ETV Bharat / city

তাণ্ডবের পর বন্ধ ট্রেন, দুর্ভোগে ব্যবসায়ীরা - পূর্ব রেল

গত শনিবার থেকে সেই ব্যবসায়ীদের বেহাল দশা ৷ দোকানে পসরা সাজিয়ে বসলেও দেখা মিলছে না ক্রেতার ৷ তার উপর সম্প্রতি ওই এলাকায় রিফিলিং সেন্টারটি বন্ধ করে দিয়েছে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন ৷ ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, আগে যেখানে তাঁদের প্রত্যেকের দিনে 1000 টাকার ব্যবসা হত, এখন সেখানে দিনে 200 টাকার ব্যবসাও হচ্ছে না

Eastern Railway
মালদা কোর্ট স্টেশন
author img

By

Published : Dec 19, 2019, 10:52 PM IST

মালদা, 19 ডিসেম্বর : স্টেশনে দাঁড়িয়ে রয়েছে ট্রেন ৷ কিন্তু চালকের দরজায় তালা ৷ স্টেশনের টিকিট কাউন্টার খোলা থাকলেও দেখা নেই একজন যাত্রীরও ৷ মালদা কোর্ট স্টেশনের আজকের ছবিটা এরকমই ৷ এর আগে এমনটা কবে হয়েছে, তা মনে করতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ গত শুক্র ও শনিবার (13 ও 14 ডিসেম্বর) হরিশ্চন্দ্রপুর ও ভালুকা রোড স্টেশনে যে তাণ্ডব চলেছিল তার জেরে বিপর্যস্ত রেল পরিষেবা ৷ এই স্টেশন থেকে প্রতিদিন কয়েকটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন ছাড়ে ৷ চলাচল করে কাটিহার, NJP, কোচবিহার পর্যন্ত ৷ কিন্তু গত শুক্রবার রাত থেকে একটি ট্রেনেরও হুইসল বাজেনি স্টেশনে ৷

মালদা স্টেশনের উপর থেকে চাপ কমাতে বছর দেড়েক ধরে মালদা কোর্ট স্টেশনটিকে গুরুত্ব দিতে শুরু করে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল ৷ তখন থেকেই এই স্টেশন থেকে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের ট্রেনগুলি চলাচল করতে শুরু করে ৷ স্টেশনের বাইরে তৈরি হয় অনেক অস্থায়ী দোকান ৷ গত শনিবার থেকে সেই ব্যবসায়ীদের বেহাল দশা ৷ দোকানে পসরা সাজিয়ে বসলেও দেখা মিলছে না ক্রেতার ৷ তার উপর সম্প্রতি ওই এলাকায় রিফিলিং সেন্টারটি বন্ধ করে দিয়েছে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন ৷ ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, আগে যেখানে তাঁদের প্রত্যেকের দিনে 1000 টাকার ব্যবসা হত, এখন সেখানে দিনে 200 টাকার ব্যবসাও হচ্ছে না ৷

CAA
শুনশান মালদা কোর্ট স্টেশন

আরও পড়ুন : বেহাল উত্তর-দক্ষিণ পরিষেবা, বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষের

চায়ের দোকানদার মিঠুন শীল বলেন, "গত শনিবার থেকে ব্যবসা প্রায় শেষ ৷ লোকজনই নেই ৷ ট্রেন চালু থাকার সময় দোকানে ভালোই ভিড় হত ৷ এখন দিনে 100 থেকে 200 টাকার ব্যবসা করতেই সমস্যা হচ্ছে ৷ এভাবে কি সংসার চলে?" একই বক্তব্য আরেক ব্যবসায়ী অর্চনা সিং-এর ৷ স্টেশন চত্বরে তাঁর খাবারের দোকান ৷ তিনি বলেন, "এখন আমাদের ব্যবসা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷ ট্রেন চলছে না ৷ লোকজনের দেখা নেই ৷ স্থানীয় মানুষজনই যা দোকানে আসছে ৷ এই অবস্থায় আমাদের সংসার কীভাবে চলবে জানা নেই ৷ কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে জানি না ৷"

আরও পড়ুন : ধুলিয়ান স্টেশনে পরিষেবা স্বাভাবিক করতে দেড় মাস লাগবে, জানালেন মালদার DRM

এদিকে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রে জানা গেছে, 24 ডিসেম্বর থেকে মালদা কোর্ট স্টেশন থেকে ফের ট্রেন যাতায়াত করতে পারে ৷ হরিশ্চন্দ্রপুর ও ভালুকা রোড স্টেশনে মেরামতির কাজ চলছে ৷ তবে কন্ট্রোল প্যানেল ও সিগন্যালিং ব্যবস্থা এত তাড়াতাড়ি ঠিক করা সম্ভব নয় ৷ তবুও যাত্রীস্বার্থে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ট্রেন চলাচল শুরুর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ ৷

মালদা, 19 ডিসেম্বর : স্টেশনে দাঁড়িয়ে রয়েছে ট্রেন ৷ কিন্তু চালকের দরজায় তালা ৷ স্টেশনের টিকিট কাউন্টার খোলা থাকলেও দেখা নেই একজন যাত্রীরও ৷ মালদা কোর্ট স্টেশনের আজকের ছবিটা এরকমই ৷ এর আগে এমনটা কবে হয়েছে, তা মনে করতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ গত শুক্র ও শনিবার (13 ও 14 ডিসেম্বর) হরিশ্চন্দ্রপুর ও ভালুকা রোড স্টেশনে যে তাণ্ডব চলেছিল তার জেরে বিপর্যস্ত রেল পরিষেবা ৷ এই স্টেশন থেকে প্রতিদিন কয়েকটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন ছাড়ে ৷ চলাচল করে কাটিহার, NJP, কোচবিহার পর্যন্ত ৷ কিন্তু গত শুক্রবার রাত থেকে একটি ট্রেনেরও হুইসল বাজেনি স্টেশনে ৷

মালদা স্টেশনের উপর থেকে চাপ কমাতে বছর দেড়েক ধরে মালদা কোর্ট স্টেশনটিকে গুরুত্ব দিতে শুরু করে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল ৷ তখন থেকেই এই স্টেশন থেকে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের ট্রেনগুলি চলাচল করতে শুরু করে ৷ স্টেশনের বাইরে তৈরি হয় অনেক অস্থায়ী দোকান ৷ গত শনিবার থেকে সেই ব্যবসায়ীদের বেহাল দশা ৷ দোকানে পসরা সাজিয়ে বসলেও দেখা মিলছে না ক্রেতার ৷ তার উপর সম্প্রতি ওই এলাকায় রিফিলিং সেন্টারটি বন্ধ করে দিয়েছে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন ৷ ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, আগে যেখানে তাঁদের প্রত্যেকের দিনে 1000 টাকার ব্যবসা হত, এখন সেখানে দিনে 200 টাকার ব্যবসাও হচ্ছে না ৷

CAA
শুনশান মালদা কোর্ট স্টেশন

আরও পড়ুন : বেহাল উত্তর-দক্ষিণ পরিষেবা, বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষের

চায়ের দোকানদার মিঠুন শীল বলেন, "গত শনিবার থেকে ব্যবসা প্রায় শেষ ৷ লোকজনই নেই ৷ ট্রেন চালু থাকার সময় দোকানে ভালোই ভিড় হত ৷ এখন দিনে 100 থেকে 200 টাকার ব্যবসা করতেই সমস্যা হচ্ছে ৷ এভাবে কি সংসার চলে?" একই বক্তব্য আরেক ব্যবসায়ী অর্চনা সিং-এর ৷ স্টেশন চত্বরে তাঁর খাবারের দোকান ৷ তিনি বলেন, "এখন আমাদের ব্যবসা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷ ট্রেন চলছে না ৷ লোকজনের দেখা নেই ৷ স্থানীয় মানুষজনই যা দোকানে আসছে ৷ এই অবস্থায় আমাদের সংসার কীভাবে চলবে জানা নেই ৷ কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে জানি না ৷"

আরও পড়ুন : ধুলিয়ান স্টেশনে পরিষেবা স্বাভাবিক করতে দেড় মাস লাগবে, জানালেন মালদার DRM

এদিকে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রে জানা গেছে, 24 ডিসেম্বর থেকে মালদা কোর্ট স্টেশন থেকে ফের ট্রেন যাতায়াত করতে পারে ৷ হরিশ্চন্দ্রপুর ও ভালুকা রোড স্টেশনে মেরামতির কাজ চলছে ৷ তবে কন্ট্রোল প্যানেল ও সিগন্যালিং ব্যবস্থা এত তাড়াতাড়ি ঠিক করা সম্ভব নয় ৷ তবুও যাত্রীস্বার্থে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ট্রেন চলাচল শুরুর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ ৷

Intro:মালদা, ১৯ ডিসেম্বর : স্টেশনে দাঁড়িয়ে রয়েছে ট্রেন৷ কিন্তু চালকের দরজায় তালা৷ স্টেশনের টিকিট কাউন্টার খোলা৷ কিন্তু দেখা নেই একজন যাত্রীরও৷ এর আগে এমনটা কবে হয়েছে, তা কেউ মনে করতে পারছে না৷ কিন্তু গত শুক্র আর শনিবার হরিশ্চন্দ্রপুর ও ভালুকা রোড স্টেশনে সন্ত্রাসের জেরে এখন এই ছবি মালদা কোর্ট স্টেশনের৷ এই স্টেশন থেকেই প্রতিদিন বেশ কয়েকটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন ছাড়ে৷ চলাচল করে কাটিহার, এনজেপি, কোচবিহার পর্যন্ত৷ কিন্তু গত শুক্রবার রাত থেকে একটি ট্রেনেরও হুইশল বাজেনি স্টেশনে৷ এর ফলে প্রবল সমস্যায় পড়েছে স্টেশনের বাইরে থাকা ব্যবসায়ীরা৷Body:         মালদা স্টেশনের উপর থেকে চাপ কমাতে বছর দেড়েক আগে মালদা কোর্ট স্টেশনটিকে গুরুত্ব দিতে শুরু করে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল৷ তখন থেকেই এই স্টেশন মারফৎ উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের ট্রেনগুলি যাত্রা শুরু করতে শুরু করে৷ স্বাধীনতার আগে তৈরি এই স্টেশন ফিরে পায় প্রাণ৷ স্টেশনকে কেন্দ্র করে অনেক মানুষ অন্ন সংস্থানে নেমে পড়ে৷ স্টেশনের বাইরে তৈরি হয় অসংখ্য অস্থায়ী দোকান৷ মূলত খাবার আর পানীয়র দোকান সেখানে গজিয়ে ওঠে৷ গত শনিবার থেকে সেই ব্যবসায়ীদের বেহাল দশা৷ দোকানে পসরা সাজিয়ে বসলেও দেখা মিলছে না ক্রেতার৷ তার উপর সম্প্রতি ওই এলাকা থেকে নিজেদের ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন৷ সেখানে তাদের তেলের রিফিলিং সেন্টারটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে৷ ফলে সাঁড়াশি চাপে অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের এখন নাজেহাল দশা৷ আগে যেখানে প্রত্যেক ব্যবসায়ীর দিনে ১০০০ টাকার ব্যবসা হত, এখন দিনে ২০০ টাকার ব্যবসাও হচ্ছে না তাদের কারোর৷
         চায়ের দোকানদার মিঠুন শীল বলেন, “গত শনিবার থেকে ব্যবসা প্রায় শেষ৷ লোকজনই নেই৷ ট্রেন চালু থাকার সময় দোকানে ভালোই ভিড় হত৷ এখন দিনে ১০০ থেকে ২০০ টাকার ব্যবসা করতেই সমস্যা হচ্ছে৷ এভাবে কি সংসার চলে?” একই বক্তব্য আরেক ব্যবসায়ী অর্চনা সিং-এর৷ স্টেশন চত্বরে তাঁর খাবারের দোকান৷ তিনি বলেন, “এখন আমাদের ব্যবসা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ ট্রেন চলছে না৷ লোকজনের দেখা নেই৷ স্থানীয় মানুষজনই যা দোকানে আসছে৷ এই অবস্থায় আমাদের সংসার কীভাবে চলবে জানা নেই৷ প্রচুর গৃহ পরিচারিকা বিভিন্ন এলাকা থেকে এই স্টেশনে এসে কাজে যান৷ তাঁরাই মূলত আমাদের মূল খদ্দের৷ তাঁরা সবাই এখন বাড়িতে বসে রয়েছেন৷ কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে জানি না৷”Conclusion:এদিকে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৪ তারিখ থেকে মালদা কোর্ট স্টেশন থেকে ফের ট্রেনের যাতায়াত শুরু হতে পারে৷ এই মুহূর্তে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় হরিশ্চন্দ্রপুর ও ভালুকা রোড স্টেশন মেরামতির কাজ চলছে৷ তবে কন্ট্রোল প্যানেল ও সিগন্যালিং ব্যবস্থা এত তাড়াতাড়ি ঠিক করা সম্ভব নয়৷ তবুও যাত্রীস্বার্থে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ট্রেন চলাচল শুরু করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.