কলকাতা, 13 এপ্রিল : রাত থেকেই উত্তপ্ত বেহালার চড়কতলা । তৃণমূল কংগ্রেসের আদি বনাম নব্য দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গন্ডগোলের থেকেই এই ঘটনার সূত্রপাত বলে অভিযোগ (Unrest Situation at Behala due to TMC Inner Clash) । এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে পুলিশের সামনে গত রাত থেকে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় এখানে । চলে বোমাবাজি এবং গুলিও । এই ঘটনায় পুলিশ ন’জনকে আটক করেছে (Police Detained 9 Persons in Behala Case) ৷
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে শুরু হয় দু’পক্ষের সংঘর্ষ । ইট ছোড়া, ভাঙচুর দিয়ে শুরু হলেও পরে গুলি চলতে শুরু করে । বেহালা থানার পুলিশ এলেও ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আসেনি । তখনও গুলি চলেছে । এখানে চড়ক মেলা হয় । সেই মেলার কমিটির দায়িত্ব কার হাতে থাকবে, তা নিয়েই দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় বলে অভিযোগ । স্থানীয়দের অভিযোগ, বেধড়ক মারধরের পাশাপাশি গাড়ি, মোটরবাইক, স্কুটি–সহ একাধিক গাড়িতে চলে ভাঙচুর । ভাঙচুর চালানো হয় তৃণমূল (Trinamool Congress) পার্টি অফিসেও । ভেঙে দেওয়া হয় সিসি ক্যামেরা, জানালার কাচ । সংঘর্ষের আঁচ গিয়ে পড়ে স্থানীয় কিছু বাড়িতেও । বাড়িও ভাঙচুর করা হয় । আর ভাঙা হয় বাইক । 10টি বাড়ি ও বেশ কয়েকটি গাড়িতেও হামলা চালানো হয়েছে, ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ ।
অবশেষে বেহালা থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন । তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে এলাকায় । পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে । এই ঘটনার পিছনে কী কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে । জানা গিয়েছে, চড়কমেলাকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা । বেহালার চড়কতলায় এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেছেন, ‘‘এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে । আদি বনাম নব্য ক্ষমতার দখল কার হাতে থাকবে, তাই নিয়েই লড়াই । সর্বত্রই ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে লড়াই চলছে । তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে প্রত্যেকদিন কোনও না কোনও ঘটনায় । যদিও এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ।’’
এদিকে এই ঘটনার পর বাবান বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক তৃণমূল নেতার নেতৃত্বে ঘাসফুলের কর্মীরা পথ অবরোধ করেন ৷ বাবান বন্দ্যোপাধ্যায় আবার অর্ণব বন্দ্যোপাধ্যায়, লালটু ও ভাস্কর নামে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন ৷ তাঁর দাবি, ‘‘আমরা এই কাজ করিনি ৷ অর্ণব, লালটু ও ভাস্কররা প্রোমোটারি করে ৷ তাই এলাকা দখলের জন্য এই কাজ করছে ৷ আমাদের মিথ্যেভাবে জড়ানো হচ্ছে ৷ পুলিশের সামনে তারা নিজেরাই ভাঙচুর চালায় ৷ কিন্তু আমাদের এই ঘটনায় ফাঁসানো হচ্ছে ৷
আরও পড়ুন : HC Orders CBI Probe in Hanskhali Case : হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের