কলকাতা,6 এপ্রিল : দীর্ঘ 80 বছরে এই প্রথমবার এমন ঘটনা। রাসেল স্ট্রিটের সবচেয়ে পুরনো নিলাম ঘর রাসেল এক্সচেঞ্জে এই প্রথম টানা চার সপ্তাহ বন্ধ নিলাম। লোকসান হচ্ছে কয়েক লক্ষ টাকার।
কোরোনা আতঙ্কে বন্ধ দেশের সমস্ত ছোট-বড় ব্যবসা ও দোকানপাট। রাসেল স্ট্রিটের নিলামঘরগুলিতেও যেন থমকে গেছে সময়।রাসেল এক্সচেঞ্জে প্রতি সপ্তাহে দুদিন নিলাম ডাকা হয়। বৃহস্পতিবার পুরোনো জামা কাপড়ের নিলাম হয় ও রবিবার অন্যান্য জিনিসপত্রের নিলাম চলে। রাসেল এক্সচেঞ্জের বর্তমান মালিক আনোয়ার সেলিম বলেন যে, "যেদিন জনতা কারফিউ হয় সেদিন রবিবার ছিল। সেদিন থেকেই রাসেল এক্সচেঞ্জ বন্ধ। এখানে নিলাম শুরু হয় 1940 সালে। তারপর থেকে কোনওদিনও বন্ধ হয়নি অকশনের কাজ। কোনও উৎসব বা পার্বণ যদি বৃহস্পতিবার বা রবিবার পড়ে তাহলে সেক্ষেত্রে সপ্তাহের অন্য একটি দিনে নিলাম হয়। তবে কোরোনা আতঙ্কে বর্তমানে সবকটি নিলামঘর প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে বন্ধ।"
অন্যদিকে দোকানের শ্রমিকরা বিশেষ করে কুলিরা যাঁদের বেশিরভাগেরই বিহারে বাড়ি তাঁরা কেউ নিজেদের বাড়ি ফিরতে পারেননি। তাঁরা সবাই দোকানেই রয়েছে। আনোয়ারবাবু বলেন যে, আমরা তাঁদের বেতন দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের খাবারদাবার ও রেশন কেনার জন্য যথাসম্ভব সাহায্যও করে চলেছি। এই নিলামঘরের উপর বহু পরিবার নির্ভরশীল। বহু মানুষ যাঁদের জিনিষপত্র নিলামের জন্য দেওয়া হয়েছে তাঁরা নিজেদের টাকা পাচ্ছেন না। অনেক মানুষ রয়েছেন যাঁরা এই নিলামে বিক্রি হওয়া জিনিসের অর্থের উপর নির্ভরশীল। এছাড়াও বহু সরকারি নিলামও স্থগিত থাকার ফলে অৰ্থিক লোকসান হয়েছে।
আনোয়ারবাবুর আশঙ্কা যে দোকান চালু হওয়ার পরেও আবার লোক আসা শুরু হতে দেরি হবে। কারণ সবার মধ্যেই কোরোনার আতঙ্ক অনেক দিন থাকবে। সংক্রমণ রুখতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সরকারি নির্দেশিকা মেনে গত 22 মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে এই নিলাম ঘরগুলি। নিলামের দিন একসঙ্গে বহু মানুষ ভিড় করে। তাই সতর্কতা অবলম্বন করেই কোনরকম ঝুঁকি নিতে চাননি মালিক। এছাড়াও ওখানে মাল দেখতে আসার জন্য বহু ডিলাররাও প্রতিদিন আসেন । এছাড়া বৃহস্পতিবার ও রবিবার এই দুদিন নিলামে প্রচুর মানুষ এখানে ভিড় করেন।
এক সময় কলকাতায় অনেকগুলি নিলামঘর থাকলেও আজ তার বেশিরভাগই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শুধু রয়ে গিয়েছে রাসেল স্ট্রিটের তিনটি নিলামঘর-রাসেল এক্সচেঞ্জ, সুমন এক্সচেঞ্জ ও মডার্ন এক্সচেঞ্জ।
দীর্ঘ 80 বছরে প্রথমবার বন্ধ শহরের নিলামঘর
এক সময় কলকাতায় অনেকগুলি নিলামঘর থাকলেও আজ তার বেশিরভাগই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শুধু রয়ে গিয়েছে রাসেল স্ট্রিটের তিনটি নিলামঘর-রাসেল এক্সচেঞ্জ, সুমন এক্সচেঞ্জ ও মডার্ন এক্সচেঞ্জ।লকডাউনের জেরে এই প্রথম টানা চার সপ্তাহ বন্ধ রইল । লোকসান হচ্ছে কয়েক লক্ষ টাকার।
কলকাতা,6 এপ্রিল : দীর্ঘ 80 বছরে এই প্রথমবার এমন ঘটনা। রাসেল স্ট্রিটের সবচেয়ে পুরনো নিলাম ঘর রাসেল এক্সচেঞ্জে এই প্রথম টানা চার সপ্তাহ বন্ধ নিলাম। লোকসান হচ্ছে কয়েক লক্ষ টাকার।
কোরোনা আতঙ্কে বন্ধ দেশের সমস্ত ছোট-বড় ব্যবসা ও দোকানপাট। রাসেল স্ট্রিটের নিলামঘরগুলিতেও যেন থমকে গেছে সময়।রাসেল এক্সচেঞ্জে প্রতি সপ্তাহে দুদিন নিলাম ডাকা হয়। বৃহস্পতিবার পুরোনো জামা কাপড়ের নিলাম হয় ও রবিবার অন্যান্য জিনিসপত্রের নিলাম চলে। রাসেল এক্সচেঞ্জের বর্তমান মালিক আনোয়ার সেলিম বলেন যে, "যেদিন জনতা কারফিউ হয় সেদিন রবিবার ছিল। সেদিন থেকেই রাসেল এক্সচেঞ্জ বন্ধ। এখানে নিলাম শুরু হয় 1940 সালে। তারপর থেকে কোনওদিনও বন্ধ হয়নি অকশনের কাজ। কোনও উৎসব বা পার্বণ যদি বৃহস্পতিবার বা রবিবার পড়ে তাহলে সেক্ষেত্রে সপ্তাহের অন্য একটি দিনে নিলাম হয়। তবে কোরোনা আতঙ্কে বর্তমানে সবকটি নিলামঘর প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে বন্ধ।"
অন্যদিকে দোকানের শ্রমিকরা বিশেষ করে কুলিরা যাঁদের বেশিরভাগেরই বিহারে বাড়ি তাঁরা কেউ নিজেদের বাড়ি ফিরতে পারেননি। তাঁরা সবাই দোকানেই রয়েছে। আনোয়ারবাবু বলেন যে, আমরা তাঁদের বেতন দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের খাবারদাবার ও রেশন কেনার জন্য যথাসম্ভব সাহায্যও করে চলেছি। এই নিলামঘরের উপর বহু পরিবার নির্ভরশীল। বহু মানুষ যাঁদের জিনিষপত্র নিলামের জন্য দেওয়া হয়েছে তাঁরা নিজেদের টাকা পাচ্ছেন না। অনেক মানুষ রয়েছেন যাঁরা এই নিলামে বিক্রি হওয়া জিনিসের অর্থের উপর নির্ভরশীল। এছাড়াও বহু সরকারি নিলামও স্থগিত থাকার ফলে অৰ্থিক লোকসান হয়েছে।
আনোয়ারবাবুর আশঙ্কা যে দোকান চালু হওয়ার পরেও আবার লোক আসা শুরু হতে দেরি হবে। কারণ সবার মধ্যেই কোরোনার আতঙ্ক অনেক দিন থাকবে। সংক্রমণ রুখতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সরকারি নির্দেশিকা মেনে গত 22 মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে এই নিলাম ঘরগুলি। নিলামের দিন একসঙ্গে বহু মানুষ ভিড় করে। তাই সতর্কতা অবলম্বন করেই কোনরকম ঝুঁকি নিতে চাননি মালিক। এছাড়াও ওখানে মাল দেখতে আসার জন্য বহু ডিলাররাও প্রতিদিন আসেন । এছাড়া বৃহস্পতিবার ও রবিবার এই দুদিন নিলামে প্রচুর মানুষ এখানে ভিড় করেন।
এক সময় কলকাতায় অনেকগুলি নিলামঘর থাকলেও আজ তার বেশিরভাগই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শুধু রয়ে গিয়েছে রাসেল স্ট্রিটের তিনটি নিলামঘর-রাসেল এক্সচেঞ্জ, সুমন এক্সচেঞ্জ ও মডার্ন এক্সচেঞ্জ।