ETV Bharat / city

সরকারি সিদ্ধান্তর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের

author img

By

Published : May 29, 2020, 12:37 PM IST

রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সুর চড়ালেন ব্যাঙ্ক কর্মচারী সংগঠনের কর্মীরা। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সোচ্চার হন অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশনের সম্পাদক সঞ্জয় দাস।

Bank
Bank

কলকাতা, 29 মে: আত্মনির্ভর ভারত গড়ার কথা বলে কেন্দ্রীয় সরকার সরকারি সংস্থাগুলিকে বেসরকারিকরণ করতে চাইছে। এই অভিযোগে সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সুর চড়ালেন ব্যাঙ্ক কর্মচারী সংগঠনের কর্মীরা। দেশের অর্থমন্ত্রী রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে বেসরকারিকরণের স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন। আজ তার বিরুদ্ধে অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশনের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

"দেশের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে বেসরকারিকরণের জন্য উদ্যোগী হচ্ছে দেশের সরকার।" অভিযোগ অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশনের সম্পাদক সঞ্জয় দাসের। দীর্ঘদিন ধরে সরকারি সংস্থাগুলিকে বেসরকারিকরণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন প্রলোভন দেখাচ্ছে কর্মচারীদের। বেসরকারিকরণ কোনও সমাধান হতে পারে না, বলে মন্তব্য করেছেন অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশনের সদস্যরা।

সঞ্জয় দাস বলেন, "2008 সালে আমরা দেখেছি বহু মানুষকে ঋণ দেওয়া হয়েছে ব্যাঙ্কগুলি থেকে‌। সেই সময় দেশের বাজার স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল। অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছিল। তার ফল এখনও ভোগ করতে হচ্ছে। প্রায় 10 লাখ কোটি টাকার ঋণের দায়ে জর্জরিত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি। কেবলমাত্র ব্যাঙ্কের থেকে ঋণ দিলেই হবে না। গরিব মানুষের হাতে টাকা চাই। যে টাকা বাজারে চাহিদা বাড়াবে। ক্ষুদ্র শিল্প থেকে যে উৎপাদন তৈরি হবে তা বিক্রি করার জন্য উপযুক্ত ক্ষেত্র তৈরি হবে মানুষের হাতে টাকা পৌঁছালে। দেশের 20কোটি মানুষের হাতে টাকা নেই। উৎপাদিত সামগ্রী কেনার লোক নেই। দেশের বেশ কিছু রাজ্য শ্রমিক আইন লোপ করার চেষ্টা করছে। কাজের সময় 8 ঘণ্টার পরিবর্তে 1 ঘণ্টা করার প্রস্তাব দিচ্ছে। এতে শ্রমিকদের মানব সম্পদ ধ্বংস হবে। অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে যাবে। অবিলম্বে গরিব মানুষের হাতে টাকা এবং বিভিন্ন কর্মচারীর বেতন বৃদ্ধি করতে হবে। তাহলেই দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। চাহিদা বাড়বে।"

তিনি আরও বলেন, "গত তিন বছর ধরে ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের বেতন চুক্তি সম্পাদিত হয়নি। ন্যূনতম বেতনে ব্যাঙ্ক কর্মচারীরা লকডাউনের সময়ও সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর গরিব কল্যাণ যোজনার 500টাকা কয়েক লাখ মানুষের হাতে পৌঁছে দিয়েছে। যখন দেশের মানুষ গৃহবন্দী, তখন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক রাস্তায় নেমে মানুষকে পরিষেবা দিয়েছে। অর্থনীতিকে সচল রাখতে গত দু'মাসে 5.66 লাখ কোটি টাকার লেনদেন করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি ।" কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণের সময়, প্রবল সাইক্লোনের সময় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি করেছেন অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশনের সম্পাদক সঞ্জয় দাস।

কলকাতা, 29 মে: আত্মনির্ভর ভারত গড়ার কথা বলে কেন্দ্রীয় সরকার সরকারি সংস্থাগুলিকে বেসরকারিকরণ করতে চাইছে। এই অভিযোগে সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সুর চড়ালেন ব্যাঙ্ক কর্মচারী সংগঠনের কর্মীরা। দেশের অর্থমন্ত্রী রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে বেসরকারিকরণের স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন। আজ তার বিরুদ্ধে অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশনের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

"দেশের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে বেসরকারিকরণের জন্য উদ্যোগী হচ্ছে দেশের সরকার।" অভিযোগ অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশনের সম্পাদক সঞ্জয় দাসের। দীর্ঘদিন ধরে সরকারি সংস্থাগুলিকে বেসরকারিকরণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন প্রলোভন দেখাচ্ছে কর্মচারীদের। বেসরকারিকরণ কোনও সমাধান হতে পারে না, বলে মন্তব্য করেছেন অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশনের সদস্যরা।

সঞ্জয় দাস বলেন, "2008 সালে আমরা দেখেছি বহু মানুষকে ঋণ দেওয়া হয়েছে ব্যাঙ্কগুলি থেকে‌। সেই সময় দেশের বাজার স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল। অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছিল। তার ফল এখনও ভোগ করতে হচ্ছে। প্রায় 10 লাখ কোটি টাকার ঋণের দায়ে জর্জরিত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি। কেবলমাত্র ব্যাঙ্কের থেকে ঋণ দিলেই হবে না। গরিব মানুষের হাতে টাকা চাই। যে টাকা বাজারে চাহিদা বাড়াবে। ক্ষুদ্র শিল্প থেকে যে উৎপাদন তৈরি হবে তা বিক্রি করার জন্য উপযুক্ত ক্ষেত্র তৈরি হবে মানুষের হাতে টাকা পৌঁছালে। দেশের 20কোটি মানুষের হাতে টাকা নেই। উৎপাদিত সামগ্রী কেনার লোক নেই। দেশের বেশ কিছু রাজ্য শ্রমিক আইন লোপ করার চেষ্টা করছে। কাজের সময় 8 ঘণ্টার পরিবর্তে 1 ঘণ্টা করার প্রস্তাব দিচ্ছে। এতে শ্রমিকদের মানব সম্পদ ধ্বংস হবে। অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে যাবে। অবিলম্বে গরিব মানুষের হাতে টাকা এবং বিভিন্ন কর্মচারীর বেতন বৃদ্ধি করতে হবে। তাহলেই দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। চাহিদা বাড়বে।"

তিনি আরও বলেন, "গত তিন বছর ধরে ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের বেতন চুক্তি সম্পাদিত হয়নি। ন্যূনতম বেতনে ব্যাঙ্ক কর্মচারীরা লকডাউনের সময়ও সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর গরিব কল্যাণ যোজনার 500টাকা কয়েক লাখ মানুষের হাতে পৌঁছে দিয়েছে। যখন দেশের মানুষ গৃহবন্দী, তখন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক রাস্তায় নেমে মানুষকে পরিষেবা দিয়েছে। অর্থনীতিকে সচল রাখতে গত দু'মাসে 5.66 লাখ কোটি টাকার লেনদেন করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি ।" কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণের সময়, প্রবল সাইক্লোনের সময় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি করেছেন অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশনের সম্পাদক সঞ্জয় দাস।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.