ETV Bharat / city

স্কুল সাফাই করছে পড়ুয়ারা, দেখা নেই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের - teachers are not there on time in school

বাজিতপুর সি এস প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়ারা নিজেরাই সাফাই করছে স্কুল । সময়মত এসে প্রতিদিন হাতে তুলে নেয় ঝাড়ু । শিক্ষক-শিক্ষিকারা 11 টা বাজার অনেক পরে আসেন । শিক্ষা ব্যবস্থা শিকেয় উঠেছে ।

Students come to school on time and clean up
সময়মত স্কুলে এসে সাফাই করছে পড়ুয়ারা
author img

By

Published : Jan 18, 2020, 10:26 PM IST

Updated : Jan 21, 2020, 5:37 PM IST

মালদা, ১৮ জানুয়ারি: সকাল 10 টায় স্কুল খুলেছে । পড়ুয়ারা চলে আসে ঠিক সময় । হাতে তুলে নেয় ঝাড়ু । সাফাই করছে স্কুল । ঘড়ির কাঁটা 11 টা পার করেছে । তবু দেখা নেই শিক্ষক শিক্ষিকাদের । এ ঘটনা নিত্যদিনের । মালদার বাজিতপুর সি এস প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা । এমন অভিযোগ আগেও উঠেছিল । খুদে পড়ুয়ারা আবারও অভিযোগ তুলল স্কুল পরিষ্কার করা নিয়ে ।

বাজিতপুর সি এস প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আপাতত 124 জন পড়ুয়া রয়েছে । চার জন শিক্ষক এবং এক জন পার্শ্বশিক্ষক । শিক্ষকরাই পড়ুয়াদের স্কুল পরিষ্কারের কথা বলেছেন এমন অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকরাও । স্থানীয় একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র পরিদর্শনে যাচ্ছিলেন BDO । পথে এই ঘটনা দেখতেই গাড়ি থেকে নেমে পড়েন । ঘটনাস্থানে সংবাদ মাধ্যমকে দেখতে পেয়ে ফিরে যান ।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় এক বাসিন্দা মহঃ মোবারক হোসেন বলেন, 11 টা বেজে গেছে অথচ স্কুলের কোনও শিক্ষক এসে পৌঁছাননি । এ ঘটনা দিনের পর দিন ঘটছে । স্কুলের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে ।

অন্যদিকে স্কুলের পার্শ্ব শিক্ষিকা কমলা গুহ বলেন, “পৌনে এগারোটায় বাচ্চাদের স্কুলের চাবি দিয়ে আমি ১১টায় স্কুলে চলে আসি । স্কুল খুলে বাচ্চারা নিজে থেকেই স্কুল পরিষ্কার করে । বাচ্চারা স্কুল পরিষ্কার না করলে স্কুল কে পরিষ্কার করবে ? ”

স্কুল সাফাইয়ে ব্যস্ত খুদেরা

১১টা ২০ মিনিটে স্কুলে পৌঁছে প্রধান শিক্ষক জীবন কুমার দাস স্কুল সাফাইয়ের বিষয়ে বলেন, “আমি প্রতিদিনই সময় মতো আসি । আজ আমার মোটরবাইক খারাপ হয়ে যাওয়ায় প্রথমে বাসে, পরে মোটর ভ্যানে করে স্কুলে এসেছি । শিক্ষকরা প্রতিদিনই সময় মতো আসেন ।”

মালদা, ১৮ জানুয়ারি: সকাল 10 টায় স্কুল খুলেছে । পড়ুয়ারা চলে আসে ঠিক সময় । হাতে তুলে নেয় ঝাড়ু । সাফাই করছে স্কুল । ঘড়ির কাঁটা 11 টা পার করেছে । তবু দেখা নেই শিক্ষক শিক্ষিকাদের । এ ঘটনা নিত্যদিনের । মালদার বাজিতপুর সি এস প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা । এমন অভিযোগ আগেও উঠেছিল । খুদে পড়ুয়ারা আবারও অভিযোগ তুলল স্কুল পরিষ্কার করা নিয়ে ।

বাজিতপুর সি এস প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আপাতত 124 জন পড়ুয়া রয়েছে । চার জন শিক্ষক এবং এক জন পার্শ্বশিক্ষক । শিক্ষকরাই পড়ুয়াদের স্কুল পরিষ্কারের কথা বলেছেন এমন অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকরাও । স্থানীয় একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র পরিদর্শনে যাচ্ছিলেন BDO । পথে এই ঘটনা দেখতেই গাড়ি থেকে নেমে পড়েন । ঘটনাস্থানে সংবাদ মাধ্যমকে দেখতে পেয়ে ফিরে যান ।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় এক বাসিন্দা মহঃ মোবারক হোসেন বলেন, 11 টা বেজে গেছে অথচ স্কুলের কোনও শিক্ষক এসে পৌঁছাননি । এ ঘটনা দিনের পর দিন ঘটছে । স্কুলের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে ।

অন্যদিকে স্কুলের পার্শ্ব শিক্ষিকা কমলা গুহ বলেন, “পৌনে এগারোটায় বাচ্চাদের স্কুলের চাবি দিয়ে আমি ১১টায় স্কুলে চলে আসি । স্কুল খুলে বাচ্চারা নিজে থেকেই স্কুল পরিষ্কার করে । বাচ্চারা স্কুল পরিষ্কার না করলে স্কুল কে পরিষ্কার করবে ? ”

স্কুল সাফাইয়ে ব্যস্ত খুদেরা

১১টা ২০ মিনিটে স্কুলে পৌঁছে প্রধান শিক্ষক জীবন কুমার দাস স্কুল সাফাইয়ের বিষয়ে বলেন, “আমি প্রতিদিনই সময় মতো আসি । আজ আমার মোটরবাইক খারাপ হয়ে যাওয়ায় প্রথমে বাসে, পরে মোটর ভ্যানে করে স্কুলে এসেছি । শিক্ষকরা প্রতিদিনই সময় মতো আসেন ।”

Intro:মালদা, ১৮ জানুয়ারিঃ “স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা সাফাই করতে বলেছে। স্কুলের সমস্ত ঘর আমাদের পরিষ্কার করতে হয়। স্কুল ১০টায় খুললেও শিক্ষক-শিক্ষিকারা কখনও ১১টা কখনও ১২টায় স্কুলে আসেন। স্কুলের ঘর পরিষ্কার করে আমরা খেলাধূলো করি।” ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে এমনটাই জানাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। এর আগেও পড়ুয়াদের দিয়ে স্কুল পরিষ্কার করানোর অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগ স্বীকার করেছেন খোদ প্রধান শিক্ষক। এপ্রসঙ্গে স্কুলের এক শিক্ষিকার মন্তব্য “স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা ঘর পরিষ্কার না করলে কে করবে?”Body:রতুয়া ১ ব্লকের বাজিতপুর সিএস প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১২৪ জন ছাত্রছাত্রী। চারজন শিক্ষক ও একজন পার্শ্বশিক্ষক। ৫টি ঘরের মধ্যেই ক্লাস হয় স্কুলে। ক্লাসের সময় ১১টা হলেও সকাল ১০টায় স্কুল খুলে দেওয়া হয়। পড়ুয়ারা স্কুল খোলার সময়েই স্কুলে চলে আসে। স্কুলে এসে প্রতিদিনের মতো ঘর পরিষ্কার করতে শুরু করে পড়ুয়ারা। আজও ব্যতিক্রম হয়নি। ঘটনাচক্রে সেই সময় স্থানীয় একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র পরিদর্শনে যাচ্ছিলেন বিডিও। পড়ুয়াদের স্কুল পরিষ্কারের দৃশ্য দেখতে পেয়েই গাড়ি থেকে নেমে পড়েন তিনি। তবে ঘটনাস্থলে সংবাদমাধ্যমকে আসতে দেখে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান তিনি।
স্থানীয় এক বাসিন্দা মহঃ মোবারক হোসেন জানান, “এখন প্রায় ১১টা বাজছে। কিন্তু এখনও স্কুলের কোনও শিক্ষক এসে পৌঁছননি। স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ায় এধরণের ঘটনা আমরা প্রতিদিনই দেখতে পাই। শিক্ষা ব্যবস্থা দিনের পর দিন ভেঙে পড়ছে। আজ সকালেও পড়ুয়াদের স্কুলে ঝাড়ু দিতে দেখতে পেয়েছি। স্কুলের পড়ুয়াদের মুখেই শোনা যায় শিক্ষকরা স্কুলে ঠিকমতো পড়ান না। সময় মতো স্কুলে আসেন না। আজ বিডিও সাহেব নিজেই স্কুলের পরিস্থিতি দেখেছেন। উনি স্কুল পরিদর্শকের সঙ্গে এবিষয়ে আলোচনা করার কথাও জানিয়েছেন।”
স্কুলের পার্শ্ব শিক্ষিকা কমলা গুহ জানান, “পৌনে এগারোটায় বাচ্চাদের স্কুলের চাবি দিয়ে আমি ১১টায় স্কুলে চলে আসি। স্কুল খুলে বাচ্চারা নিজে থেকেই স্কুল পরিষ্কার করে। বাচ্চারা স্কুল পরিষ্কার না করলে স্কুল কে পরিষ্কার করবে? পড়ুয়াদের দিয়ে স্কুল পরিষ্কার করানো যায় কিনা জানা নেই। তবে আমরা ছোটো থেকেই এভাবেই দেখে এসেছি। আমাদের ছেলেমেয়েরাও স্কুল পরিষ্কার করেই পড়াশোনা করেছে।” ঘড়ির কাটায় ১১ বেজে গেলেও স্কুলে প্রধান শিক্ষকের উপস্থিত না আসার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে এক গাল হাসিতে তাঁর জবাব, চলে আসবেন।
Conclusion:১১টা ২০ মিনিটে স্কুলে পৌঁছে প্রধান শিক্ষক জীবন কুমার দাস জানান, “আমি প্রতিদিনই সময় মতো আসি। আজ আমার মোটরবাইক খারাপ হয়ে যাওয়ায় প্রথমে বাসে পরে ভুটিভুটি করে স্কুলে এসেছি। শিক্ষকরা প্রতিদিনই সময় মতো আসেন।” স্কুলে পড়ুয়াদের দিয়ে ঘর পরিষ্কার করার কথা জানতে চাওয়া হলে পড়ুয়াদের কাছেই পালটা প্রশ্ন করে বসেন জীবনবাবু। এমনকি স্কুলে অনুপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষিকার বিষয় জানতে চাওয়া হলে সেই উত্তরের জন্যও তাঁকে স্কুলে উপস্থিত পার্শ্ব শিক্ষকের সাহায্য নিতে হয়।
Last Updated : Jan 21, 2020, 5:37 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.