কলকাতা, 6 সেপ্টেম্বর: পাঠশালায় পাঠের মতো করে জঙ্গিপাঠ দেওয়া হতো ৷ তাও এই রাজ্যে বসেই ৷ জঙ্গি সন্দেহে ধৃত সাদ্দাম হোসেন এবং সমীর হোসেনকে জেরায় এমনই তথ্য় জানতে পেরেছেন রাজ্য পুলিশের এসটিএফ ৷ গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন দক্ষিণ 24 পরগনার দেউলকোটা এলাকায় চলত জঙ্গি প্রশিক্ষণের কাজ (Militant Training School Running in Deulkota) ৷
ভবানী ভবন সূত্রে খবর, ধৃত সমীর হোসেন এবং সাদ্দাম হোসেনের দায়িত্ব ছিল পশ্চিমবঙ্গে এসে প্রথমে একটি নিরাপদ আশ্রয় খোঁজার ৷ তাঁরা দক্ষিণ 24 পরগনার ডায়মন্ড হারবারের দেউলকোটার শুনসান জায়গাটিকে বেছে নেয় ৷ এর পরে সমীর হোসেন এবং সাদ্দাম হোসেন বিভিন্ন ব্যবসার আড়ালে যুবক-যুবতীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতেন ৷ সময় সুযোগ বুঝে সরকারের প্রতি বিদ্বেষ মনোভাব তৈরি করার জন্য তাঁদের মগজ ধোলাই করা হতো ৷ জানা গিয়েছে, দক্ষিণ 24 পরগনার ডায়মন্ড হারবারের দেউলকোটা এলাকার একটি বাড়িতে যুবক-যুবতীদের এনে চলত জঙ্গি তৈরির ক্লাস চলত ৷
এসটিএফ সূত্রে খবর, অডিও টেপ শোনানো এবং বিদ্বেষমূলক বই তাঁদের পড়ানো হতো ৷ যেখানে সরকারের প্রতি বিরূপ মনোভাবন তৈরি করাই প্রধান লক্ষ্য ছিল সমীর এবং সাদ্দামের ৷ ইতিমধ্যে, সমীর এবং সাদ্দামের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে সন্ত্রাসবাদী ভাবধারার বই, টেপ রেকর্ডার এবং বেশ কিছু ফোন নম্বর পেয়েছেন তদন্তকারীরা ৷
আরও পড়ুন: জঙ্গি সন্দেহে ধৃতদের 14 দিনের হেফাজতে পেল এসটিএফ
সম্প্রতি দক্ষিণ 24 পরগনার ডায়মন্ড হারবার পুলিশের সঙ্গে যৌথ তল্লাশি অভিযান চালায় রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা ৷ কিন্তু, গোয়েন্দাদের আসার কথা আগে থেকে জানতে পেরে দক্ষিণ 24 পরগনা ছেড়ে মুম্বই পালিয়ে যায় সমীর হোসেন ৷ কিন্তু, সাদ্দাম হোসেনকে ডায়মন্ডহারবারের দেউলকোটা এলাকা থেকেই গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা (Al Qaeda Terrorists Arrest) ৷ এর পর সাদ্দামকে লাগাতার জেরায় স্পেশাল টাস্ক ফোর্স জানতে পারেন সমীর হোসেন মুম্বইয়ে রয়েছেন ৷ সেই সূত্রে মুম্বই পুলিশের অ্যান্টি টেরর স্কোয়াডের গোয়েন্দাদের সাহায্যে রাজ্যের গোয়েন্দারা পলাতক সমীর হোসেনকে গ্রেফতার করে ৷