ETV Bharat / city

প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি রাজ্যের বিরোধী দলনেতাদের - opposition letter to pm on lockdown , kolkata

দেশের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন রাজ্যের দুই বিরোধী দলনেতা । আজ কিছুক্ষণ আগে বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান এবং বামপন্থী দলনেতা সুজন চক্রবর্তী প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন ।

opposition letter to pm on lockdown , kolkata
প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি রাজ্যের বিরোধী দলনেতাদের
author img

By

Published : Apr 26, 2020, 4:31 PM IST

কলকাতা, 26 এপ্রিল : দেশের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন রাজ্যের দুই বিরোধী দলনেতা । আজ কিছুক্ষণ আগে বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান এবং বামপন্থী দলনেতা সুজন চক্রবর্তী প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন । জানা গেছে , চিঠিতে তাঁরা মূলত উল্লেখ করেছেন রাজ্যের বহু মানুষ লকডাউনের মধ্যে ভয়ঙ্কর সংকটে রয়েছেন ৷ পর্যাপ্ত খাদ্যদ্রব্য মিলছে না মানুষের । ইতিমধ্যেই বহু মানুষ অর্ধাহারে-অনাহারে রয়েছেন ৷

প্রধানমন্ত্রী লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, দেশের সব মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে 15 লাখ টাকা করে দেবেন । প্রধানমন্ত্রীর সেই প্রতিশ্রুতির কথা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন সুজন চক্রবর্তী এবং আবদুল মান্নান ৷ তাঁরা চিঠিতে দাবি করেছেন, অন্তত 6 মাস রাজ্যের গরিব মানুষের জন্য সাড়ে 7 হাজার টাকা পরিবারপিছু দেওয়া হোক । প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত 15 লাখ টাকা দেশের মানুষ এই কঠিন সময়ে পেলে বিশেষভাবে উপকৃত হতেন । অর্থের সংকটে ইতিমধ্যেই বহু মানুষ সমস্যায় পড়েছেন । কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণের জেরে বাধ্য হয়ে মানুষ স্বেচ্ছায় গৃহবন্দী রয়েছেন । এই সময় দেশের সরকারকে আরও বেশি মানবিক হয়ে দেশবাসীর পাশে দাঁড়ানো উচিত ৷

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত গরিব কল্যাণ যোজনায় 5 কেজি চাল এবং 1 কেজি ডাল পরিবারপিছু দেওয়ার কথা হয়েছিল । এই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্রস্তাব কার্যকর করা হয়নি । এখনও পর্যন্ত দরিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষ কেন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মতো খাদ্যদ্রব্য পাননি, তা নিয়েও আবেদন জানিয়েছেন বিরোধী নেতারা ৷ এছাড়াও কোনওরকম পরিকল্পনা ছাড়াই লকডাউন ঘোষিত হয়েছে । দীর্ঘ লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিক, পড়ুয়া, এবং রোগীসহ পর্যটকরাও আটকে রয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে । বিপর্যস্ত অবস্থায় আটকে রয়েছেন তাঁরা । ভিন রাজ্যে অধিকাংশ আটকে পড়া মানুষ অর্থের অভাবে অনাহারে-অর্ধাহারে রয়েছেন । প্রায় 65 শতাংশ পরিযায়ী শ্রমিক ভিন রাজ্যে আটকে রয়েছেন কোনওরকম সরকারি সাহায্য ছাড়াই । দুবেলা খাবারের ব্যবস্থাও হয়নি তাদের । সেই সঙ্গে রয়েছে চূড়ান্ত আর্থিক সংকট ।

বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, " মানুষের এই দুঃসময়ে কোনওরকম রাজনীতি করা ঠিক নয় । আরও বেশি মানবিক হয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে । প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আসার আগে বলেছিলেন, প্রত্যেক মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে 15 লাখ টাকা করে দেবেন । কোথায় গেল আজ সেই প্রতিশ্রুতি । বহু মানুষ চোখের জলে, অনাহারে রয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে । পরিকল্পনাহীন লকডাউনের ফলে তাঁরা ঘরে ফিরতে পারেননি । অসুস্থ রোগী, ভিন রাজ্যে পড়তে যাওয়া পড়ুয়ারাসহ, পরিযায়ী শ্রমিক এবং পর্যটকরা এখনও আটকে রয়েছেন । তাঁদের উদ্ধারের জন্য ভারত সরকারের আরও বেশি আন্তরিক হওয়া উচিত । "

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান বলেন, " প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা মতো খাদ্যদ্রব্য এ রাজ্যের মানুষ এখনও পায়নি । পরিবার প্রতি 5 কেজি চাল এবং 1 কেজি ডাল পশ্চিমবঙ্গের কোনও মানুষ পায়নি । অন্য রাজ্যে আটকে পড়া এরাজ্যের মানুষদের অবিলম্বে উদ্ধার করার আবেদন জানানো হয়েছে । বিরোধীদের দেওয়া চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী সদর্থক পদক্ষেপ করবেন বলেই মনে করছেন রাজ্যের বিরোধীদলের নেতারা । "

কলকাতা, 26 এপ্রিল : দেশের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন রাজ্যের দুই বিরোধী দলনেতা । আজ কিছুক্ষণ আগে বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান এবং বামপন্থী দলনেতা সুজন চক্রবর্তী প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন । জানা গেছে , চিঠিতে তাঁরা মূলত উল্লেখ করেছেন রাজ্যের বহু মানুষ লকডাউনের মধ্যে ভয়ঙ্কর সংকটে রয়েছেন ৷ পর্যাপ্ত খাদ্যদ্রব্য মিলছে না মানুষের । ইতিমধ্যেই বহু মানুষ অর্ধাহারে-অনাহারে রয়েছেন ৷

প্রধানমন্ত্রী লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, দেশের সব মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে 15 লাখ টাকা করে দেবেন । প্রধানমন্ত্রীর সেই প্রতিশ্রুতির কথা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন সুজন চক্রবর্তী এবং আবদুল মান্নান ৷ তাঁরা চিঠিতে দাবি করেছেন, অন্তত 6 মাস রাজ্যের গরিব মানুষের জন্য সাড়ে 7 হাজার টাকা পরিবারপিছু দেওয়া হোক । প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত 15 লাখ টাকা দেশের মানুষ এই কঠিন সময়ে পেলে বিশেষভাবে উপকৃত হতেন । অর্থের সংকটে ইতিমধ্যেই বহু মানুষ সমস্যায় পড়েছেন । কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণের জেরে বাধ্য হয়ে মানুষ স্বেচ্ছায় গৃহবন্দী রয়েছেন । এই সময় দেশের সরকারকে আরও বেশি মানবিক হয়ে দেশবাসীর পাশে দাঁড়ানো উচিত ৷

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত গরিব কল্যাণ যোজনায় 5 কেজি চাল এবং 1 কেজি ডাল পরিবারপিছু দেওয়ার কথা হয়েছিল । এই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্রস্তাব কার্যকর করা হয়নি । এখনও পর্যন্ত দরিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষ কেন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মতো খাদ্যদ্রব্য পাননি, তা নিয়েও আবেদন জানিয়েছেন বিরোধী নেতারা ৷ এছাড়াও কোনওরকম পরিকল্পনা ছাড়াই লকডাউন ঘোষিত হয়েছে । দীর্ঘ লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিক, পড়ুয়া, এবং রোগীসহ পর্যটকরাও আটকে রয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে । বিপর্যস্ত অবস্থায় আটকে রয়েছেন তাঁরা । ভিন রাজ্যে অধিকাংশ আটকে পড়া মানুষ অর্থের অভাবে অনাহারে-অর্ধাহারে রয়েছেন । প্রায় 65 শতাংশ পরিযায়ী শ্রমিক ভিন রাজ্যে আটকে রয়েছেন কোনওরকম সরকারি সাহায্য ছাড়াই । দুবেলা খাবারের ব্যবস্থাও হয়নি তাদের । সেই সঙ্গে রয়েছে চূড়ান্ত আর্থিক সংকট ।

বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, " মানুষের এই দুঃসময়ে কোনওরকম রাজনীতি করা ঠিক নয় । আরও বেশি মানবিক হয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে । প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আসার আগে বলেছিলেন, প্রত্যেক মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে 15 লাখ টাকা করে দেবেন । কোথায় গেল আজ সেই প্রতিশ্রুতি । বহু মানুষ চোখের জলে, অনাহারে রয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে । পরিকল্পনাহীন লকডাউনের ফলে তাঁরা ঘরে ফিরতে পারেননি । অসুস্থ রোগী, ভিন রাজ্যে পড়তে যাওয়া পড়ুয়ারাসহ, পরিযায়ী শ্রমিক এবং পর্যটকরা এখনও আটকে রয়েছেন । তাঁদের উদ্ধারের জন্য ভারত সরকারের আরও বেশি আন্তরিক হওয়া উচিত । "

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান বলেন, " প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা মতো খাদ্যদ্রব্য এ রাজ্যের মানুষ এখনও পায়নি । পরিবার প্রতি 5 কেজি চাল এবং 1 কেজি ডাল পশ্চিমবঙ্গের কোনও মানুষ পায়নি । অন্য রাজ্যে আটকে পড়া এরাজ্যের মানুষদের অবিলম্বে উদ্ধার করার আবেদন জানানো হয়েছে । বিরোধীদের দেওয়া চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী সদর্থক পদক্ষেপ করবেন বলেই মনে করছেন রাজ্যের বিরোধীদলের নেতারা । "

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.