কলকাতা, 7 জুন : সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। 11 জুন থেকে কাজে যোগ দেওয়ার জন্য অনেকেই মুখিয়ে ছিলেন । কিন্তু বাধ সাধলো আলিপুর আদালতের দুই বিচারকের কোরোনা ধরা পড়ার পর ।
ওয়েস্টবেঙ্গল জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে বিচার করার আরজি জানানো হয় । এরপরেই তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকে বার অ্যাসোসিয়েশন। কিন্তু আজ দিনভর বার অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠক চলার পরেও কোনও সিদ্ধান্ত আসা সম্ভব হয়নি । আগামীকাল ফের এক দফায় আলোচনায় বসতে চলেছে বার অ্যাসোসিয়েশন ।
আজ ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বার অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন শতাধিক আইনজীবী । আইনজীবীদের একটা বড় অংশের বক্তব্য, ভার্চুয়াল কোর্ট যেমন চলছে তেমনই চলুক । ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে জরুরিভিত্তিক মামলাগুলির শুনানি করা হোক । আদালত কক্ষে শুনানি আপাতত বন্ধ থাক । কারণ বর্তমানে রাজ্যের যা পরিস্থিতি, তাতে এখন কেউ যদি আক্রান্ত হয় তার দায় কে নেবে ?
অন্যদিকে আইনজীবীদের অন্য একটি অংশের বক্তব্য, আদালত কক্ষেই শুনানির ব্যবস্থা করা হোক । কারণ অনেকেই ভার্চুয়াল কোর্টের সঙ্গে অভ্যস্ত নন । টেকনিক্যাল বিষয়ের সঙ্গে তাঁরা নিজেদেরকে মানিয়ে নিতে পারেননি । তাছাড়াও অনেক সময়েই ইন্টারনেট পরিষেবাও স্বাভাবিক থাকছে না । ফলে মামলার শুনানি করা যাচ্ছে না ।
আর কিছু আইনজীবী চাইছেন এই পরিস্থিতিতে আইনি পরিষেবা যাতে আরও বেশি করে মানুষের কাছে পৌছে দেওয়া যায় তার জন্য দু'টি পদ্ধতিই চলুক । কিছু মামলা সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে আদালত কক্ষেই শুনানির ব্যবস্থা করা হোক । আর কিছু মামলা যেমন ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানি চলছে তেমনই চলুক । আদালতের তরফে মামলার ইফাইলিং-এর ব্যবস্থা করা হোক এবং একটি টোল ফ্রি নম্বর দেওয়া হোক যেখানে মামলার আপডেট পাওয়া যাবে । পাশাপাশি, অনেকের বক্তব্য থেকে এটা উঠে এসেছে যে, এই ভিডিয়ো কনফারেন্সে বহু আইনজীবী অংশগ্রহণ করতে পারেননি টেকনিক্যাল ব্যাপারে তারা অভ্যস্ত নন বলে । ফলে তাঁদের মতামত কিছুই জানা যাচ্ছে না । এই পরিস্থিতিতে 11 জুন থেকে আইনজীবীরা কাজে যোগ দেবেন কি না তা জানার জন্য বার অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করতে হবে ।
