“ভয়ে কাঁপছি” মন্তব্যের পর শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আমি তো আবার বলছি, আমরা সবার সঙ্গেই কথা বলি। গতকাল ১৪টি শিক্ষক সংগঠনের ২৬ জন এসেছিলেন। কথা বললাম। ওঁদের JUTA-র যে সংগঠন আছে ওদের সঙ্গে কি কথা বলি না ? কথা বলতে আপত্তির কী আছে ? কিন্তু, তার তো একটা ধরন থাকবে। তুমি আমার সঙ্গে কথা বলতে আসছ আর আমাকেই বন্দুক দেখাচ্ছ। এটা ঠিক নয়। একটা জিনিস আমি এদেরকে এখনও বলছি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৫ শতাংশ বা ৯৮ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী ভালো। ২ শতাংশের জন্য এরকম অবস্থা। সারা রাজ্যে ছাত্র নির্বাচন বন্ধ, কিন্তু ওরা বলছে আমাদেরটা করতে হবে। কেন তোমরা কি আলাদা নাকি? ওরা কি চাঁদে বাস করে? ওদের শুভবুদ্ধি জাগ্রত হোক।”
গতকালও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী ছাত্রদের অবস্থান বিক্ষোভ অব্যাহত ছিল। নির্বাচনের দাবিতে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে অবস্থানে বসেছে তারা। ওই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে তৃণমূলপন্থী ও বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলির মধ্যে ধাক্কাধাক্কিতে হেনস্থার শিকার হন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। ঘটনার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই ঘটনায় বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে। উপাচার্যের হেনস্থা হওয়ার মতো অবাঞ্ছিত ঘটনাটি ও বিভিন্ন অভিযোগের তদন্ত করতে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল সেই কমিটি গঠন করল কর্তৃপক্ষ। ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে। কমিটির চেয়ারম্যান SWRE-র ডাইরেক্টর ও ইসলামিক স্টাডিজ়ের প্রাক্তন ডিন অধ্যাপক আশিস মজুমদার। এছাড়া, সায়েন্স ফ্যাকাল্টির ডিন সুব্রতনাথ কোনার, ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির ডিন চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য, আর্টস ফ্যাকাল্টির ডিন অধ্যাপক শুভাশিস বিশ্বাস, ইসলামিক স্টাডিজ়ের ডিন অধ্যাপক পঙ্কজ রায় রয়েছেন এই কমিটিতে।
এ বছর ভরতির ক্ষেত্রে ডোমিসাইল সংরক্ষণ রাখা হবে কি না তা নিয়ে গতকাল ১৬টি বিভাগকে নিয়ে ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের বৈঠক হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। আগে এই সংরক্ষণ থাকলেও ২০০৮ সালে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। যার ফলে অন্যান্য রাজ্যের পড়ুয়াদের আধিক্য দেখা যায় যাদবপুরে। তাই এবার নতুন করে ডোমিসাইল সংরক্ষণ শুরু করা হবে কি না তা নিয়ে আলোচনা হয় এই বৈঠকে। চারটি বিভাগ গতকাল তাদের মতামত পেশ করতে পারেনি। তাই তাঁদের ৬ মার্চ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। ৬ মার্চ ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের আবার বৈঠক হবে। সেখানে এই বিষয়ে আলোচনার পর তা এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের কাছে পেশ করা হবে।