কলকাতা, 12 জুলাই : উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করল চাকরিপ্রার্থীরা । বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেছেন জনৈক রাজীব ব্রহ্ম সহ অন্য চাকরিপ্রার্থীরা ।
গত শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নেন । স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ইন্টারভিউ ও নিয়োগ প্রক্রিয়া চালানোর নির্দেশ দেন । বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ওই রায়ের বিরুদ্ধেই ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করল ইন্টারভিউর তালিকায় যাঁদের নাম নেই সেই চাকরিপ্রার্থীরা । চলতি সপ্তাহেই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে ।
গত শুক্রবার নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু শর্ত আরোপ করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় । আদালতের নির্দেশ ছিল প্রত্যেক ভুক্তভোগী চাকরিপ্রার্থী অনলাইন বা অফলাইনের মাধ্যমে নিজের অভিযোগ দুই সপ্তাহের মধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে জানাবে । প্রত্যেক অভিযোগকারীর বক্তব্য গুরুত্ব সহকারে আলাদাভাবে শুনবে স্কুল সার্ভিস কমিশন ৷ তাঁর ফলাফল কী হল, কেন হল তা আলাদাভাবে জানাবে । এছাড়াও পুরো প্রক্রিয়া 12 সপ্তাহের মধ্যে শেষ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে । একই সঙ্গে আদালতের তরফে একটা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ৷ সেই প্রস্তাবে বলা হয়, পরের উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীদের যাঁরা ভুক্তভোগী তাঁদের বয়সে পাঁচ বছরের ছাড় দেওয়া যায় কি-না সেটা বিবেচনা করে দেখবে রাজ্য সরকার ও স্কুল সার্ভিস কমিশন ।
আরও পড়ুন: উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, ইন্টারভিউয়ের জন্য মেধাতালিকা প্রকাশ স্কুল সার্ভিস কমিশনের
উচ্চ প্রাথমিকে 14 হাজার 339 পদে নিয়োগের জন্য গত 21 জুন স্কুল সার্ভিস কমিশন চাকরিপ্রার্থীদের একটি ইন্টারভিউর তালিকা প্রকাশ করেছিল । সেই তালিকায় কেবল প্রার্থীদের নাম ও জন্ম তারিখের উল্লেখ ছিল । এর বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন একাধিক প্রার্থী । এর পরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন, এক সপ্তাহের মধ্যে কৃতকার্য এবং অকৃতকার্য প্রত্যেক প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর সহ ইন্টারভিউর তালিকা প্রকাশ করতে হবে । সেই নির্দেশ মতো স্কুল সার্ভিস কমিশন প্রত্যেকের নম্বর সহ তালিকা প্রকাশ করে । গত শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্যবেক্ষণের পর নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বাভাবিক ভাবে চালানোর নির্দেশ দেন ।