ETV Bharat / city

কোরোনা আবহে টোল ট্যাক্স সংগ্রহ স্থগিতের আর্জি ট্রাক মালিকদের

লকডাউন ধীরে ধীরে উঠলেও এখনও পথে নামেনি 50 থেকে 60 শতাংশ ট্রাক। চূড়ান্ত আর্থিক অনটনে মালিক ও চালকরা। এই অবস্থায় টোল ট্যাক্স গ্রহণ স্থগিত রাখার আর্জি জানাল ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটর৷

author img

By

Published : Aug 31, 2020, 8:47 AM IST

truck owners demand of toll tax exemption
ট্রাক মালিকদের

কলকাতা, 31 অগাস্ট: টোল ট্যাক্স গ্রহণ আপাতত স্থগিত রাখার আর্জি জানাল ট্রাক মালিক সংগঠন। কোরোনা আবহে বেশিরভাগ ট্রাক পথে নামতে পারছে না। অন্যদিকে লকডাউনে ব্যবসা চরম ধাক্কা খেয়েছে। এই অবস্থায় সাময়িকভাবে রাজ্য ও জাতীয় সড়কের টোল প্লাজাগুলিতে ট্যাক্স সংগ্রহ মুলতুবি রাখার আবেদন জানাল ট্রাক মালিকরা।

দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল ট্রাক পরিষেবা। এরফলে আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মালিকপক্ষ। এরপর ধীরে ধীরে শিথিল হয়ে লকডাউনের নিয়মকানুন। শুরু হয় আনলক পর্ব। যদিও ব্যবসার তেমন উন্নতি ঘটেনি, জানাচ্ছে ট্রাক সংগঠনগুলি। অন্যদিকে, লাফিয়ে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম৷ বহু বাণিজ্য সংস্থা এখনও বন্ধ থাকায় পথে নামতে পারছে না 50 থেকে 60 শতাংশ ট্রাক। চূড়ান্ত আর্থিক অনটনে দিন কাটছে মালিক ও চালকদের।

ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুভাষ বসু বলেন, "যেভাবে ডিজ়েলের দাম বেড়েছে, কাজের অভাব, তাতে ট্রাক চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ছে। অন্যদিকে জাতীয় সড়কের টোল ট্যাক্সও বেড়ে চলেছে। বিভিন্ন টোল প্লাজাগুলিতে কতৃপক্ষ তাঁদের নিজেদের ইচ্ছে মতো টাকা সংগ্রহ করছে। কয়েক মাস অন্তরই টোল ট্যাক্স বেড়ে যাচ্ছে। তা নিয়ে আগাম নির্দেশিকাও দেওয়া হয় না। আয় প্রায় নেই বললেই চলে৷ তার উপর যদি প্রতি টোলে টাকা দিতে হয় তাহলে বাকি খরচ চালাব কীভাবে?"

সুভাষবাবু আরও বলেন, "বিষয়টি নিয়ে সংগঠনের তরফে আগে বহুবার সড়ক পরিবহন ও হাইওয়ে মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছি। সদুত্তর মেলেনি।"

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সজল ঘোষ বলেন, "প্রতিবছর 8 শতাংশ করে টোল ট্যাক্স বাড়ছে। রাজ্যে 15 টি টোল গেটে ইতিমধ্যে বেড়েছে ট্যাক্স। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছি, পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে যেন আপাতত টোল ট্যাক্স সংগ্রহ বন্ধ রাখা হয়।"

সজলবাবু উদাহরণ দিয়ে বলেন, "আগে রবীন্দ্র সেতুতে 200 টাকা ট্যাক্স দিতে হত৷ এখন 280 টাকা দিতে হয়। এভাবেই আমাদের উপর আর্থিক চাপ বেড়েছে।"

উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে অত্যাবশ্যক পরিষেবায় যুক্ত ট্রাক, লরি ও গাড়িগুলির ক্ষেত্রে টোল ট্যাক্স সংগ্রহ বন্ধ রাখে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে আবার তা চালু হয়েছে।

কলকাতা, 31 অগাস্ট: টোল ট্যাক্স গ্রহণ আপাতত স্থগিত রাখার আর্জি জানাল ট্রাক মালিক সংগঠন। কোরোনা আবহে বেশিরভাগ ট্রাক পথে নামতে পারছে না। অন্যদিকে লকডাউনে ব্যবসা চরম ধাক্কা খেয়েছে। এই অবস্থায় সাময়িকভাবে রাজ্য ও জাতীয় সড়কের টোল প্লাজাগুলিতে ট্যাক্স সংগ্রহ মুলতুবি রাখার আবেদন জানাল ট্রাক মালিকরা।

দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল ট্রাক পরিষেবা। এরফলে আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মালিকপক্ষ। এরপর ধীরে ধীরে শিথিল হয়ে লকডাউনের নিয়মকানুন। শুরু হয় আনলক পর্ব। যদিও ব্যবসার তেমন উন্নতি ঘটেনি, জানাচ্ছে ট্রাক সংগঠনগুলি। অন্যদিকে, লাফিয়ে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম৷ বহু বাণিজ্য সংস্থা এখনও বন্ধ থাকায় পথে নামতে পারছে না 50 থেকে 60 শতাংশ ট্রাক। চূড়ান্ত আর্থিক অনটনে দিন কাটছে মালিক ও চালকদের।

ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুভাষ বসু বলেন, "যেভাবে ডিজ়েলের দাম বেড়েছে, কাজের অভাব, তাতে ট্রাক চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ছে। অন্যদিকে জাতীয় সড়কের টোল ট্যাক্সও বেড়ে চলেছে। বিভিন্ন টোল প্লাজাগুলিতে কতৃপক্ষ তাঁদের নিজেদের ইচ্ছে মতো টাকা সংগ্রহ করছে। কয়েক মাস অন্তরই টোল ট্যাক্স বেড়ে যাচ্ছে। তা নিয়ে আগাম নির্দেশিকাও দেওয়া হয় না। আয় প্রায় নেই বললেই চলে৷ তার উপর যদি প্রতি টোলে টাকা দিতে হয় তাহলে বাকি খরচ চালাব কীভাবে?"

সুভাষবাবু আরও বলেন, "বিষয়টি নিয়ে সংগঠনের তরফে আগে বহুবার সড়ক পরিবহন ও হাইওয়ে মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছি। সদুত্তর মেলেনি।"

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সজল ঘোষ বলেন, "প্রতিবছর 8 শতাংশ করে টোল ট্যাক্স বাড়ছে। রাজ্যে 15 টি টোল গেটে ইতিমধ্যে বেড়েছে ট্যাক্স। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছি, পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে যেন আপাতত টোল ট্যাক্স সংগ্রহ বন্ধ রাখা হয়।"

সজলবাবু উদাহরণ দিয়ে বলেন, "আগে রবীন্দ্র সেতুতে 200 টাকা ট্যাক্স দিতে হত৷ এখন 280 টাকা দিতে হয়। এভাবেই আমাদের উপর আর্থিক চাপ বেড়েছে।"

উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে অত্যাবশ্যক পরিষেবায় যুক্ত ট্রাক, লরি ও গাড়িগুলির ক্ষেত্রে টোল ট্যাক্স সংগ্রহ বন্ধ রাখে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে আবার তা চালু হয়েছে।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.