদা রয়েছে । পুরো ভারতে মোট উৎপাদিত চায়ের একটি বড় অংশ উত্তরবঙ্গ থেকে পাকিস্তান হয়ে আফগানিস্তানে রফতানি হয় । কিন্তু গত 15 অগস্ট থেকে সেখানে চা রফতানি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়েছে ৷ ফলে ক্ষতির মুখে পড়তে শুরু করেছেন চা ব্যবসায়ীরা । ইতিমধ্যেই প্রায় 20 কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে ৷ এমন যদি চলতেই থাকে তাহলে প্রতি বছরে ক্ষতি হবে প্রায় 27 কোটি টাকারও বেশি । সেজন্য টি বোর্ডের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছে বিভিন্ন চা সংগঠন । কারণ উত্তরবঙ্গের অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ হল ঐতিহ্যবাহী চা শিল্প । এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষের রুজিরুটি ।

আফগানিস্তানে রফতানি বন্ধ, ইতিমধ্যেই 20 কোটি টাকার ক্ষতি উত্তরবঙ্গের চা শিল্পে

টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার সমীক্ষা অনুযায়ী, 2019-20 সালে সিটিসি, গ্রিন টি ও বিভিন্ন ধরণের চা মিলিয়ে তরাই অঞ্চল থেকে প্রায় 217 লক্ষ কেজি বেশি চা রফতানি হত আফগানিস্তানে । এই মুহূর্তে তা সম্পূর্ণই বন্ধ হয়ে গিয়েছে । পরিস্থিতি এমনই থাকলে গোটা বছরের হিসাবে 25 থেকে 27 কোটি টাকারও বেশি ক্ষতির মুখে পড়তে হবে । অন্যদিকে, করোনা পরিস্থিতির জেরে দীর্ঘদিন বাগান প্রায় বন্ধ থাকায় এমনিতেই দুর্ভোগের শিকার হতে হয়েছে চা শিল্পকে ৷ তার ওপর আবার এই পরিস্থিতিতে রফতানি বন্ধ হওয়ায় চিন্তায় পড়েছেন চা ব্যবসায়ীরা ৷

টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার সম্পাদক সুমিত ঘোষ বলেন, "পাহাড়, তরাই ও ডুয়ার্সের লক্ষ লক্ষ মানুষ চা শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন । তাঁদের সংসার চলছে চা রফতানির ওপর নির্ভর করেই । এমনিতেই করোনা পরিস্থিতিতে অনেকটাই মুখ থুবড়ে পড়েছে শিল্প । আফগানিস্তানে চা রফতানি বন্ধ হওয়ায় ব্যাপক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ব্যবসায় । দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে পরবর্তীতে আরও সমস্যা হবে ।"

তরাই ইন্ডিয়ান প্ল্যান্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মহেন্দ্রপ্রসাদ বনসল বলেন, "চলতি বছরে করোনার জেরে মার্চ, এপ্রিল, মে, জুন- এই চার মাস চা বাগান পুরো বন্ধ ছিল । এবার এভাবে আফগানিস্তানে রফতানি বন্ধ থাকলে প্রতি বছর বড় অঙ্কের টাকার ক্ষতি হবে ।"

আরও পড়ুন : Durga Puja : বাগুইআটির বন্ধুমহলে এবার থিম সং গাইছেন আফগানিরা, থাকছে বেলি ডান্সও

Last Updated : Sep 11, 2021, 9:17 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.