কলকাতা, 28 নভেম্বর : ক্ষমতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের তদন্ত শুরু করেন। কঙ্কাল কান্ড থেকে শুরু করে আর্থিক তছরুপ, সন্ত্রাস সহ খুনের মামলায় অভিযুক্ত করা হয় সুশান্ত ঘোষকে। এখনও পর্যন্ত আদালতের কাছে দোষী সাব্যস্ত হননি সুশান্ত ঘোষ। দেশের সব আদালত সুশান্ত ঘোষকে ক্লিনচিট দেয়। দীর্ঘদিন গরবেতা সহ নিজের এলাকায় ফিরতে পারেননি রাজ্যের প্রাক্তন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষ। সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে ঘরে ফেরার আদেশ পেয়েছেন সুশান্ত ঘোষ। গত সপ্তাহে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের মুজাফফর আহমেদ ভবনে পৌঁছে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এবং দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন তিনি । এর আগে প্রকাশ্যে দল বিরোধী কথা বলার জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল সুশান্ত ঘোষকে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে স্বমহিমায় ফিরতে চলেছেন বামফ্রন্ট মন্ত্রিসভার অন্যতম প্রাক্তন প্রভাবশালী এই মন্ত্রী।
সব সময় ভালো থাকেন সুশান্ত ঘোষ। তাঁর কাছে 'দুঃসময়' বলে কিছু নেই। কেউ জিজ্ঞেস করলে, উত্তর দেন, "আমি সব সময় ভালো থাকি, খারাপ থাকার অবকাশ নেই। সব সময় ভালো।" আগামী 6 ডিসেম্বর নিজের জেলায় যাবেন সুশান্ত ঘোষ। ইতিমধ্যেই দলের বহু নেতাকর্মী খুন হয়েছেন বা দল বদল করেছেন বাঁচার তাগিদে। মিথ্যে মামলায় জেরবার হওয়া CPI(M) কর্মীরা ঘরে ফেরার তাগিদে দলবদল করতে বাধ্য হয়েছেন । সুশান্ত ঘোষ এলাকায় ফেরার পর তারাও ফের পুরনো দল CPI(M)-এ ফিরে আসার সম্ভাবনা বলে জানা গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই জঙ্গলমহলের সাতটি বিস্তীর্ণ এলাকার দায়িত্ব পেয়েছেন সুশান্ত ঘোষ। কেবলমাত্র জঙ্গলমহল নয় রাজ্যের বহু এলাকায় সমাবেশ করবেন তিনি। গত 9 বছর আসলে কী ঘটেছিল, সে কথা জনসমাবেশ বলবেন সুশান্ত ঘোষ। পশ্চিম মেদিনীপুরের গরবেতা, চন্দ্রকোনা, দাসপুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় ডিসেম্বর মাসজুড়ে সভা সমাবেশ করবেন তিনি।
CPI(M)-এর দাবি বিধানসভা নির্বাচনের আগে মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে যারা ঘরছাড়া হয়েছেন অথবা অন্য রাজনৈতিক দলে চলে গিয়েছেন, তাদের ঘরে ফেরানোর জন্য সুশান্ত ঘোষ উদ্যোগ নেবেন। CPI(M)-র রাজ্য স্তরের শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছে, সুশান্ত ঘোষের সক্রিয় হওয়ায় মনোবল ফিরে পাবেন দলীয় কর্মীরা। চাঙ্গা হবে দলীয় সংগঠন। হারিয়ে যাওয়া জমি পুনরুদ্ধার হবে জঙ্গলমহলে। মানুষের কাছে ফিরছেন সুশান্ত ঘোষ আগামী মাসেই।