কলকাতা, 25 ফেব্রুয়ারি: জনগণ কী চান, তা তাঁরাই ঠিক করুন । তাঁদের দাবিদাওয়া মেটানোর শপথ নিয়েই তৈরি হবে নির্বাচনী ইস্তাহার । ভোটের মুখে বাংলার জন্য এমনই অভিনব উদ্যোগ বঙ্গ বিজেপির। নয়া এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে 'লক্ষ্য সোনার বাংলা'। কলকাতায় হেস্টিংসে বিজেপির দফতর থেকে এর সূচনা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ।
যে কোনও ভোটের আগে ভূরি ভূরি প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করাটাই দস্তুর । ইস্তাহার থেকেই শুরু হয়ে যায় একে-অপরকে ছাপিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা । রাশি রাশি পরিষেবা দেওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে ভোট বৈতরণী পার করার চেষ্টা করে সব রাজনৈতিক দল। তবে বঙ্গের ভোটরঙ্গ এ বার সবদিক থেকেই যেন আলাদা । সব দলই নিজেদের মতো করে চমক দেওয়ার চেষ্টা করছে। তত্পর বিজেপিও । বাংলায় খাতা খুলতে কোনও কসুর বাকি রাখছে না নরেন্দ্র মোদির দল । শাসক দলের হেভিওয়েট নেতাদের দলে টানা, দলে তারকা সমাবেশ - এ সব চমক তো ছিলই । এ বার ইস্তাহার নিয়েও নয়া তাস খেলল গেরুয়া শিবির ।
কলকাতায় এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার হাত ধরে শুরু হল 'লক্ষ্য সোনার বাংলা' কর্মসূচি । জনগণের পরামর্শ নিয়েই নির্বাচনী ইস্তাহার তৈরি করতে এই উদ্যোগ । জেপি নাড্ডা এ দিন জানিয়েছেন, রাজ্যের 294টি বিধানসভা কেন্দ্রে শনিবার থেকে ছুটে বেড়াবে 294টি ডিজিটাল মোবাইল ভ্যান বা এলইডি রথ । সেখানে থাকবে ‘সাজেশনস ড্রপ বক্স’ । নিবাচনী ইস্তাহার সম্পর্কে সাধারণ মানুষ নিজেদের মতামত জানিয়ে সেই ড্রপ বক্সে ফেলতে পারবেন । এ ছাড়াও রাজ্যজুড়ে থাকবে ৩০০টি ড্রপবক্স । মতামত জানানো যাবে মিসড কল এবং হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমেও । আমজনতার সেই পরামর্শ নিয়েই তৈরি হবে বঙ্গ বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহার ।
আরও পড়ুন: মনীষীদের দর্শনেই সোনার বাংলা গড়ার ডাক নাড্ডার
এ দিন এই কর্মসূচির সূচনা করে নাড্ডা বলেন, ''আজ বাংলা যা ভাবে, তা আগামী দিনে গোটা ভারত ভাবে। বাংলার মনীষীরাই গোটা দেশকে পথ দেখায় । তাঁদের সেই ভাবনা নিয়েই বিজেপি নির্বাচনী ইস্তাহার তৈরি করতে চায় । আমরা মনে করি বাংলার মানুষ জানে, কীভাবে সোনার বাংলা বানাতে হবে। তাই আমাদের ইস্তাহারে সাধারণ মানুষের মতামত নেওয়া হবে । মোট 2 কোটি মানুষের মতামত আমরা নেব। সাধারণ মানুষের মতামত নিয়েই বাংলা এগিয়ে যাবে ।''
বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজ্যে কী কী করবে, তারও একটা বড়সড় তালিকা এ দিন দিয়ে গিয়েছেন বিজেপি সভাপতি। তিনি বলেন, ''বিজেপি এলে রাজ্যে চালু হবে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি । চালু হবে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প । কার্যকর করা হবে সপ্তম বেতন কমিশন। বন্ধ হবে কাটমানি, তোলাবাজি ।''
বিজেপির এই নয়া উদ্যোগ কতটা কার্যকরী হয়, তার উত্তর দেবে সময় ।