মালদা, 25 অগস্ট: অনলাইনে প্রতারণার ফাঁদে (Cyber Crime) ফেলে মোটা টাকা হাতাচ্ছিল প্রতারকরা । এই ঘটনার পেছনে বড় চক্রের হদিশ পেয়েছিল জেলা পুলিশ । এ বার সেই চক্রকে ধরতে সিআইডির হাতে তদন্তভার তুলে দিল কলকাতা হাইকোর্ট । বৃহস্পতিবারই সেই নির্দেশিকা জেলা পুলিশের হাতে এসে পৌঁছেছে ।
মালদা সাইবার ক্রাইম থানার সূত্রে জানা গিয়েছে, 2020 সালে কালিয়াচকের এক বাসিন্দা 16 লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করে । প্রতারিত ওই ব্যক্তি তদন্তকারী অফিসারদের জানিয়েছিলেন, মোবাইল টাওয়ার বসানোর জন্য তাঁকে নানা প্রলোভন দেওয়া হয়েছিল । সিকিউরিটি মানির নামে তাঁর থেকে দফায় দফায় 16 লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয় । ঘটনার তদন্তে নেমে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য ধরে মালদা সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ কলকাতার সন্দেশখালি থেকে শুভঙ্কর মিস্ত্রি নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ।
কালিয়াচকের ওই অভিযোগকারীর অ্যাকাউন্ট থেকে শুভঙ্করের অ্যাকাউন্টে প্রায় প্রায় 8 লক্ষ 74 হাজার টাকা পাঠানো হয়েছিল । জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে এই ঘটনার জড়িত আরও এক পাণ্ডা রাজু রায়ের নাম । কলকাতার মানিকতলা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকেও । রিমান্ডে নিয়ে জেরায় উঠে আসে এই চক্রের একটি দিক । তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পারেন, কলকাতার নিউটাউনে একটি ভুয়ো মোবাইল টাওয়ার বসানোর কোম্পানি কাজ করছে । সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ সেখানে পৌঁছনোর আগেই গা ঢাকা দেয় দুষ্কৃতীরা ।
আরও পড়ুন: দেড় লাখ টাকায় ভুয়ো সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ তৃণমূল নেতার
জুলাই মাসে এই ঘটনায় চার্জশিট পেশ করে সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ । জেলা আদালত অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় । এরপরেই কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করে এক অভিযুক্ত । গত 18 অগস্ট কলকাতা হাইকোর্ট সেই আবেদনও খারিজ করে দেয় । পাশাপাশি এই চক্রের হদিশ পেতে দায়িত্বভার তুলে দেওয়া হয় সিআইডির হাতে । এ দিনই সেই নির্দেশিকা হাতে পেয়েছেন জেলা পুলিশের আধিকারিকরা (Cal HC hands over cyber fraud investigation charge to CID) ।