কলকাতা, 21 ডিসেম্বর : কলকাতা পৌরভোটের প্রচারে নজর কাড়লেও ভোট বাক্সে দাগ কাটতে পারলেন না তনিমা চট্টোপাধ্যায় ও সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ প্রত্যাশা বাড়িয়েও তাঁরা পারলেন না তৃণমূলের আস্তিনে আঁচড় কাটতে ৷
এই পৌরভোটের জন্য প্রার্থী ঘোষণা থেকেই এই দুই নেতাকে নিয়ে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে । দলের হাজারো নিষেধ সত্ত্বেও নির্দল হিসেবে নিজেদের প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করেননি এই দুই বিক্ষুব্ধ নেতা-নেত্রী ৷ প্রায় ধনুক-ভাঙ্গা পণ করেই নির্দল হিসাবে দাঁড়িয়েছিলেন এই দুজন । কিন্তু লড়াইয়ে শেষ রক্ষা হল না । জিততে পারলেন না তাঁরা কেউই (Satchidananda Banerjee and Tanima Chatterjee defeat in KMC Election) ।
একদিকে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ভাব শিষ্যা, অন্যদিকে তাঁর বোন দুইয়ের মধ্যে লড়াইয়ে 68 নম্বর ওয়ার্ডে শেষ হাসি হাসলেন সুদর্শনা বন্দ্যোপাধ্যায় । প্রথমবার প্রার্থী হয়ে মানুষের সমবেদনা পেলেও ভোট পেলেন না সুব্রত মুখোপাধ্যায় ছবি নিয়ে ভোটারদের দরজায় দরজায় ঘোরা তাঁর বোন তনিমা চট্টোপাধ্যায় । অন্যদিকে, দাঁতে দাঁত চেপে লড়াইয়ের কথা বললেও, মানুষের সমর্থন শেষ পর্যন্ত থাকল না কলকাতা পৌরনিগমের প্রাক্তন চেয়ারপার্সন সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে । তিনিও তৃণমূল প্রার্থী সন্দ্বীপ বক্সীর কাছে 72 নম্বর ওয়ার্ডে পরাজিত হলেন ।
আরও পড়ুন : 'ল্যান্ডস্লাইড ভিকট্রি', উচ্ছ্বাসের মধ্যেও বাবাকে মিস করছেন সাধন-কন্যা শ্রেয়া
এদিন পরাজয়ের পর সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "যদিও এবারের ভোটে মানুষের প্রকৃত মতামতের প্রতিফলন হয়নি । তবু যেহেতু আমি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস করি, তাই মানুষের এই রায় মাথা পেতে নিচ্ছি । " অন্যদিকে তনিমা চট্টোপাধ্যায় বলেন, "এটা জনমতের প্রকৃত প্রতিফলন নয় । নির্বাচনের দিন আপনারা দেখেছেন কী ভাবে বুথে বুথে তৃণমূল কর্মীরা জমায়েত হয়ে মানুষকে বুথমুখো হতে দেয়নি । এর ফলে ভোটের ফল যা হবার ছিল তাই হয়েছে ।" যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যের কথায়, "পথ ভাবে আমি দেব, রথ ভাবে আমি, মূর্তি ভাবে আমি দেব- হাসেন অন্তর্যামী । নাম না করে তিনি বলেন, অনেকে নিজেকে অনেক বড় ভাবতে শুরু করেছিলেন । কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি মাথার পিছনে না থাকলে যে তাঁদের কোনও মূল্য নেই এবার বুঝতে পারবেন তাঁরা।"