ETV Bharat / city

ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী করতে চাইছেন মমতা, পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ তুলে আক্রমণ অমিতের

অমিত শাহের কানে পৌঁছেছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করে তৃণমূলের অন্দরের রাজনীতির খবর। এক শ্রেণির তৃণমূল নেতা-কর্মী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঠিকমতো মেনে নিতে পারছে না বলে জানিয়েছেন এ রাজ্যের কার্যকর্তারা। অমিত শাহ নিজের বক্তব্যের মধ্যে সেই ক্ষোভকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা ছিল ষোলআনা।

home-minister-amit-shah-attack-mamata-banerjee-for-violation-of-law-and-order
ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী করতে চাইছেন মমতা, পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ তুলে আক্রমণ অমিতের
author img

By

Published : Nov 6, 2020, 8:31 PM IST

কলকাতা, 6 নভেম্বর : একটানা আক্রমণ। আক্রমণের তিরে আর "দিদি" নন। এবার সরাসরি "মমতা"। তৃণমূলের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ এনে, অমিত শাহ দাবি করলেন আগামী নির্বাচনে মমতার একটাই এজেন্ডা। ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো। পাশাপাশি তিনি দাবি করলেন, BJP-র একটাই লক্ষ্য। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার সরকার বদলে দেওয়া। বাংলার মানুষের কাছে তাঁর আর্জি, কংগ্রেসকে সুযোগ দিয়েছেন, বামপন্থীদের দীর্ঘ সুযোগ দিয়েছেন, মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে দু’বার সুযোগ দিয়েছেন। সবাই বাংলার জনতার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এবার নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন BJP-কে সুযোগ দিন। পাঁচ বছরে সোনার বাংলা বানিয়ে দেওয়া হবে।


প্রথমে ঠিক ছিল কলকাতার সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন দুপুরে। সেটা বারবার পিছিয়ে যায়। কারণ তিনি অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন দলের সাংগঠনিক পরিস্থিতি ঠিক করতে। সময় দিয়েছেন সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মনের কথা জানতে। দলীয় কার্যকর্তাদের অমিত নির্দেশ দিয়েছেন, শুধুমাত্র সরকার বিরোধিতা নয়। বাংলার মানুষের মনের কাছাকাছি পৌঁছাতে হবে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতেই তিনি বলেন, “ পার্টির নেতাদের কাছ থেকে বাংলার খবর প্রতি মুহূর্তেই পাই। তবে গত দু'দিন ধরে বিভিন্ন ধরনের মানুষের সঙ্গে কথা বললাম। বোঝার চেষ্টা করলাম বাংলার মানুষ কি চাইছে। বুঝলাম মা মাটি মানুষের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসা সরকারের বিরুদ্ধে মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছে। মা মাটি মানুষের সরকারের নামে তানাসাহি চলছে। এই সরকারের পরিবর্তন চাইছে মানুষ। তারা নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন BJP-র সরকার চাইছে। কারণ এর আগে বিহার, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ে BJPর শাসন দেখেছে মানুষ। সেখানে সত্য়িকারের পরিবর্তন এসেছে।"

তৃণমূলকে আক্রমণ করতে গিয়ে অমিত শাহ বলেন, " প্রশাসনকে রাজনীতিকরণ করা হয়েছে। রাজনীতিতে ভ্রষ্টাচার চলছে। আর ভ্রষ্টাচারকে ইনস্টিটিউট করে দেওয়া হয়েছে।" পাশাপাশি মহিলাদের সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। সরাসরি মমতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি বলেন, “আপনার কাছে একটাই প্রশ্ন, 2018 সালের পর থেকে ন্যাশনাল বিওরো অফ ক্রাইম রেকর্ডসকে তথ্য দেওয়া বন্ধ করে দিলেন কেন? মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধে রাজ্য দেশের মধ্যে সবার আগে রয়েছে। 2018 সালের তথ্য সে কথাই বলছে। ধর্ষণের চেষ্টাতেও এই বাংলা অন্যান্য রাজ্যের মধ্যে সবার আগে রয়েছে। নারী পাচারের ক্ষেত্রে এ রাজ্যের স্থান দ্বিতীয়। নারীরা এ রাজ্য থেকেই বেশি হারিয়ে গিয়ে আর ফেরত আসেননি। একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হয়ে রাজ্যের নারীদের সুরক্ষা দিতে পারেন না কেন? আপনি অন্য রাজ্যের প্রসঙ্গ টেনে এনে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করবেন জানি। কিন্তু আমরা সেই রাজ্যের সরকারে আসার আগে কি পরিস্থিতি ছিল, আর এখনকার পরিস্থিতি তুল্যমূল্য বিচার করলেই পুরোটা বোঝা যাবেন।"

তবে অমিত শাহের কানে পৌঁছেছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করে তৃণমূলের অন্দরের রাজনীতির খবর। এক শ্রেণির তৃণমূল নেতা-কর্মী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঠিকমতো মেনে নিতে পারছে না বলে জানিয়েছেন এরাজ্যের কার্যকর্তারা। অমিত শাহ নিজের বক্তব্যের মধ্যে সেই ক্ষোভকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা ছিল ষোল আনা। তিনি বলেন, “ এরাজ্যে তিন রকমের আইন চলছে। একটা ভাইপোর জন্য। একটা ভোট ব্যাঙ্কের জন্য। অন্যটা পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের জন্য। কোনও রাজ্যে এমনটা হয় আমি তো জীবনেও দেখিনি।"


তার বক্তব্যে উঠে এসেছে কাটমানি প্রসঙ্গও। আয়ুষ্মান ভারত এবং কিষান সুরক্ষা যোজনায় এ রাজ্যের যোগদান না করাকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “ এ রাজ্যের কৃষকরা কেন 6 হাজার টাকা করে পাবেন না ? কেন আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা এরাজ্যের মানুষ পাবেন না ? তার জবাব তৃণমূলকে দিতেই হবে। তার জবাব না দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রতি মাসেই একটা করে চিঠি দেন। বলেন ওই টাকা আমাদের পাঠিয়ে দিতে। আমরা পাঠাই না তার কারণ, ওই টাকা কৃষক কিংবা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাবে না। তা চলে যাবে তৃণমূল কর্মীদের পকেটে।"

কলকাতা, 6 নভেম্বর : একটানা আক্রমণ। আক্রমণের তিরে আর "দিদি" নন। এবার সরাসরি "মমতা"। তৃণমূলের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ এনে, অমিত শাহ দাবি করলেন আগামী নির্বাচনে মমতার একটাই এজেন্ডা। ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো। পাশাপাশি তিনি দাবি করলেন, BJP-র একটাই লক্ষ্য। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার সরকার বদলে দেওয়া। বাংলার মানুষের কাছে তাঁর আর্জি, কংগ্রেসকে সুযোগ দিয়েছেন, বামপন্থীদের দীর্ঘ সুযোগ দিয়েছেন, মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে দু’বার সুযোগ দিয়েছেন। সবাই বাংলার জনতার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এবার নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন BJP-কে সুযোগ দিন। পাঁচ বছরে সোনার বাংলা বানিয়ে দেওয়া হবে।


প্রথমে ঠিক ছিল কলকাতার সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন দুপুরে। সেটা বারবার পিছিয়ে যায়। কারণ তিনি অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন দলের সাংগঠনিক পরিস্থিতি ঠিক করতে। সময় দিয়েছেন সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মনের কথা জানতে। দলীয় কার্যকর্তাদের অমিত নির্দেশ দিয়েছেন, শুধুমাত্র সরকার বিরোধিতা নয়। বাংলার মানুষের মনের কাছাকাছি পৌঁছাতে হবে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতেই তিনি বলেন, “ পার্টির নেতাদের কাছ থেকে বাংলার খবর প্রতি মুহূর্তেই পাই। তবে গত দু'দিন ধরে বিভিন্ন ধরনের মানুষের সঙ্গে কথা বললাম। বোঝার চেষ্টা করলাম বাংলার মানুষ কি চাইছে। বুঝলাম মা মাটি মানুষের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসা সরকারের বিরুদ্ধে মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছে। মা মাটি মানুষের সরকারের নামে তানাসাহি চলছে। এই সরকারের পরিবর্তন চাইছে মানুষ। তারা নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন BJP-র সরকার চাইছে। কারণ এর আগে বিহার, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ে BJPর শাসন দেখেছে মানুষ। সেখানে সত্য়িকারের পরিবর্তন এসেছে।"

তৃণমূলকে আক্রমণ করতে গিয়ে অমিত শাহ বলেন, " প্রশাসনকে রাজনীতিকরণ করা হয়েছে। রাজনীতিতে ভ্রষ্টাচার চলছে। আর ভ্রষ্টাচারকে ইনস্টিটিউট করে দেওয়া হয়েছে।" পাশাপাশি মহিলাদের সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। সরাসরি মমতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি বলেন, “আপনার কাছে একটাই প্রশ্ন, 2018 সালের পর থেকে ন্যাশনাল বিওরো অফ ক্রাইম রেকর্ডসকে তথ্য দেওয়া বন্ধ করে দিলেন কেন? মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধে রাজ্য দেশের মধ্যে সবার আগে রয়েছে। 2018 সালের তথ্য সে কথাই বলছে। ধর্ষণের চেষ্টাতেও এই বাংলা অন্যান্য রাজ্যের মধ্যে সবার আগে রয়েছে। নারী পাচারের ক্ষেত্রে এ রাজ্যের স্থান দ্বিতীয়। নারীরা এ রাজ্য থেকেই বেশি হারিয়ে গিয়ে আর ফেরত আসেননি। একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হয়ে রাজ্যের নারীদের সুরক্ষা দিতে পারেন না কেন? আপনি অন্য রাজ্যের প্রসঙ্গ টেনে এনে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করবেন জানি। কিন্তু আমরা সেই রাজ্যের সরকারে আসার আগে কি পরিস্থিতি ছিল, আর এখনকার পরিস্থিতি তুল্যমূল্য বিচার করলেই পুরোটা বোঝা যাবেন।"

তবে অমিত শাহের কানে পৌঁছেছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করে তৃণমূলের অন্দরের রাজনীতির খবর। এক শ্রেণির তৃণমূল নেতা-কর্মী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঠিকমতো মেনে নিতে পারছে না বলে জানিয়েছেন এরাজ্যের কার্যকর্তারা। অমিত শাহ নিজের বক্তব্যের মধ্যে সেই ক্ষোভকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা ছিল ষোল আনা। তিনি বলেন, “ এরাজ্যে তিন রকমের আইন চলছে। একটা ভাইপোর জন্য। একটা ভোট ব্যাঙ্কের জন্য। অন্যটা পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের জন্য। কোনও রাজ্যে এমনটা হয় আমি তো জীবনেও দেখিনি।"


তার বক্তব্যে উঠে এসেছে কাটমানি প্রসঙ্গও। আয়ুষ্মান ভারত এবং কিষান সুরক্ষা যোজনায় এ রাজ্যের যোগদান না করাকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “ এ রাজ্যের কৃষকরা কেন 6 হাজার টাকা করে পাবেন না ? কেন আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা এরাজ্যের মানুষ পাবেন না ? তার জবাব তৃণমূলকে দিতেই হবে। তার জবাব না দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রতি মাসেই একটা করে চিঠি দেন। বলেন ওই টাকা আমাদের পাঠিয়ে দিতে। আমরা পাঠাই না তার কারণ, ওই টাকা কৃষক কিংবা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাবে না। তা চলে যাবে তৃণমূল কর্মীদের পকেটে।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.