কলকাতা, 29 জুলাই : এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) হেফাজতে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সদ্য প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় (Partha Chattrerjee) ৷ ভুবনেশ্বর এইমস থেকে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নেওয়ার পর তাঁকে হেফাজতে নিয়েছে আর্থিক দুর্নীতির সংক্রান্ত তদন্তে যুক্ত এই সংস্থা ৷ কিন্তু তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতাকে নাকি লকআপে সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন ইডির দুঁদে গোয়েন্দারা !
তদন্তকারীদের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে শুক্রবার সন্ধ্যায় পার্থকে ওষুধ খাওয়াতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন ইডির আধিকারিকরা ৷ বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক গত 15 বছর ধরে টাইপ-2 ডায়াবিটিসের রোগী ৷ ফলে ওষুধ সেবন তাঁর জন্য বাধ্যতামূলক ৷ ভুবনেশ্বর এইমস থেকে তাঁর জন্য বেশ কিছু ওষুধ দেওয়া হয়েছে ৷ সেই ওষুধগুলিই এদিন সন্ধ্যায় খেতে চাইছিলেন না রাজ্যের প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী ৷
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেক অনুরোধেও যখন কাজ হয়নি ৷ শেষে আধিকারিকরা অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) দ্বারস্থ হন ৷ তাঁকে দিয়ে পার্থকে ওষুধ খাওয়ার অনুরোধ করান ৷ অর্পিতা প্রথমে অনুরোধ করেন ৷ তাতেও কাজ না হয় খানিকটা ধমক দিয়েই বলেন, ‘‘স্যর, ওষুধগুলো খেয়ে নিন ?’’
ইডির আধিকারিকদের একটি সূত্রের দাবি, তার পরই মত বদলান পার্থ ৷ ওষুধ খেয়ে নেন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (Bengal SSC Scam) অভিযুক্ত এই নেতা ৷ হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন আধিকারিকরা ৷
প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে অর্পিতার দু’টি ফ্ল্য়াট থেকে প্রায় 50 কোটি টাকা ও আরও অনেক কিছু উদ্ধার করেছে ইডি ৷ অর্পিতাও এখন ইডি হেফাজতে ৷ পার্থ অর্পিতাকে পাশাপাশি লকআপে রাখা হয়েছে ৷ তাছড়া অর্পিতা পার্থর বন্ধু হিসেবেই পরিচিত বলে এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে ৷
তাই ইডির এক আধিকারিক মজার ছলে বললেন, ‘‘অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায় না থাকলে যে কী হতো ?’’
আরও পড়ুন : Update on SSC Scam: ভুয়ো নাম-ঠিকানা দিয়ে একাধিক সংস্থা খুলেছিলেন পার্থ, দাবি তদন্তকারীদের