কলকাতা, 5 ডিসেম্বর : উদ্দেশ্যহীনভাবে রবীন্দ্রসরোবরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন এক যুবক । উস্কোখুস্কো চেহারা, কিছুটা যেন অপ্রকৃতিস্থ । রবিবার দুপুরে লেকে বেড়াতে আসা মানুষজন ফোন করেন রবীন্দ্র সরোবর থানায় । দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন ডিউটি অফিসার সুনীল ঘোষ । সাথে সাথেই তৎপর হয় কলকাতা পুলিশ । ফলও মেলে । পাওয়া যায় যুবকের বাড়ির ঠিকানা । পুলিশের উদ্যোগে ঘরে ফেরে যুবক ।
মানবিক কলকাতা পুলিশ, ডিউটি অফিসারের চেষ্টায় ঘরে ফিরল যুবক - মানবিক কলকাতা পুলিশ, ঘরে ফিরল ছেলে
কলকাতা পুলিশের উদ্যোগে যোগাযোগ করা হয় কৃষ্ণ হাজরার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে । ওই যুবককে রাখা হয় আম্রপালি হোমে । সেখানে তাঁকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করিয়ে পরান হয় নতুন পোশাক । আসে কৃষ্ণর পরিবারের লোকজন । আসেন তাঁর স্ত্রী । তিনি এতদিন পর স্বামীকে দেখে চোখের জল আটকাতে পারেননি ।
মানবিক কলকাতা পুলিশ, ঘরে ফিরল ছেলে
কলকাতা, 5 ডিসেম্বর : উদ্দেশ্যহীনভাবে রবীন্দ্রসরোবরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন এক যুবক । উস্কোখুস্কো চেহারা, কিছুটা যেন অপ্রকৃতিস্থ । রবিবার দুপুরে লেকে বেড়াতে আসা মানুষজন ফোন করেন রবীন্দ্র সরোবর থানায় । দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন ডিউটি অফিসার সুনীল ঘোষ । সাথে সাথেই তৎপর হয় কলকাতা পুলিশ । ফলও মেলে । পাওয়া যায় যুবকের বাড়ির ঠিকানা । পুলিশের উদ্যোগে ঘরে ফেরে যুবক ।
Intro:কলকাতা, 5 ডিসেম্বর: উস্কোখুস্কো চেহারা। উদ্দেশ্যহীনভাবে রবীন্দ্রসরোবরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন এক যুবক। কিছুটা যেন অপ্রকৃতিস্থ। রবিবার দুপুরে লেকে বেড়াতে আসা মানুষজন ফোন করেন রবীন্দ্র সরোবর থানায়। দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন ডিউটি অফিসার সুনীল ঘোষ। তারপর ঝাঁপিয়ে পড়ে কলকাতা পুলিশ। ফল পেলে। উদ্ধার হয় যুবকের বাড়ির ঠিকানা। পুলিশের উদ্যোগে ঘরে ফিরল ঘরের ছেলে।
Body:কাজটা সহজ ছিল না মোটেও। যুবকের কথাবার্তা ছিল অসংলগ্ন। ভালো করে নিজের পরিচয়টা দিতে পারছিলেন না তিনি। বহু চেষ্টার পর পুলিশ উদ্ধার করে ওই যুবকের নাম। কৃষ্ণ হাজরা। চিকাদা বর্ধমানের বুদবুদ। এইটুকু গ্রুপেই বুদবুদ থানায় ফোন করে কলকাতা পুলিশ। বুদবুদ থানা পাতা উল্টে কোন নিখোঁজ ডায়েরি পায়নি এই নামে। এবার মাঠে নামে বুদবুদ থানার পুলিশ। খবর পাঠানো হয় থানার সর্বত্র। ফল মেলে। বর্ধমানের বুদবুদ থানা থেকে জানানো হয় ওই যুবকের খোঁজ মিলেছে। তার বাড়ি কোটা গ্রামে। বাড়িতে আছেন বাবা, স্ত্রী ও দুই মেয়ে। গত বৈশাখ মাসে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। পরিবারের তরফে বহু খোঁজ করা হয়েছে। মিসিং ডায়েরি না করেই চলেছে খোঁজ। পাওয়া যায়নি কৃষ্ণকে।
Conclusion:এবার কলকাতা পুলিশের উদ্যোগে বানানো হয় তার পরিবারের সদস্যদের। ওই যুবককে রাখা হয় আম্রপালি হোমে। সেখানে তাকে পড়ানো হয় নতুন পোশাক। করা হয় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। কাটা হয় গালের বহুদিনের না কাটা দাড়ি। আসে কৃষ্ণর পরিবারের লোকজন। আসেন তার স্ত্রী। স্বামীকে দেখে চোখের জল বাগ মানেনি। বহুদিন পর চার হাত এক হয়। কলকাতা পুলিশের ডিউটি অফিসার সুনীল বাবুর চশমার কাঁচও যেন ঝাপসা হয়। মুখের ফু বলি তখন অদ্ভুত এক প্রশান্তি।
Body:কাজটা সহজ ছিল না মোটেও। যুবকের কথাবার্তা ছিল অসংলগ্ন। ভালো করে নিজের পরিচয়টা দিতে পারছিলেন না তিনি। বহু চেষ্টার পর পুলিশ উদ্ধার করে ওই যুবকের নাম। কৃষ্ণ হাজরা। চিকাদা বর্ধমানের বুদবুদ। এইটুকু গ্রুপেই বুদবুদ থানায় ফোন করে কলকাতা পুলিশ। বুদবুদ থানা পাতা উল্টে কোন নিখোঁজ ডায়েরি পায়নি এই নামে। এবার মাঠে নামে বুদবুদ থানার পুলিশ। খবর পাঠানো হয় থানার সর্বত্র। ফল মেলে। বর্ধমানের বুদবুদ থানা থেকে জানানো হয় ওই যুবকের খোঁজ মিলেছে। তার বাড়ি কোটা গ্রামে। বাড়িতে আছেন বাবা, স্ত্রী ও দুই মেয়ে। গত বৈশাখ মাসে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। পরিবারের তরফে বহু খোঁজ করা হয়েছে। মিসিং ডায়েরি না করেই চলেছে খোঁজ। পাওয়া যায়নি কৃষ্ণকে।
Conclusion:এবার কলকাতা পুলিশের উদ্যোগে বানানো হয় তার পরিবারের সদস্যদের। ওই যুবককে রাখা হয় আম্রপালি হোমে। সেখানে তাকে পড়ানো হয় নতুন পোশাক। করা হয় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। কাটা হয় গালের বহুদিনের না কাটা দাড়ি। আসে কৃষ্ণর পরিবারের লোকজন। আসেন তার স্ত্রী। স্বামীকে দেখে চোখের জল বাগ মানেনি। বহুদিন পর চার হাত এক হয়। কলকাতা পুলিশের ডিউটি অফিসার সুনীল বাবুর চশমার কাঁচও যেন ঝাপসা হয়। মুখের ফু বলি তখন অদ্ভুত এক প্রশান্তি।
Last Updated : Dec 5, 2019, 3:43 PM IST