কলকাতা, 21 জুলাই : করোনা আবহে 21 জুলাই (July 21) পালন করছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ শহিদ দিবসে ভার্চুয়াল বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ৷ অন্যরকম এই শহিদ দিবস (Martyrs’ Day) পালনে তিনি পাখির চোখ করেছেন 2024 লোকসভা নির্বাচনকে (Loksabha Election 2021)৷ সে জন্যই বাংলার গণ্ডি পেরিয়ে শহিদ দিবসকে জাতীয় স্তরে নিয়ে গিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো ৷ দিল্লি, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, ত্রিপুরা-সহ বিভিন্ন রাজ্যে মমতার বার্তা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে দল ৷ সাড়াও ভালোই মিলেছে ৷ রাজধানীতে শহিদ দিবস পালনের মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, এনসিপি-সহ বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতারা ৷
দিল্লিতে শহিদ দিবস পালনের আয়োজন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ সেই মঞ্চে দেখা গিয়েছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা পি চিদম্বরম (P Chidambaram), কংগ্রেস সাংসদ দিগ্বিজয় সিং(Digvijay Singh), সমাজবাদী পার্টির সাংসদ রামগোপাল যাদব ও জয়া বচ্চনকে ৷ সেখানে যান এনসিপি প্রধান তথা সাংসদ শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar) ও সাংসদ সুপ্রিয়া সুলেও ৷ আজ ভার্চুয়াল বক্তব্য শুরু করার সময়ই জাতীয় স্তরের সব নেতাদের স্বাগত ও ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
আরও পড়ুন: সুয়োমোটো করে দেশকে 'বাঁচাতে' সুপ্রিম কোর্টকে আবেদন মমতার
শুধু দিল্লি নয়, অন্যান্য রাজ্যেও শহিদ দিবস পালনের কর্মসুচি নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাতে শহিদ দিবসের হোর্ডিং লাগানো হলেও, পরে সেই হোর্ডিং সরিয়ে দিতে দেখা যায় ৷ ত্রিপুরায় করোনা আবহে সভার অনুমতি না-মেলায় জায়ান্ট স্ক্রিন মেলেনি ৷ তাই প্রজেক্টর দিয়ে মমতার ভার্চুয়াল ভাষণ শোনানোর ব্যবস্থা করা হয় ৷
বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয় পেয়ে তৃতীয়বার বাংলার ক্ষমতায় আসার দিনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে এ বার তাঁর লক্ষ্য দিল্লি ৷ বিরোধীদের একজোট করে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দেন তিনি ৷ 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধীদের একজোট করতে শহিদ দিবসের মঞ্চকেই কাজে লাগাতে চেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাঁর ডাকে বিভিন্ন নেতারা যে ভাবে সাড়া দিয়েছেন, তাতে এটা স্পষ্ট বিজেপি বিরোধী শক্তির অন্যতম মুখ এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
আরও পড়ুন: নিজেদের স্বার্থ ভুলে এক হতে হবে, বিজেপি বিরোধীদের বৈঠক ডাকার প্রস্তাব মমতার
2019 সালে লোকসভা নির্বাচনের আগেও কলকাতায় মিছিল করে বিভিন্ন দলের নেতাদের একজোট করার চেষ্টা করেছিলেন মমতা ৷ ব্রিগেডের সমাবেশে দেখা গিয়েছিল গুজরাতের পতিদার আন্দোলনের নেতা হার্দিক প্যাটেল, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, লালু প্রসাদ যাদবের ছেলে তেজস্বী যাদব, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও তৎকালীন বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহাকে ৷ ছিলেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুখ আবদুল্লা, জেডিএস নেতা এইচডি দেবগৌড়া-সহ অন্য নেতারা ৷ তবে সে বার লোকসভায় সাফল্য আসেনি বিরোধীদের ঝুলিতে ৷ বিরাট ব্যবধানে জিতে ফের ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদি সরকার ৷ তবে এ বারের চ্যালেঞ্জটা তাদের জন্য একটু কঠিন হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷ কারণ রাজ্যে বিজেপি হাওয়াকে অনেকটাই স্তিমিত করে দিয়েছে তৃণমূলের জয় ৷ এরপর কীভাবে বিরোধীরা আরও সংগঠিত হয়, সেটাই দেখার ৷