কলকাতা, 27এপ্রিল : মেয়র ফিরহাদ হাকিম জীবাণুনাশক স্প্রে ব্যবহারে আবারও সতর্ক করলেন। তিনি বলেন," সব জায়গায় আমরা জানিয়েছি জীবাণুনাশক স্প্রে হিসাবে সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড ব্যবহার না করার জন্য। তার বদলে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড অথবা স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে বলেছি । "
তিনি বলেন," সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড খুবই শক্তিশালী একটি রাসায়নিক যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক। তাই কোনও মতেই মানব শরীরে সংস্পর্শে এই ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা ঠিক নয়। তাই কলকাতা পৌর নিগমের তরফ থেকে সব জায়গায় জানানো হয়েছে এই রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার না করতে।"মানব শরীরের জন্য হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড অথবা স্যানিটাইজার জাতীয় কিছু ব্যবহার করে জীবাণুমুক্ত করা হয়। মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন বহু প্রতিষ্ঠার ও বণিক সমাজ কলকাতার বাজার গুলিতে জীবাণুনাশক স্প্রে টানেল গেট বসাতে চাইছে। তাঁর কাছে অনেকেই আবেদন জানিয়েছেন ।তাঁদের সকলকেই স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে স্প্রে করার ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বন করতে।
কলকাতার বড় বাজার গুলোতে জীবাণুনাশক টানেল গেট বসানো হচ্ছে । ইতিমধ্যে কলকাতার তিনটি বড় বাজারে এই জীবাণুনাশক টানেল গেট বসানো হয়েছে। নিউমার্কেট, যদুবাবুর বাজার ,চেতলা CIT মার্কেটে এই ধরনের জীবাণুনাশক টানেল গেট বসান হয়েছে। বাজারগুলোতে সামাজিক দূরত্ব মানা হলেও প্রতিদিন বহু মানুষ বাজারে আসছেন এখনও। ফলে প্রতিদিনই কলকাতার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বাজারে সকাল থেকেই উপচে পড়া ভিড় নজরে আসছে। ক্রেতা থেকে বিক্রেতা সকলকে মুখে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাও সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকেই যায় । সেজন্য জীবাণুনাশক টানেল গেট বসানো হচ্ছে কলকাতা গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলিতে। বাজারে প্রবেশ করার সময় এই টানেল গেটের মধ্য দিয়ে জীবাণুনাশক স্প্রে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ।এর ফলে কোনও ব্যক্তির গায়ে বা জামায় জীবাণু থাকলে তারা সঙ্গে সঙ্গে মারা যাবে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড কখনই স্প্রে করা উচিত নয় মানব শরীরে। এটা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক।
কলকাতা পৌরনিগম রাস্তাঘাট কোরোনার সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য জীবাণুমুক্ত করতে সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড ব্যবহার করছে। মেয়র জানিয়েছেন, রাস্তাঘাট ড্রেন, নালা- নর্দমা ইত্যাদি জীবাণুমুক্ত করতে এটি ব্যবহার করা করা হচ্ছে। যেসব পৌরকর্মীরা এই জীবাণুমুক্ত করার কাজ করছেন তাঁরা সকলেই PPE পোশাক পরে এই কাজ করছেন। কারণ এই রাসায়নিক পদার্থ শরীরের জন্য ক্ষতিকারক । তাই শরীর বাঁচাতেই তাঁদের PPE পোশাক দেওয়া হয়েছে।