মালদা, 13 এপ্রিল : কোরোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে চলছে লকডাউন৷ লকডাউনে রয়েছে মালদা জেলাও৷ কোরোনা মোকাবিলায় লকডাউন যে অব্যর্থ দাওয়াই, তা মেনে নিচ্ছে বিশ্ব৷ কিন্তু তবুও যেন হেলদোল নেই এক শ্রেণির মানুষের৷ সকালের বাজার-হাট কিংবা ওষুধের দোকান খোলা থাকার সুযোগ নিয়ে তারা অকারণেই বেরিয়ে পড়ছে রাস্তায়৷ চলছে দেদার আড্ডা৷ শুধু শহরে নয়, গ্রামেগঞ্জেও একই ছবি৷ এবার সেই সমস্ত মানুষজনকে বাগে আনতে ড্রোনে নজরদারি শুরু করল পুলিশ৷ আজ মানিকচক থানার পুলিশ এই নজরদারি চালিয়েছে৷
লকডাউনের 20 দিন পেরিয়ে গিয়েছে৷ গোটা দেশজুড়ে বাড়ছে সংক্রমণ৷ আজ নতুন করে রাজ্যে 15 জন আক্রান্ত হয়েছে ৷ সংক্রমিত হচ্ছেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, সাংবাদিক থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রের মানুষ৷ কোরোনার সংক্রমণ রাখতে লকডাউনের সময়সীমা 30 এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে৷ 10 জুন পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান৷ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বাজার-হাট কিংবা নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রির সময় ৷ ভিড় এড়াতে এই সময়সীমা আরও বাড়ানোর কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি প্রায় প্রতিদিনই মানুষকে জোড়হাতে লকডাউন মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন৷ কিন্তু তবুও যেন ঘুম ভাঙেনি এক শ্রেণির মানুষের৷ বিশেষত সকালের দিকে রাস্তায় উপচে পড়ছে ভিড়৷ একই ছবি দেখা যাচ্ছে শহর থেকে গ্রামে৷ এবার সেই সমস্ত মানুষজনকে লাগাম পরাতে ড্রোনে নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা পুলিশ৷
আজ মানিকচক থানার পুলিশ মথুরাপুর ও মানিকচক বাজারে ড্রোন উড়িয়ে উপস্থিত মানুষজনের উপর নজরদারি চালায়৷ ছবিতে ভিড় ধরা পড়লেই সেখানে চলে যান পুলিশকর্মীরা ৷ সবাইকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে দেন৷ অকারণে ভিড় করে থাকা মানুষজনকে বাড়ি পাঠাতেও দেখা গিয়েছে পুলিশকে৷
মানিকচক থানার OC গৌতম চৌধুরি জানিয়েছেন, "পুলিশের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে কোরোনা নিয়ে অনেকবার সচেতন করা হয়েছে ৷ কোরোনার প্রকোপ থেকে বাঁচতে লকডাউনই যে একমাত্র উপায়, তাও বারংবার বলা হচ্ছে৷ কিন্তু তবুও অনেক মানুষ অকারণে হাট-বাজারে ভিড় করছে ৷ এদের নিয়ন্ত্রণ করতেই এবার ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ যেভাবেই হোক, মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতেই হবে৷ আমরা আবারও সবাইকে আবেদন জানাচ্ছি, অকারণে কেউ যেন বাড়ির বাইরে না বেরোয়৷" এবার প্রয়োজনে আরও কড়া পদক্ষেপ করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি৷