ETV Bharat / city

শিক্ষিকার বেতন না দেওয়ার মামলায় হাই কোর্টের ভর্ৎসনা বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রারকে - Calcutta High Court

এক শিক্ষিকার বকেয়া বেতন মেটাতে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট৷ কিন্তু সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে৷ সেই মামলাতেও শিক্ষিকার বেতন মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত৷ কিন্তু তার পরও সেই নির্দেশ মানা হয়নি বলে অভিযোগ৷ তাই বৃহস্পতিবার আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রারকে৷ কেন আদালতের নির্দেশ মানা হল না, সেই জবাবও চেয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট৷

আদালত অবমাননার মামলায় হাই কোর্টের ভর্ৎসনা বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রারকে
আদালত অবমাননার মামলায় হাই কোর্টের ভর্ৎসনা বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রারকে
author img

By

Published : Feb 4, 2021, 6:07 PM IST

Updated : Feb 4, 2021, 7:07 PM IST

কলকাতা, 4 ফেব্রুয়ারি : এক শিক্ষিকার বেতন সংক্রান্ত একটি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়৷ ওই মামলায় বৃহস্পতিবার আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রারকে৷ কেন আদালতের নির্দেশ মানা হল না, সেই জবাবও চেয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট৷ একই সঙ্গে অবিলম্বে ওই শিক্ষিকার কয়েক মাসের বকেয়া বেতন অবিলম্বে মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷

আদালত সূত্রে খবর, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক শিক্ষিকা শ্রুতি বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্বভারতীতে পড়াতে যান৷ তিনি সঙ্গীত ভবনের শিক্ষিকা৷ 2014 সালে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি যা বেতন পেতেন, তার থেকে অনেক বেশি বেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় নিযুক্ত হন। কিন্তু 2018 সালে বিদ্যুৎকুমার চক্রবর্তী বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর জানান যে ওই শিক্ষিকাকে অনেক বেশি বেতন দেওয়া হয়েছে৷ প্রায় 14 লক্ষ টাকা ওই শিক্ষিকাকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন শ্রুতি বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বছরের গোড়ার দিকে কলকাতা হাই কোর্টের তরফে এই মামলার রায়ে বিশ্বভারতীকে সমস্ত বকেয়া মেটাতে বলা হয়৷

এর পরই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে মামলা করে। ইতিমধ্যে ওই শিক্ষিকার বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠলে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয় বকেয়া বেতন মিটিয়ে দিতে। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চের সেই নির্দেশ পালন করা হয়নি। শিক্ষিকার প্রায় পাঁচ মাসের বেতন বকেয়া থাকলেও তাকে মাত্র দু’মাসের বেতন দেওয়া হয়েছে বলে আদালতে জানান তাঁর আইনজীবী।

সেই মামলায় সশরীরে হাজির হতে বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দিয়েছিল ওই বেঞ্চ৷ বুধবার সেই নির্দেশ মতো আদালতে হাজির হন বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রার৷ তাঁকে আদালতের তরফে প্রথমেই প্রশ্ন করা হয় যে, কেন এতদিন আদালতের নির্দেশ মানা হয়নি? হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, রবীন্দ্রনাথের নামাঙ্কিত প্রতিষ্ঠান হওয়ায় তাঁর সম্মানের কথা ভেবে তারা রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে রুল এতদিন জারি করেনি। তার পরই বিচারপতিদের প্রশ্ন, ‘‘আপনার কী করে সাহস হয় আদালতের নির্দেশ অবমাননা করার?’’

আরও পড়ুন : বেশিরভাগ আশ্রমিক ও রাবীন্দ্রিক স্বার্থান্বেষী, মন্তব্য বিশ্বভারতীর উপাচার্যর

গোটা বিষয়টি আগামী 5 মার্চ লিখিত আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রারকে দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট৷

কলকাতা, 4 ফেব্রুয়ারি : এক শিক্ষিকার বেতন সংক্রান্ত একটি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়৷ ওই মামলায় বৃহস্পতিবার আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রারকে৷ কেন আদালতের নির্দেশ মানা হল না, সেই জবাবও চেয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট৷ একই সঙ্গে অবিলম্বে ওই শিক্ষিকার কয়েক মাসের বকেয়া বেতন অবিলম্বে মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷

আদালত সূত্রে খবর, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক শিক্ষিকা শ্রুতি বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্বভারতীতে পড়াতে যান৷ তিনি সঙ্গীত ভবনের শিক্ষিকা৷ 2014 সালে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি যা বেতন পেতেন, তার থেকে অনেক বেশি বেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় নিযুক্ত হন। কিন্তু 2018 সালে বিদ্যুৎকুমার চক্রবর্তী বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর জানান যে ওই শিক্ষিকাকে অনেক বেশি বেতন দেওয়া হয়েছে৷ প্রায় 14 লক্ষ টাকা ওই শিক্ষিকাকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন শ্রুতি বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বছরের গোড়ার দিকে কলকাতা হাই কোর্টের তরফে এই মামলার রায়ে বিশ্বভারতীকে সমস্ত বকেয়া মেটাতে বলা হয়৷

এর পরই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে মামলা করে। ইতিমধ্যে ওই শিক্ষিকার বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠলে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয় বকেয়া বেতন মিটিয়ে দিতে। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চের সেই নির্দেশ পালন করা হয়নি। শিক্ষিকার প্রায় পাঁচ মাসের বেতন বকেয়া থাকলেও তাকে মাত্র দু’মাসের বেতন দেওয়া হয়েছে বলে আদালতে জানান তাঁর আইনজীবী।

সেই মামলায় সশরীরে হাজির হতে বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দিয়েছিল ওই বেঞ্চ৷ বুধবার সেই নির্দেশ মতো আদালতে হাজির হন বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রার৷ তাঁকে আদালতের তরফে প্রথমেই প্রশ্ন করা হয় যে, কেন এতদিন আদালতের নির্দেশ মানা হয়নি? হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, রবীন্দ্রনাথের নামাঙ্কিত প্রতিষ্ঠান হওয়ায় তাঁর সম্মানের কথা ভেবে তারা রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে রুল এতদিন জারি করেনি। তার পরই বিচারপতিদের প্রশ্ন, ‘‘আপনার কী করে সাহস হয় আদালতের নির্দেশ অবমাননা করার?’’

আরও পড়ুন : বেশিরভাগ আশ্রমিক ও রাবীন্দ্রিক স্বার্থান্বেষী, মন্তব্য বিশ্বভারতীর উপাচার্যর

গোটা বিষয়টি আগামী 5 মার্চ লিখিত আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রারকে দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট৷

Last Updated : Feb 4, 2021, 7:07 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.