কলকাতা, 5 জুন : হাতিবাগানের বাজার খুললেও দেখা নেই ক্রেতার, সংকটে ব্যবসায়ীরা । হাতিবাগানের ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের রুটি-রুজিতে টান পড়েছে । বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দোকানদারেরা পসরা সাজিয়ে বসলেও সেইভাবে দেখা মেলেনি ক্রেতার । উত্তর কলকাতার হাতিবাগানের বাজার বেশ বড় । সারাবছরই গমগম করে ক্রেতাদের ভিড় । তবে লকডাউনের কারণেই প্রায় মাস তিনেক এই বাজার বন্ধ ছিল ।
কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে চলতি মাসের শুরুতে আনলক ওয়ান জারি হয় । আনলক ওয়ানে কিছু কিছু পরিষেবা শিথিল করা হয়েছে । সেই আওতায় রয়েছে পণ্য সামগ্রীর বাজার । আস্তে আস্তে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে চলেছে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত । ব্যতিক্রম নয় হাতিবাগানের বাজারও ।
শ্যামবাজারের পাঁচমাথা মোড় থেকেই শুরু করে ধর্মতলাগামী রাস্তার দুপাশে থাকা পণ্য সামগ্রীতে বিস্তৃত এই বাজার । জামা-কাপড়, জুতো থেকে শুরু করে প্রশাধনী-সাজসরঞ্জাম, ঘরের আসবাবপত্র থেকে উপহার সামগ্রী; কী নেই সেই বাজারে ! বৃহস্পতিবার থেকে দোকানদারেরা আনলকের নির্দেশমতো দোকান সাজিয়ে বসেছে । অথচ লকডাউনের আগের সেই থিক থিকে ভিড় আনলক ওয়ানের পর আর লক্ষ্য করা গেল না ।
শুধু কোরোনা আতঙ্কে নয় । আমফানের ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফুটপাতের একাধিক দোকান । কোনও কোনও দোকান ঘর ভেঙে গিয়েছে, আবার কোনও দোকানের চাল উড়ে গিয়েছে । সেই সব দোকানগুলো ঠিক করে সাজিয়ে বসেছে দোকানিরা ।
মূলত কোরোনার ও আমফানের প্রভাব সরাসরি হাতিবাগানের বাজারের উপর পড়েছে । গমগমে হাতিবাগান মার্কেট এখন অনেকটাই চুপচাপ । নেই কোনও ব্যস্ততা । এই প্রসঙ্গে হাতিবাগান বাজারের এক ব্যবসায়ী দিলীপ দে বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন আগামী 8 জুনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে । সেই আশাতেই দোকান খুলে বসেছি । তবে সমস্ত বাজারটাও সেভাবে খোলেনি । এছাড়া আমফানে ভিজে গিয়েছে সমস্ত পণ্য সামগ্রী । ক্ষতি হয়েছে প্রচুর টাকার জিনিসপত্র । তারপরেও দোকান খুলে বসেছি । ক্রেতার তেমন সাক্ষাৎ মিলছে না । সারাদিনে মাত্র দু-একটা ক্রেতা আসছে । বিক্রি-বাট্টা এক্কেবারে নেই বললেই চলে । আমাদের সংসার চালাতে সমস্যা হচ্ছে ।"