কলকাতা, 1 সেপ্টেম্বর : এই শহরকে চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলেন এরিক ফাল্ট । শহর কলকাতা তাঁকে চমকে দিল । দুর্গাপুজোকে (Durga Puja) কেন্দ্র করে কলকাতার এই উন্মাদনায় অভিভূত ইউনেস্কোর (UNESCO) এই প্রতিনিধি । রেড রোডে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, ‘‘আমরা এত বড় অভ্যর্থনা আশা করিনি । টিম কার্টার চড়ান্ত বিপোর্ট পাঠাবেন । তবে আমরা যত দেখছি অবাক হচ্ছি ।’’
দুর্গাপুজো নিয়ে আজকের সাজ মূলত ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানানোর জন্যই । বর্ণাঢ্য মিছিলে বৃষ্টি উপেক্ষা করে পা মিলিয়ে ছিলেন হাজার হাজার মানুষ । শুধু এই দিনের মিছিল মিছিল ছিল না, তা ছিল বর্ণময় রামধনুর ছটা । এদিন সেসব দেখে কার্যত অবাকই হয়েছেন টিম কার্টার এবং এরিক ফাল্ট । আর সে কথাই নিজের বক্তব্য রাখার সময় দু’জনেই বলেছেন ।
এদিন এরিক ফাল্ট বলেন, ‘‘কী দৃশ্য দেখলাম । তিন মাস আগে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Bengal CM Mamata Banerjee) সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল । তিনি বলেছিলেন ইউনেস্কোকে বাংলার মানুষ ধন্যবাদ জানাতে চান । কিন্তু আজকে বলতেই হচ্ছে আমরা এত বড় কিছু হবে আশা করতেই পারিনি । আমরাও আমাদের সংস্থা এবং গোটা টিমের তরফ থেকে আপনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি । এই উষ্ণ অভ্যর্থনা দীর্ঘদিন মনে থাকবে ।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা আমাদের সদর দফতর প্যারিসে গোটা অনুষ্ঠানের একটা রিপোর্ট পাঠাব । আমি আশা করছি আগামিদিনে বহু প্রতিনিধি দুর্গাপুজোর এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য আগ্রহী হবেন ।’’
ফাল্টের কথা অনুসারে, ‘‘দুর্গাপুজো একটা উৎসবের পাশাপাশি, এখানে মানুষের জীবন জীবিকা জড়িয়ে রয়েছে । এর অর্থনৈতিক দিকটাও অবশ্যই ভাববার । একই সঙ্গে এই উৎসব বিভিন্নভাবে বিভিন্ন মানুষ উদযাপন করে । এই ভিন্নতা অবশ্যই উপভোগ্য, একই সঙ্গে চ্যালেঞ্জিং । বিভিন্ন অর্থনৈতিক এবং সামাজিক অবস্থা থেকে উঠে আসা মানুষ এই পুজোকে উদযাপন করেন তাঁদের মতো করে । সত্যি কথা বলতে আজকে স্বীকার করে নিতেই হয়, এইরকম প্রাণচঞ্চল উৎসব আমি অতীতে দেখিনি ।’’
তিনি বলেন, ‘‘আর মাত্র তিন সপ্তাহ আছে দুর্গাপুজোর প্রাক প্রস্তুতির জন্য । আমি রীতিমতো উত্তেজিত পুজো আসার আগে প্রস্তুতি যদি এরকম হয়, পুজো আগামিদিনে কী হতে চলেছে । আজকে একথা স্পষ্ট ভাবে বলে যেতে চাই, এই বছর পুজোয় আমাকে অবশ্যই দুর্গাপূজা সেলিব্রেট করার জন্য আসতে হবে । আবার আপনাদের সঙ্গে দুর্গাপুজোয় দেখা হবেই ।’’
আরও পড়ুন : ইউনেস্কোর সম্মান নিয়ে নীরবতা ভেঙে রাজ্যের দরাজ প্রশংসা তপতী গুহ ঠাকুরতার