কলকাতা, 26 এপ্রিল: চেতলার CIT মার্কেটে ডিজ-ইনফেকশন চেম্বার গেট বসানো হল এবার। আজ মেয়র ফিরহাদ হাকিম এই জীবাণুনাশক চেম্বার গেটের উদ্বোধন করেন। এতে সুরক্ষিত হবেন বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা। এই গেট পেরিয়ে বাজারে প্রবেশের সময় যে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হবে তা মানব দেহের জন্য ক্ষতিকারক নয়। কিন্তু, কোরোনা ভাইরাস মুক্ত হওয়া যাবে।
কলকাতায় প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে কোরোনার সংক্রমণ। অন্যদিকে কলকাতা পৌরনিগম একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সংক্রমণ প্রতিরোধে। প্রতিদিনই পুলিশ মাইকিং করে সাধারণ মানুষকে বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করছে। একই কারণে কলকাতার বেশ কয়েকটি বাজার বন্ধ করে দিয়েছে কলকাতা পৌরনিগম। বহু বস্তি ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাকে রেড জোন চিহ্নিত করে সিল করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও শহরের হাসপাতাল চত্বর, রাস্তা ও বাজারগুলিতে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে নিয়মিতভাবে। এছাড়াও রোজ বাজারে আসতে বারণ করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। অন্য দিকে ক্রেতা থেকে বিক্রেতা শহরের সকলের জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু, এরপরেও বাজারগুলিতে ভিড় দেখা যাচ্ছে। এমত অবস্থায় শহরের বাজারগুলিতে যাতে সংক্রমণের সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কমে, সে কথা ভেবেই জীবাণুনাশক টানেল গেট বসানোর কাজ শুরু হল আজ। চেতলার CIT মার্কেটে বসল প্রথম টানেলটি। উদ্বোধন করলেন মেয়র।
এই বিষয়ে এদিন মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, এই গেটের মাধ্যে যে ধরনের জীবাণুনাশক স্প্রে করা হবে তা মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকারক নয়। বরং মানুষের শরীরে গ্রহণযোগ্য স্যানিটাইজারের মত কাজ করবে। এতে দোকানের জিনিসপত্র কেনাকাটার সময় সংক্রমণের সম্ভাবনা কমে যাবে।
মেয়র আরও বলেন, "ক্রেতা ও বিক্রেতার হাতে বা জামাকাপড়ে কোরোনার জীবাণু লেগে থাকতেই পারে। জীবাণুনাশক টানেল গেটের মধ্যে দিয়ে প্রবেশের সময় যে কীটনাশক স্প্রে করা হবে তাতে জীবাণু নষ্ট হয়ে যাবে।" তিনি আরও বলেন, "সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বিষয়টি যেমন চলছিল তেমনই চলবে। সেইসঙ্গে গ্লাভস ও মাস্ক ব্যবহার করতে হবে সকলকে। অতিরিক্ত সুরক্ষার জন্য এই গেটের ব্যবস্থা হল।"
ভবিষ্যতে কলকাতার বিভিন্ন বাজারে এই ধরনের জীবাণুনাশক স্প্রে টানেল গেট বসানো হবে, জানালেন কলকাতা পৌরনিগমের মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।